খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন দেখে
আমার দুঃখরা খুব একা একা থাকে
কি আর বলিব : জোড়াচোখ জানে—
কপোলের নিচে আপনিও জেগে আছেন
মনের ব্যথা…
জমানো আরো কিছু কথা লুকোচুরি খেলছে জেনে
আপনি হাসছেন! আর জানতে চাচ্ছেন মোহাবহ
আমি ঘুমিয়ে পড়ার আগে ঘুমিয়ে থাকেন চোখে
আহা'রে, আমার খুব হাসি পাচ্ছে এখন
আপনাকে আপসকামী দেখে
--------------
১৪-১১-২০১০
আমি আমার কথা বলতে এসেছি
মুক্তির মিছিলে বঞ্চিত আত্মা; কিংবা
ব্যাশ্যার পায়ে স্বর্গ খুঁজে দেখা পুরুষ নয়,
আমি আমার কথাই বলতে এসেছি।
একজন নারীর মুখ চেয়ে পৃথিবীর রক্তে স্নান
অথবা শ্বাশত ঝর্ণার জংঘায়
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা মানুষ নই;
অতি বর্ষণেও যার চোখে উত্তাপ
আমি সেই পুরুষ-ভালোবাসার পতিত অংশ।
আমি কবিতার স্তনে হাত রেখে শপথ করে বলছি
সে রাতে আমি কাঁদিনি-যদিও ভেবেছিলে
বর্ষণের বেনোজলে ভ ...
একা একা বেসামাল হাঁটা আর ভালো লাগেনা
মন তুই ফিরে আয়, চল যাই শেকড়-বাড়ি
নাটকের দৃশ্যপট খাপছাড়া লাগছে কেন?
বলতে পারিস কিছু? টু ওয়ান ক্যামেরা রোলিং...
মেঘের আড়াল থেকে পার হলো কত পূণিমা?
কত বসন্তের পাতা ঝরে গেছে তুমুল শীতে?
পৃথিবীর সব কালি শেষ হয় হিসেব কষে
ষাটের দশকে বড় আধ্যাত্মিক হয় জীবন
হিসেব মেলে না কিছুতেই - অংক জটিল
আমাদের সেই ভালো বেহিসেব ডাংগুলি খেলা
দর কষাকষি নাই, চোখে নেই মোটা ...
এভাবেই সাক্ষী হয় সময়! তখন সন্ধ্যার সময় হয়েছে বলা যায় গোধূলী পেরিয়ে সবকিছু নিভে গেছে তখন বৃষ্টির পালা শেষ হয় হয় তখন হাতের মুঠিতে আমার একটা কদম নিস্তেজ সবুজ কিছু ডালপালা আরো হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত তবু পথের অনেক বাকি... যখন পথটা হঠাত থমকে দাঁড়ালো তখন তোমার বাড়িতে এতো উৎসব জ্বলে নেভে বাড়িতে সানাইয়ের এতো সুর! আমার অনেক অনেক দেরি হয়ে গেছে... তখন হাতের মুঠিতে আমার অনেক অন্ধকার
১.
একটা শীর্ণ গোলাপগাছের গোড়ায় হাঁটতে গিয়া
দুইটা কালো পিঁপড়া পরস্পর প্রেমে পড়তেছিল।
পরদিন ছেলে পিঁপড়াটি ডালে ডালে ঘুরে ঘুরে অন্য পিঁপড়াটিকে খুঁজে।
সে তখন গাছটার আধমরা পাতায় পাতায় শুয়ে ঘুমায়।
২.
একাকী মানুষদের ভাবনায় পিঁপড়েরা হাঁটে
নির্জন মানুষদের স্বপ্নে জমে ওঠে মৃত ম্যাপল পাতার স্তুপ,
ম্যাপল গাছের ডালে শুক আর সারি কিছুক্ষণ বসিয়া থাকিল নিশ্চুপ।
৩.
শৈশবে এক কাগজের নৌক ...
বেদনার সাথে দেখা হলে
স্মৃতিগুলো গুলাবি হয়ে ওঠে।
গোলাপকুশনে খুঁটে রাখি
কাঁটা, ...
গোলাপের বুকে রক্ত তাজা।
বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে
গোলাপস্মৃতি;
আহ্ কতই না উন্মনা!
গোলাপটি মরে গেছে।
(রোজারিও)
দীর্ঘ দীর্ঘ খরা অনাবৃষ্টি খরতাপে মাঠ খা খা
বেঁচে-বর্তে বেঁচে থাকা - এও এক অবিনাশী নেশা
ভুলে যেতে হয় সেই সব রক্তিম সকাল শিশিরের ভেজা মাঠ
ভুলে যেতে হয় প্রিয়তম মুখগুলো প্রতিায় জানালার গরাদে
লাউ লতা পোড়ে তাপদাহে, ঘুঘু পাখি ডাক দেয় পেয়ারার ডালে
শূণ্য শূণ্য দুপুরেও আমি থাকি আপদমস্তক কর্পোরেট-পাথরাবৃত
যেহেতু গা-সওয়া হয়ে যায় সবার, আমারও তাই হয় বৈকি
ব্যবসা ভালোই চলে ছাই-মেঘ আকাশ-পাতাল ...
আমিও ছিলাম সেখানে সেদিন
নিশ্চিত, অনেকেই ছিলো;
সশরীরে কিম্বা মনের গহনে
সেই তেজ সযতনে পুষেছিল আত্মার দহনে
আমরা আমজনতা রয়ে গেছি; ক্ষতি নেই -
আমাদের সব দেহ, সব আশা, সবটুকু প্রেম
নিমেষেই একটি বক্ষে অমর হয়েছে,
অমর হয়েছে সারা বাংলাদেশ বুকে ধরে
আমাদের নূর হোসেন।
যখন নিরর্থক নিঃসঙ্গতায় আপ্লুত এই হৃদয়
শুন্যতাকে করে বিষজ্ঞান
জীবন খোজে পূর্ণ প্রেমের আধার
কিংবা আধারটাই করে আকর্ষণ
আর অন্বিষ্ট হয় নিজের পরিশ্রুতিসাধন।
তখন হঠাৎই আনন্দে দেখি
প্রচলিত মূদ্রায় আমি মূল্যহীন
বিনিময় অযোগ্য কিংবা অসাধ্য
যেনো পদ্মায় ভেসে চলা পানা
কিংবা কৃষ্ণপক্ষের প্রথমা তিথির জ্যোৎস্না।
ব্রুনো
উল্টা মরকের বীজে! স্বরনালি চিরে চিরে চৈত্রপরবশে মনের ভাবগুলো দীর্ঘকাল বাঁচার আশায় মুক্তহৃদয় পাঠ হতে পারে, এরকম ভাব করে সে-ও জানতে চায় কতটুকু নিরাপদ ছুঁলে বুক-দেহে জাগে না মৃত্যুভয় এই প্রতীক্ষায় তাকে তাড়ানো যাবে না সার্কাসে-এসেন্সে কিংবা স্বয়ং বাগানবাড়ির ছায়ায়; বসে থাকা; জন্ম নেয়া; তোমার একান্ত যতকথা... তত আমার পূর্ণতা... বিপরীত সুতোর মতো ছুটে নিঃশ্বাসে টেনে নিচ্ছো চিবুকের ছাট; বি ...