নারী মাত্রই শিল্পী।
অনাগতের কামনায় যে জঠর যাতনা
তাহা কেবল শিল্পী ভিন্ন নারীরাই বুঝিতে পারে।
নারী মাত্রই রঙ্গিন।
হইতে পারে মমতার রং
কামনা অথবা কান্নার রং।
নারী ত্রাতা, নারী বারবণিতা।
এহেন বৈচিত্র পুরুষ্য মাঝে মেলা ভার।
নারী দূর্বল।
কিন্তু বলশালী যেন বলহীন তাহার বিহনে।
আপনারে চেনেনারে নারী
নিজের মূল্য বোঝেনারে নারী
প্রকৃতির মত দশভূজা হয়ে
দশদিক আগলাইয়াছে সে।
সে নারী ...
উল্টা মরকের বীজ! স্বরনালি ছিঁড়ে ছিঁড়ে চৈত্রপরবশে মনের ভাবগুলো দীর্ঘকাল বাঁচার আশায় মুক্তহৃদয় পাঠ হতে পারে। এ রকম ভাব সে-ও জানতে চায় কতটুকু নিরাপদ ছুঁলে বুকদেহে জাগে না মৃত্যুভয়। প্রতীক্ষায় তাকে তাড়ানো যাবে কী? সার্কাসে-এসেন্সে কিংবা স্বয়ং বাগানবাড়ির ছায়ায়। জন্ম নেয়া একান্ত যতকথা তত আমার পূর্ণতা। বিপরীত সুতোর মতো ছুটে নিঃশ্বাস, টেনে নিচ্ছে চিবুকের টাট। বিশ্বাস চমকাচ্ছে শীত ...
এবার নবান্নের মৌসুমে গ্রামে যাবো বাবা আর আমি
ধান কাটা হয়ে গেলে নোতুন ধানের গন্ধে আমাদের নেশা হবে
অঘ্রাণের নাড়ার খেত ধরে ভোরের শিশিরে পা ভিজিয়ে
কোণাকুণি হেঁটে গেলে বিন্দু বিন্দু ভেজা মাটির কণা
আমাদের পাজামায় লেগে থাকবে; আমরা ধুয়ে ফেলবো না
দিঘির জলে ডুব দিয়ে দিয়ে বুকের ভেতরে শ্যাওলা জমবে বিস্তর
এবার আদতেই আমাদের গ্রামে থেকে যেতে ইচ্ছে করবে
আমাদের কিছুতেই আর শহরে ফিরে যেতে ইচ ...
নরকের ঋতু (une saison en enfer) প্রথম লিখিত ও প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে। আর্তুর রেবুর তখন ১৯ বছর বয়স। ভার্লিনের সঙ্গে দুই বছরের উদ্দাম প্রেম ভয়াবহ বাজে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে শেষ হয়েছে মাত্র আর নতুন ভাবে প্রেমে পড়েছেন আফিমের। ভার্লিনের সাথে কাটানো সময় আর আফিম দু'টি ঘটনাই মারাত্বকভাবে প্রভাবিত করেছে এই বইটিকে । ছোট বড় নানা আকৃতির মোট নয়টি অধ্যায়ে সম্পূর্ণ করেছেন একটি কবিতা। তার পরের শিল্পী বিশেষ ...
ওই তো দেখা যাচ্ছে রূপান্তর। অনতি দূরে চুষে রাখছ চোখে আশা ও আর্শীবাদ। আরেকটু দেরি হলে ফিরে পেতে পারো দীর্ঘনিঃশ্বাসসহ হারানো বিশ্বাস। বিরলে আমিও ধরে রাখি কারও উপস্থিতি, বত্রিশ প্রকার হাড়ের নীরবআর্তি। এতদিন পর স্মরণকথা আলাদা হচ্ছে না জেনে কড়া নাড়তে এসেছো শ্যামতলা বনে…। ফলে চৈতালি দিনে তীক্ষ্ণ বাতাস সবখানে ফোটছে অপ্রস্তুত আঙুল গুনে
ঋতু পাল্টাবার আগে দৃষ্টি ভরে বিদায়ী ঋতুটি দ ...
