Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কবিতা

গিটার ও গিটারের ধাঁধা

জি.এম.তানিম এর ছবি
লিখেছেন জি.এম.তানিম (তারিখ: বুধ, ২৭/০৪/২০১১ - ১১:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাবলো নেরুদার কিছু কবিতা অনুবাদ করেছিলাম। সেগুলো পড়ে আহসান ভাই (ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাই, দারুণ ছোটগল্প লিখেন) আরও কিছু কবিতা দিয়েছিলেন ব্যোদলেয়ার ও গার্সিয়া লোরকার। এর মধ্যে থেকে ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকার দুটি কবিতা আজ অনুবাদ করছি।


অস্তিত্বহীন অস্তিত্ব

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি
লিখেছেন মৃত্যুময় ঈষৎ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১১ - ১২:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিরোনাম:: 'অস্তিত্বহীন অস্তিত্ব'
মনন:: উৎসবেও নিরবত্ব
লিখিত:: ২২ এপ্রিল ২০১১।

সবাই তোমার ঘরে থাকে, আমি নেই
তাদের আসা যাওয়া পদভারে ভারী আকাশ
মেঘলা দেখি আমি তুমি নেই ওপারে নীলে
সবাই মিশে থাকে হরষে আমি তবু আড়ালে
কাঁপন তুলে পর্দায় তোমাদের সব কথামালা
ছিন্ন করে দ্বার- আসে এখানে আমার একার
পথচলা রাতে, পথ হয় না যে শেষ
শুনি উৎসব ঐখানে হুল্লোড়- আশা কত যে


শিলং শিলং

সুমন তুরহান এর ছবি
লিখেছেন সুমন তুরহান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ৯:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিলং শিলং

হঠাৎ কালিম্পং! তুষারিত নদীটির তীর,
সেখানে লাবণ্যপ্রভা বসে থাকে অবসাদে একা
শেষের কবিতা রূপে সে বিষাদ হয়েছিলো দেখা
করুণ স্বপ্ন নিয়ে বুনে যায় আজো তার নীড়।

ভরপুর ঝরে পড়া ধাঁধাশীল ভালোবাসা তুই,
চেরাপুঞ্জির পথে ধাবমান নদীর ওপর
সন্ধ্যারা বাড়ি এলে পাখি পরে পাতার টোপর
চারফোঁটা নোনাজল সোনাঝরা আবেগী চড়ুই।


বিসর্জনের পৃষ্ঠা

বালক এর ছবি
লিখেছেন বালক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ৮:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উন্মোচিত গল্পের রাত পার হয়ে যায়
পেছনে রেখে আসি ঝিঁঝিঁর ঘুঙুর।
নরম-শান্ত এক টুকরো আলো আসন পাতে
চোখের ভেতর আর পাখির পরশে
মগ্নতা ভাঙে বেকার আকাশ-

বিছিন্ন জীবনের ওপর ধূলো ছিটিয়ে দূরের পথে
চলে গেলো একজোড়া পা।
বিসর্জনের পৃষ্ঠা ওল্টাতে গেলে বুক ফেটে যায়
অথৈ পিপাসায়। তবু প্রার্থনা; বৃষ্টি নামুক এ-শহরে,
আরো একবার কাঁদুক একলা পাথর!

তারপরও রোদ, টুকরানো চিঠির মতোন


একটি জিজ্ঞাসা

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৭/০৪/২০১১ - ৩:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাফাই :

মায়ের স্নেহার্দ্র হাত যেমন করে কোলের সন্তানকে জড়িয়ে থাকে ঠিক তেমনি করে সবুজ পাহাড়ের পাচিল ঘেরা বিপুলা কর্ণফুলী বড়হরিণার তিনদিক জড়িয়ে। চৈত্রের নিদাঘ সময়ে চাষির দল সেই পাহাড়ের বুকে আগুন লাগিয়ে জুমচাষের জন্য উপযোগী করে তোলে। মাঝে মাঝে দাবানল হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দিগ্বিদিক। পুড়ে যায় কতকিছু! এই বড়হরিণাতেই কেটেছে আমার একাকীত্বের কিছু দিন। তবুও সেগুলি ছিল রঙের। গোলাপি না হলেও ধুসর তো!


