নিয়মেরই খেলারে ভাই! নিয়মেরই খেলা!
নিয়মগুলো বুঝতে বুঝতে যায় গড়িয়ে বেলা।
বেল গড়িয়ে নামলো আঁধার, আকাশ ভরা তারা।
এরই মাঝে আমার পানে পবন দিল সাড়া।
তারার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমটা চলে আসে,
চোখটা মেলে বিস্মিত হইঃ সুয্যি মামা হাসে!
নদীর পাড়ে শুয়ে আছি সবুজ ঘাসে মাঝ,
পাখিগুলো গান গেয়ে যায়, এটাই ওদের কাজ।
উপর দিকে চেয়ে দেখি আকাশটা তো নীল,
বৃষ্টি শেষে করছে খেলা রঙধনু বর্ণিল।
মেঘের কথা ভাবতে ভা ...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
---------------------------------------------
ছোট বেলায় একটা নেশা খুব ভোগাত আমাকে।
ঘুড়ি ওড়ানোর নেশা।
কত বিষণ্ণ দুপুর নাটাইয়ের বক্রতায় জড়িয়ে নিয়েছি
তার ইয়ত্তা নেই।
ছাদ থেকে ছাদে ঘুড়ির গন্ধ শুঁকে শুঁকে লাফিয়ে বেড়িয়েছি
প্রায়শঃই বিপজ্জনক দূরত্ব অবলীলায় পার হয়ে গেছি দীর্ঘ লম্ফের আদলে
পরোয়া করিনি কোনো।
ভেবেছি অই এক টাকার ঘুড়িটাই হয়তো জীবনের শেষ কথা।
ধোলাই খালটি তখনো মানুষ হয়ে ওঠেনি। ...
দূরপাল্লার বাসে চড়লে যেসব মুসিবত হতে পারে,
আমরা সেসব পার হয়ে এসেছি।
আমরা এখন আর দূরপাল্লার বাসে চড়ি না।
আকাশ ও মেঘের ফসল জানালার কাঁচে আর অবাক হয় না।
স্বল্পায়ু ফুসফুসে এখন কেবল স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি চলে।
গুণে গুণে অর্থনীতি, সামাজিক ব্যবসা, তোমার সাথে।
ভেজাল বাটখারায় সততার দাঁড়িপাল্লা অপ্রস্তুত হয়।
চলে পারস্পরিক নিপুণ পুতুলকথা, সর্বমঙ্গল্যে।
আর ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে প্রথা ...
তুমি ভালোবাসতে চেয়েছ বলেই,
আমি ভালোবাসতে দিয়েছি,
তুমি হাতটা ধরতে চেয়েছ বলেই,
আমি হাতটা বাড়িয়েছি,
তুমি প্রেমের কবিতা শুনবে বলে-
আমি রাতের পর রাত জেগে রচনা করেছি তেরশ দুইটি কবিতা,
তুমি বৃষ্টি ভালোবাসতে বলেই-
আমার চোখ দিয়ে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি ঝরত,
রাতের পর রাত কতটা বৃষ্টি জড়ো করেছি -
তুমি তাতে ভিজলেও না!
তুমি আমাকে দোষারোপ করবে বলেই-
আজো আমি কাউকে বলিনি-
আমার সবটাই ছিলো ভালোব ...
দেয়ালে আলোর বিস্মরণ! রঙ, আমি রঙধনু দেখিনি তেমন। যতগুলো বর্ষাকাল-বাঁশের সাঁকোতে পারাপার, সাঁতারও হয়নি শেখা, পারাপারে অভয় পাবো! যতই টেনেছি সূতা, দ্রৌপদীর শাড়ি- লাজভয় আঁকড়ে থেকেছে। তাই ভাবি, এই তন্তুতাঁত- ছেড়ে যাওয়া ভালো। দূর থেকে শিল্প খুব মিহি মনে হয়।
মায়ের হাসির খোঁজে বেরিয়েই রক্তছাপ নীল শীত দিনে। আঁচলের গন্ধ খুঁজে ছেঁনেছে শরীর শুধু, এনেছে বিষাদ খুব; অসহায় হয়েছে সুদিনে।
এ শহর ছ ...
