হঠাৎ সেদিন সুন্দরবন
পায়ে পায়ে পথচলা
দৃষ্টিতে ছিল মুগ্ধতা দেখে
প্রকৃতির ছলাকলা।
পরতে পরতে লুকনো রয়েছে
ভয়ানক সুন্দর
দেখতে এসেছি ফেলে দিয়ে সব
নাগরিক ভয়-ডর।
জোয়ারেতে যদি এক রূপ হয়
ভাটাতে অন্য রূপ
কখনো সে বুনোকোলাহলে মাতে
কখনো সে নিঃশ্চুপ।
পাখ-পাখালির কলগুঞ্জনে
ঘুম যেই ভাঙলো
বিষ্ময়ে দেখি চিত্রার্পিত
হয়ে আছে বাংলো।
দাঁড়িয়ে রয়েছে সুন্দরী গাছ
লাখো লাখো শ্বাসমূল
বিরহী বধূ ...
দ্রুত ঘুমোলাম নিদ্রা ছুঁয়ে দেখার আগে ও পরে
অথচ ঘোর ও গাঢ় আমাকে রাখছে একেলা ধরে
আমি যেন আরো কিছু অনীহা তুলছি এই ভেবে
ভারী হল মন, সবে কথাও পেল প্রাণ আলজিভে
এইখানে জমেছে দ্বিধা, নীরব শব্দের ভিড়ে
এইরূপে বাজাও গো দেহখানা, বেজে ওঠো—
দাগচিহ্ন ছিঁড়ে
আশাপাহাড়ে তুলে রাখছি ভ্রমণক্লান্তি, কিছু কেড়ে নিলে
বললে না! স্পর্শহীন অনুরাগে কতটুকু নীরবতা পেলে?
নিজেকে কতটুকু ডুবিয়ে রাখলে একা ঘোরলা ...
২
খুব সূক্ষ্ম সাদাফুল
রক্তিম আভার
ফুটে আছে পথে
দেখে মনে হয়
তার উপর অস্ত- গেছে সূর্য!
যে তুমি আছো ফুলের ভেতরে
বাইরে এসে বলো-
কী করে সাজাবো,
আমার প্রিয়তমারে ?
মনস্তাপের কারণ আছে শাহীন!
তীর্থস'ান নিজেও তো আসতে পারে
একবার আশেকের দরজায় ?
ভক্তের দরজায় সূর্যের প্রকাশ
আর দাঁড়িয়ে আছে অপেক্ষায়,
পুষ্পপ্রভা, - সে দেখে যাক!
০৮.০৮.২০১০
৩
আমার চোখের মধ্যে ফুল আছে
দুলে উঠে বাগান
অধীর আ ...
মুখো
চলো, আমরা মুখোশ বানাই সবাই মিলে একজোটে ---
মুখ-মুখোশের ভীড় জমে
আর কারখানাতে চাঁদ নামে
ঐ রাত্রি গভীর তিন যামে।
ঐ দেখা যায় কর্পোরেটের...
না কারখানার বন্ধ গেটের
স্বয়ম্বরা ফাঁক,---
(চিমনি থেকে চমকিয়ে চোখ মারলো দাঁড়কাক)
হাড়হারামির লেবেল সেঁটে
চল্ সব্বাই মুখোশ বানাই একজোটে।
মুখোশ গড়ায় মৃত্তিকা চাই খুব দামি
দেখতে হবে কোন রাস্তায় বদনামী
খুঁড়বো মাটি গড় ...
১
এ বনের প্রতিটি ফুল কে আমি চিনি
ঘাসের সাথে আমার কথা হয়
শিশিরের শব্দে আমি কান পাতি
পাতার প্রকৃতি পাখিদের কলস্বর
আমি পৃথক করতে পারি
বাতাসের আবৃত্তি আমার মুখস্থ
এ বনের মাটির গন্ধে আমি বুঝি পৃথিবী
যে ফুল পরিপূর্ণ হয়ে ফোটেনি,
প্রার্থনার হাত আমি তাদের জন্য বাড়িয়ে ধরি
ঝরা গোলাপের পাপড়িকে
আমি কারও হৃদয় বলে ভুল করি
এ বনের বুনোগন্ধে নেমে আসে বিকেল
গোধূলির আলতায় পা-ফেলে ফিরে যায় ...