সবুজের বুকে মিশেছে কতটা লাল
এই ক্যানভাসে, অগ্নি ঝরানো দিনে
সূর্য পেরুল কতটা ক্রান্তিকাল
নবীন যুবক এসো আজ নেব চিনে।
সময়ের রথে কুহকের মায়াজাল
নিষ্ফল শ্রমে বিপন্ন আয়োজনে
বৃথাই ছুটেছে ভ্রান্ত উন্মাতাল
কুয়াশার মতো ভুল স্বপ্নকে কিনে।
কত গোলাপেরা কুঁড়িতেই গেছে মরে
কত বিপ্লব মাঝপথে গেছে থেমে
কত সুবাতাস বিরূপ তীরের তোড়ে
খরাদাহ হয়ে করুণ এসেছে নেমে।
প্রেতের হাসিতে সচকিত বুলবু ...
আকাশের কাছে বৃষ্টিকে সাবলেট দেয়া ছিলো,
তারপর থেকেই গ্যাছে দখলীস্বত্ব,
এখন কখন বৃষ্টি পড়ে, পড়েনা,
রংধনু ওঠে, ওঠেনা,
তার ‘পর আর কোন হাত নেই;
শুধু ভিজে যাবার জন্য এখনও দারুণ তৃষ্ণায়
কদমফুলের ঠোঁটের মতো শত শিহরণে
জেগে থাকি অপার অপেক্ষায়।
মানিব্যাগ থেকে ছলকে পড়ে তেমনই,
একটুকরো মেঘ কখন হারিয়ে গ্যাছে ফুটপাতে,
নাকি তাকেও আকাশ কুড়িয়ে পেয়েছে কখন কে জানে,
এখন আকাশের রোমশ বুকে কখন সে আসে, ...
কোনদিন পথ খুঁজে যদি
ফিরি আমি তোমাদের পিঁড়িপাতা নিকানো উঠোনে
তুমি বেড়ে দিও এক থালি নুন মাখা ভাত
একটু সালুন দিও, আর দিও এক ঘড়া জলের আস্বাদ।
তুমি তো জানোই আমি কি ভীষণ তিয়াস নিয়ে
এই মাঠ, এই প্রান্তর, এইসব বাতাসের ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে
বেভুল ফিরেছি ঘুরে-
চৈতন্যের খরাদাহে সম্পন্ন বর্ষণের স্বপ্নিল অন্বেষণে
এক বুক কাদাভেজা আশার জমিনে।
আমিতো গায়ের ছেলে-
চিলমারীর বন্দরে আমার গাড়িয়াল প্র ...
দূরত্ব জানতে শব্দ করে ভাঙে কাচ
একা বাজে গোপন গুনগুন, বোবাপ্রাণ
কাচবৃষ্টি, কাচস্বপ্ন আর ভাঙার আহ্বানে
নিমার্ণশব্দ শুনলেই কাচের স্থায়ীত্ব বাড়ে
তাই—
অপেক্ষার তড়িৎ গতিতে কাচ ভাঙতে নেই
গতি ঝংকারে হারাবে নিঃশব্দ কম্পাংক
যদি পারো শূন্যে ভাঙো জলকাচ, সমআঁচ
আরো ভাঙো প্রাণের ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র যত নিঃশ্বাস
এভাবে থেমে যাচ্ছে কি আমাদের বিশ্বাস?
অনন্ত তারার মাঝে এখন তোমার মুখ স্থির
চোখের গভীরতর মৌনতায় পাথরের ঘুম
তাকাই আকাশ মুখে আচ্ছন্ন অতীত কাতরায়
অন্ধকার ছায়াপথে রজনীর শুকতারা নিঝঝুম
উন্মুখ বিষাদ স্মৃতি বিষের ফলার মতো বেঁধে
রণ-উত্তাল সংসার, কখোনো উচ্ছল চারপাশ
কী পেয়েছি কী পাইনি - সবকিছু যায় রসাতলে
মুখে গণিতশাস্ত্রের পাঠ, চোখ ভরা আদিম উল্লাস
অতীতের দাবদাহ আজ রক্তাক্ত মেঘের মতো
বজ্রের আঘাত হয়ে বুকের ওপর ধেয়ে আসে
আ ...