শায়ের আমান,
একদিন শীতের শরীর
বিস্তৃত শেওলা ঘেরা
চেনা ঘরের
ভাঙ্গা দরজায়
পারাপারের বাহক দেখে
অসহায় তাকিয়ে থাকবে
জড় শরীর হাত বাড়িয়ে
জানালা খুলে দেয়ার প্রয়াসে
নির্লিপ্ত সময় ফিরে তাকাবে
ফেলে আসা দূর অতীত
চেনা মানুষ
প্রয়ানের নীলকন্ঠ
গীত গাইবে
কেও শুনবে না
কেও বুঝবে না
কেও দেখবে না
জমে থাকা ছোপ ছোপ রক্তের
কালচে দাগ মুছে
বুনিয়া জেগে উঠছে
নিকশ কালো আঁধারের বুক চিরে
দলে দলে বেরিয়ে আসছে মানুষ
কালো মানুষের দল
শরনার্থী শিবিরের তাবু ছিঁড়ে ফুঁড়ে
আশার খড়কুটো জড়ো করে ভুঁই খুঁড়ে
ঢাকের দ্রিমিকি দ্রিমিকি তালে
বেরিয়ে আসছে মানুষ
যুথচারী কালো মানুষের দল
আজ মৃন্ময় স্বপ্নের বীজ বুনা হবে
কঙ্গো অববাহিকায়
আজ অনলস জুম চাষ
সবুজ পাহাড়ের গায়
এখানে বনষ্পতির নিবিড় প্রহর ...
ঘুমরাতের মাতম স্পর্শ, ক্লান্ত দেহরাত
রাতের উপাসনা ভেঙ্গে অপেক্ষারত মেঘ
দেহরাতের রানওয়ে ঝুলে আছে দু'চোখ
দীর্ঘ আমার স্পর্শের হাত, দেখি নিরালায়
সুদূর থেকে ছোঁয়ে যাই তোমার সুখ আর
চুষে নামায় অপার যন্ত্রণা
অপলকে নামাও লোভাতুর দৃষ্টি
ঘুমরাত...
দরজায় কড়া নাড়ে অপেক্ষমান শিশির
--------------------
-হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
বলতে পারো এও একধরনের পর্যটনই,
ধরো, সমুদ্রের সাথে আমরাও বেড়াতে গেছি সৈকতে –
কিছু ফটো তোলা হবে,
রোদছাতার দাম নিয়ে খানিকটা দরদাম হবে,
হয়তো কেনা হবে কিছু ঝিনুকের মালা,
হয়তো কেউ বলেও বসবে এ মালা তোমারই জন্য,
তূমিও হয়তো অবাক হয়ে তাকাবে তার চোখে,
কিংবা তার আগেই কোথায় বড় রূপচাঁদা পাওয়া যায়
সে আলোচনায় কারোই কিছু হবেনা বলা,
হয়তো আঙুল ছড়িয়ে কেউ কেউ বালির বুকে
নিজেদের নাম লিখে অপেক্ষা করবে ...
সংকোচ মৃতকথার আঁচে পুরো রেঁনেসা
যার ত্রিকালে ধরাবাঁধা; প্রথাভাঙা আশা
কথার ভেতর থাকে কাঁটাঅলা কথাটথা তাও দামী
লুকানো রূপ চোখে দেখি না, অপদার্থ এই আমি!