অবশেষে জলে কচুরিপানার সাথে সাঙ্গ দিয়ে ফুটছে
দেখো লাবণ্যময়ী শাপলাফুলসহ প্লাবিত দেহফুল!
সাঁতার শিখবো বলে নেমেছি স্রোতে ভাসা উজান জলে
বয়সটাও ছিল উড়ুউড়ু কোমলচিত্ত চাঞ্চল্য বনের বাদর
আমার সাথে নিমজ্জিত হতো চেনাঘ্রাণ আর বৃষ্টির জল
তার স্পর্শে প্রথম তৃপ্ত অনুভব করে কায়ার ভেতর একা
একাকী ডুবে থাকি দিকচিহ্নভরা মুহূর্তের জলে
বাতাসে পূরবীর সুর, বৃষ্টির ঝংকার
দেখে নিথর আমার পলিমা ...
ইন্টারনেট
ছিপ নিয়ে মাছ ধরতে বসি অবসন্ন পুকুরটাতে
এক হাতে এক ধেড়ে ইঁদুর, প্রিয়ার শাড়ি অন্যহাতে।
জল ঘুলিয়ে নোংরা করি অন্ধকারে পৌষমাসে,
পুকুরজলে হাজার হাজার মরা ইঁদুর খেলতে আসে।
শাড়ির ছলে জাল ফেলি রোজ, ছিপের চেয়ে জালই ভালো,
নরম নরম মাছ পড়েছে, নরম নরম চাঁদের আলো।
মাছের পেটে মরা ইঁদুর,জলে আঁধার --- শ্যাওলা ভাসে,
জংলা বুনো লতাপাতা আড়চোখে চায় --- মুচকি হাসে।
অন্ধকার হাঁ করে আর গিলতে চায় ...
এটি une saison en enfar এর শেষ বা সপ্তম অধ্যায়। এই অধ্যায়ের শিরোনাম adeu। ধারাবাহিকভাবে দেয়া গেল না বলে দুঃখিত।
_________________________
বিদায়
শরত্ চলে এল। তবে কেন আক্ষেপ অনন্ত গ্রীষ্মের , যদি আমরা মগ্ন থাকি সেই মহিমান্বিত আলোর উদ্ভাবনে -নশ্বর লোকালয়গুলো থেকে যা দূরবর্তী।
শরত্! স্থির কুয়াশা ভেদ করে ছুটে চলেছে আমাদের জাহাজ, গন্তব্য দারিদ্র্যের বন্দর-সেই বিকট শহর যার আকাশ রাঙানো থাকে আগুন আর কাঁদায়। আহ ...
সে পাপই বটে, পাপ নয়?
অনুমতিহীন পদক্ষেপ আঁকো যদি তুমি
নিজস্ব জমিনে কারো, চুপচাপ নয়,
রণভঙ্গিতে, যেন দখল করবে ভূমি?
আমি তাকে পাপ বলি, যদি
ভয়ার্ত শিয়ালের মত তুমি রণেভঙ্গ
দাও-তথাস্তু তথাস্তু বলে, ভাবো, ফোঁস করা অধিপতি
সে ভূমের নিশ্চই বিষধর ভুজঙ্গ।
-শোনো হে সখা, মহাবীরেরা নিষ্পাপ,
তুমি হানো, ভাঙো, লোটো, করো হত্যা,
তুমি মৃত্যু আর ধ্বংসের তোলো বিষভাপ,
বিজয়ীর পাপ নেই, সে চিরকালই মহাত্বা।
- ...
শুনুন, আপনি না চাইলেও
আমরা ঠিকই হাজির হবো
আপনার জন্মদিনে -
অনামন্ত্রিত, রবাহুত।
শিশির বলেছে, আপনার জন্য,
সে তার আঁকা একটা ছবি নিয়ে যাবে,
আমি, আমার লেখা একটা কবিতা,
শাহেদ, তার গিটার, এবং বোধকরি নতুন কোন গানও,
সুমিতা এবং অলক কিছুই না,
দিতে হলে যতটুকু পাওয়া দরকার,
ওরা বলেছে, ততটুকু কষ্ট ওরা এখনো পায়নি।
আপনার নাগরিক সমাগমে
আমাদের বেমানান লাগবে জানি,
আমাদের তাতে কিছুই আসে যায়না,
এ আমা ...