শিরোনাম নেই

ফকির লালন এর ছবি
লিখেছেন ফকির লালন (তারিখ: শনি, ১৬/০৪/২০১১ - ৬:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমাকে ছুঁয়ে মনে পড়ে -
একদিন খুব ঘন বর্ষায়
আমরা গিয়েছিলাম আরো ঘন এক অরণ্যে
তুমি বলেছিলে, দেখো, ঠিক জ্বর হবে,
আমি বলেছিলাম - হোক,
এ শহরের অনেক পাপ জমে গ্যাছে
এর খুব জ্বর হওয়া দরকার।

তোমাকে ছুঁয়ে মনে পড়ে -
একবার খুব ভোরে আমরা হেঁটেছিলাম
আদিগন্ত চরাচরে, ক্লান্ত শিশিরে,
আমাদের পায়ে মুক্তোকণার মোহময় পরশ সব -
তুমি বলেছিলে, দেখো, এবার খুব শীত হবে,
আমি বলেছিলাম - হোক,


দেহ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৬/০৪/২০১১ - ৩:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অমিতাভ দেব চৌধুরী

পাথর পড়ে থাকে পাথরে
আকাশ উড়ে যায় আকাশে

মাঝের জায়গাটা আলাদা
মাঝের পৃথিবী তো ছদ্মবেশ


বড়হরিণার দিনলিপি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৪/২০১১ - ৮:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাফাই :
নতুন বাসায় উঠেছি। ট্রাঙ্ক থেকে বইপত্র গুছিয়ে গুছিয়ে আলমারিতে তুলছি। হঠাৎ দেখি ট্রাঙ্কের একপাশে দীর্ঘদিনের অবহেলায় পড়ে আছে আমার তরুণ বয়সের একটি ডায়েরি। একটু মমতা হয়। আজ দিনের শেষে, সকল কাজের শেষে, ওর সাথে কথা হয়। দিনপঞ্জি নয় বরং এলোমেলো কিছু লেখা দিয়ে ঠাসা। তখন কতই বা আমার বয়স। বাইশ কিম্বা তেইশ। এই রচনাগুলো কতটুকু সম্পন্ন হয়েছে সে বিবেচনার চাইতে বোধকরি সে বয়সের আবেগের প্রাবল্য আমাকে বেশী আলোড়িত করে। প্রকাশযোগ্য কিনা জানি না। তবে প্রকাশিত হলে পাঠক সহৃদয় হয়ে আমার সে বয়সটিকে বিবেচনায় নেবেন আশাকরি। কাপ্তাই লেকের দূরবর্তী প্রান্তে যেখানে কর্ণফুলির উদর সন্তানসম্ভাবা নারীর ফুলে উঠা তলপেটের মতো অসামান্য মমতায় ও আশ্রয়ের আশ্বাসে গোল হয়ে বিপুলা হয়েছে সেখানেই বড়হরিণা। তাহলে শুরু হোক 'বড়হরিণার দিনলিপি'।


১৪১৭ বঙ্গাব্দ শেষমুহূর্তভাবনা

সৈয়দ আফসার এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আফসার (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৪/২০১১ - ১০:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাঁই, ত্রিশটি বঙ্গাব্দ জীবনের গ্লানি টেনে-টুনে
কীভাবে যে হারিয়ে গেল! একত্রিশে এসে তোমার
কাছে এই প্রশ্ন— এত ঋতু চোখের সামনে গেল
বর্ষা-বসন্ত এলো, একটুও বদলাইনি আমি…
যেমন বদলায়নি হ্যান্ডসাম-রুচি, অপেক্ষাবাগান

কেন যে আমি সেই আমারই মতন!

তোমার তুলনা কেবলি তুমি— যায় দিকে আয়নাও
ফিরে-ফিরে তাকায়। পিছে কেবল একজন দোটানায়
তেটানায় ভাবে ১৪১৭ বঙ্গাব্দ শেষমুহূর্তভাবনা…


দহনাহ্বান

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি
লিখেছেন মৃত্যুময় ঈষৎ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৪/২০১১ - ৭:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিরোনাম:: 'দহনাহ্বান'
মনন:: স্মৃতিচর।

কালো পিচের প্রশস্ত পথ
ছড়ায় বিষণ্নতা শতাব্দীকাল;
হলুদ দুপুর গড়িয়ে গোধুলিবেলা,
হেঁটে চলেছি পদছাপ ফেলে রেখে পিছনে,
কোনো আড়ষ্টতা ছোঁয়নি আমায়;
আকাশে সফেন মেঘ জমেছে,
নীল বেদনায় ভারী এপাশ ওপাশ,
তবু হেঁটে চলেছি অদেখা দিগন্তে,
ছুঁয়ে দিতে বছরের শেষ অস্তাচল!
হাতে ছোঁয়া রক্তিম রঙ ছড়ায় কোমল অনুরাগ;
পৃথিবীকে দেবার কী থাকে আর-