বিস্ময় রেখে শব্দটি বিঁধে গেল চিকণশ্বাসে
এভাবেই পিছুটান ক্ষুদ্র মন-ঘরনার পাশে
তুলে রাখি প্রেরণাসহ কাঁচা হলুদে যত ক্ষতদাগ
আলোবাহকের শ্লেষে দেহলতায় বাড়াও অনুরাগ
নিজের ভেতর অন্য ক্ষরণ নেই বলে
আমার পোড়ামাংসের বাজার বিফলে
ভাবনাগুলো বেজায় হুলো
রাখ ভরে রাখ সিন্দুকে
চিত্তকে তোর বৃত্তে সেঁটে
আটকা বিষাদ-সিন্ধুকে
স্মৃতির কুলো উড়ায় ধুলো
ভীতির দিনেও যুদ্ধসাজ
কার্ফু মেরে মুন্ডু ফেঁড়ে
মগজ ধোলাই দিচ্ছি আজ
কেন রে তোর মনটা পুড়ে
ঘূর্ণিঝড় আর আইলাতে
বাউলা কোকিল চ্যাঁচাস কেন
লাভটি কোন নেই তাতে
আউলা কবি তোর কি সাজে
উথলে উঠা দেশপ্রেম
একটি চালেই কিস্তি গেলে
বুঝবি কি ঘোর দাবার গেম
ফের বাবাজী ফেরেব্বাজী
...
বাইকুজ্বর ও তার আরোগ্যার্থ প্রেসক্রিপশন
হাইকু, বাংলায় যাকে বলা যায় ক্রীড়মান পদ্য, জাপানের এক বিশেষায়িত কাব্যআঙ্গিক। আকৃতির দিক থেকে জানাশোনার মধ্যে এটিই পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা ছোটো কবিতা। উনিশ শতকের শেষদিকে হক্কু নামে সমধিক পরিচিত এই কাব্যআঙ্গিকের হাইকু নামটি দেন জাপানি লেখক মাসাউকা শিকি (১৮৬৭-১৯০২)। প্রথাগতভাবে একটি উ ...
আমি সূর্যকে শুধিয়েছি তোমার কথা;
সূর্য হাসে।
চুলে গোঁজা কাঠগোলাপকে
শুধিয়েছি তোমার কথা,
ওরা কথা বলে সুবাসে।
আমি নিত্য বসি যে গাছের ছায়ে,
যে পাখি খেলে শাখে,
ওরা আমায় ডাকে;
তোমার কথা বলবে বলে।
আমার কান ছুয়ে থাকা ঘাসেরা
কথা বলে স্পর্শে স্পর্শে।
আমি প্রকৃতির আদরে আদরে,
জীবনের রঙ-রূপ-গন্ধে,
বেঁধেছি হিয়া এক তন্ময় কাব্যে।
সাবধানে ফেলি পা শিউলিমাখা পথে,
শিউলিরা যদি পায় ব্য ...
আমি কদাচিৎ তার মুখোমুখি হই।
তবুও হঠাৎ কোন নির্জন রাতে, আথবা
আমার একান্ত নিজস্ব সময়ে-
তার সাথে আমার দেখা হয়ে যায়।
পালাতে চেয়েছি বহুবার,
বিদ্রোহ কি করিনি একবারও?
তবু কে জানে কোন সুতার টানে---
আমি মূলত তাকে কেন্দ্র করেই ঘুরছি অনবরত
যেমন চাঁদটা ঘোরে পৃথিবীর পাশে।
সে আমার পৃথিবী নয়, কিংবা আমি তার চাঁদ,
কি জানি, যদি বা হয়ও সেটা আমার দুর্ভাগ্য।
দৈনতা
মো: সহিদুর রহমান সুমন (কীরণ)
জ্ঞানী বোঝে জ্ঞানের কদর, মানী মানীর মান,
মূর্খ কি আর তফাৎ বোঝে, ভাবে সব সমান।
সহজ কথা সহজ করে বুঝতে ক’জন পারে?
সহজ জিনিস পেঁচিয়ে তারা শুধুই জটিল করে।
জটিল বিষয় সহজ করার সাধ্য আছে কার?
উদরে বিদ্যা মাথায় বুদ্ধি সাধনার দরকার।
প্রশ্ন কঠিন জবাব সহজ “আমি জানি না”,
তাল গাছটা না পেলে বিচার মানি না।
সাধ্য হয়নি নিজেকে জানার তর্ক করা চাই,
ভরার চেয়ে খালি কলস ...