প্রেমের দেবী থাকেন নাকি তেপান্তরের ধারে
চুমতে তাহার চরণ দু'টি ইচ্ছে আমার করে
আরাধনায় মনটি সপি ব্যাকুল বুকের আশা-
নিদাঘ প্রাণে একটু যদি পাই গো ভালোবাসা!
এমন সময় কে রাখে গো আগলে আমার পথ?
বলছে হেঁকে, 'বেভুল পথিক থামাও তোমার রথ;
রাজপোশাকে যাচ্ছো কোথায়, তল্পি-তল্পা নিয়ে-
বোঝাই জাহাজ ছুটছো কেন গাঙের ও পথ দিয়ে?'
'যাচ্ছি আমি তেপান্তরে দেবীর আশিস পেতে
অলক্ষুণে পিছ ডেকোনা দূরের পথে যেতে।'
...
অতিসতর্কে জলরঙ খুলে নাও। চোখ বন্ধ করলেই নষ্টালজিয়ার গন্ধ পাই। বিস্ময় জাগালে মন খারাপ লাগে না। কারণ, অবাক চোখে বাহ্যিকদৃশ্য দেখতে দেখতে কিছুই মনে পড়ছে না আর। যখন ফিরছি একা, ফিরতি আশায় ভরে গেছে জোড়া
চোখসহ অষ্টপ্রহর। ফিরে যাব না তাই, যত অ-দেখা; তত দূরদ্বীপ দেখা
কোথায় যাব?সে আশায় দাঁড়ায়নি বেলা। স্বপ্নাহরণ,প্লীজ ফের করোনা সময়শাসন খুব গোপনে আগামীকালের একটি মাতাল ইশারা গড়িয়ে নামছে জ ...
আটলান্টিকের পাড়ে শীতের রাতগুলো
ঝুপ করে নেমে আসে; কালো কুয়াশার চাদরে
আপাদমস্তক ঢেকে যেন কোন ফেরারী আসামী।
তারপর একটু একটু করে গভীর থেকে গভীরতর হতে হতে
গ্রাস করে নিতে থাকে মহাকালের বুক থেকে
ঝরে যাওয়া একেকটি দিন।
ক্ষয়িষ্ণু সেই রাতগুলোয় উষ্ণ চিমনির পাশে
নীরবে, একাকী বসে এক দ্বীপান্তরী নাবিক ভাবে
ভীরু চোখে তাকিয়ে থাকা “সেই” বালিকার কথা।
হায় মহাকাল, এখানেই তোমার ব্যর্থতা;
তু ...
র এর কাছে একদিন আমি মিশেল ফুকোর বই ধার চাই। র আমাকে দেয়না। সে বলে অর্জিনাল বই টাকা জমায়া কিনা। তোমারে দিব না। তাই আমার ফুকোপাঠে বছরতিনেক দেরি হয়ে যায়। এটা ভালো ঘটনা। ইতোমধ্যে আমারও অর্জিনাল বই কেনার সক্ষমতা গড়ে উঠে। র এর সাথে অনেকদিন দেখা সাক্ষাৎ নাই। এটাও ভালো ঘটনা। তবে, এই কবিতাদ্বয় তার প্রতি উৎসর্গীকৃত। কবিতদ্বয়ের নাম ডিসকোর্স ও ইন্টারকোর্স। আজকাল প্রতি ৩টা শব্দের একটা ডিস ...
রাষ্ট্রনায়ক
গুটিশুটি মেরে হাঁটুতে মুখ গুঁজে বসে থাকি,
আর কফি খাই।
বেশ লাগে।
বাইরে দুই-তিনটা বিশ্বযুদ্ধ হয়,
তিন-চারটা জাতিসংঘ হয়,
সাত-আটটা পারমাণবিক বোমা হয়।
আমি একটা আঙুলও নাড়াইনা।
এমন নিরপেক্ষতার নজিরে নজরানা পাই একটা-দুইটা দেশ।
নিষ্ক্রিয়তাই সকল ক্ষমতার উৎস।
অপ্রমাণিত
কাঠ-চেরাই কলে পৌঁছে গেছি,
থুবড়ে পড়ে আছে মল্লিকাবন,
আর গহন।
এবার ফিনকি দিয়ে কাঠের গুঁড়ো,
গহনের ব্যবচ ...