সেঁধে দিলে নিতে আমিও প্রস্তুত
সচকিত চোখে জমা পূর্ণতা যত
তুমি তুলে রাখতে পারো চেষ্টাযত
ক্ষিপ্তগতি ইচ্ছা লয়ের পাশে অক্ষত
যোগ্য সীমার ঠিক সাড়ে তিনহাত
আমি দেখে নেই দূরকল্পনা মিশ্রিত
ব্যবধান রাখছি টেনে টিনেজের ক্ষত
শীতবর্ষায় লেড়েল্যাপ্টে তুমিও অক্ষত
আত্নকথা যদি বুকের বাঁ-পাশে হয় বিস্তৃত
প্রীতিসম্ভবা নারীর প্রাণশক্তি বহু-প্রতীক্ষিত
নো-মেন্স ল্যান্ডে-এ আমার অধিকার স্থা ...
এই সময়; এই মুহূর্ত ছেড়ে আমি কোথাও যেতে চাই না—
এই ঘাসের চাঁদরে অথবা জানালার পাশে এই বিছানা
তোমাকে আমাকে আবার নতুন করে ভালবাসতে শেখায়;
এখানে; এই মুহুর্তে দু'জনে আমরা বৈশাখের ঝড়,
অথবা প্রিয় কোন চলচিত্রের রোমাঞ্চকর দৃশ্য।
এই সময়; এই মুহুর্তে তুমি গ্রীক পৌরাণিকীর দেবী অ্যাফরোডাইটি—
সাগরের ঢেউয়ে ভেসে আঁছড়ে পড় আমার সৈকতে;
সৈন্দর্য, প্রেম, আকর্ষণ, কামনা সবই তোমায় ঘিরে।
এ ...
ফাঁকি
রাজা মশায় করবে স্নান দুগ্ধ সরোবরে
ডঙ্কা বাজে প্রহরী হাকে সকলের ঘরে ঘরে ।
সূর্য ওঠার আগেই যেন প্রজা সকলে
পূর্ণ ঘটি দুধ খাটি সরোবরে ঢালে।
ব্যর্থ হলে বড়ই কঠিন শাস্তি পেতে হবে
রাজার আদেশ মানতে হবে, প্রতিবাদ হয় কবে?
প্রজা সকল ভাবল অনেক ঠিক করল শেষে
এক ঘটি দুধ সরোবরে এমন কি যায় আসে?
সবাই দেবে দুধের ঘটি আমিই দেব পানি
জানবে রাজা কেমন করে কে দিল কত খানি?
এমন ভাবনা ভাবল সবাই করল তেমন ...
দেহের সাথে মিশে যাচ্ছো তাড়া! অনতিদূরে আসা-যাওয়া মানে আদিপ্রকরণ, শালবন, বিবিধহাওয়া। সর্বশোক ক্রমে ক্রমে জেগেছে অপেক্ষাগাছে, বুঝা গেল এইখানে তুমিও উপলব্দিতে ঘুরো আর স্পর্শে মিশাও যৌথরহস্য, নীলরঙ, কামনাফুল, আবছায়া। এভাবেই আগ্রহ সরে যেতে যেতে বাড়ে মৃদুলুপ্ত উষ্ণতা! বাড়ে দায়বদ্ধতা, ভরাআগ্রহ, আর্তনাদ...
প্রেরণা, একাকী যেতে চাই কিন্তু পারি না; মূলকথা নীরব দর্শক! আপাতত কিছুই চেষ্টা ক ...
এখানে গোধূলি আসে না,
এখানে সন্ধ্যা নামে না মন্দ মন্থরে।
এখানে প্রদীপ জ্বলে না,
জ্বলে না ধূপকাঠি, বাজে না আজানের সুর।
এখানে হাঁ করা প্রকাণ্ড বিকেল কেমন
ক্লান্তিতে ঢুকে যায় কৃশ রাত্রির ক্ষীণ স্তনে -
এখানে সন্ধ্যা নামে না।
যেই দেশে সন্ধ্যা নামে -
যেই দেশে কবি প্রার্থনা করে বিহঙ্গের পাখা না-বন্ধের,
যেই দেশে সন্ধ্যা এলে পাখীদের সাথে সেও ফেরে বাড়ী,
যেই দেশে কুপির আলোয় ফিরে আসে রমণী ...
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
* * * * *
অভিমানে; এই আধাঁরে,
স্বপ্ন হারায় মন..
চাঁদ ছোয়া ওই আকাশ খোজে,
আমার হাসির ক্ষণ।
* * * * *
সময়,
পদ্মপাতার জল বুঝি তুই?
ইচ্ছে আমার,
আদর করে একটু তোরে ছুই..
* * * * *
দিনভর শুভ্র আলো,
রাতের আকাশ নিকষ কালো..
সুরের আগুনে;
ঝলসে যায়,
সাদাকালো পথচলা..
চোখ খুললেই,
রঙিন স্বপ্নের ফুলঝুরি..
চোখ মুঁদলেই;
স্মৃতির রাজ্যপাট,
হাসি কান্নার হুড়োহুড়ি..
কে বলে তুমি নেই..?!
না, এখন আমি আর ভালোবাসি না!
আমি ভুলেছি প্রেম, অভিমান, আকর্ষণ
আমার কাছে এ সবই শুধু কিছু বর্ণের অর্থহীন সহবাস।
আমি চন্দ্রাহত নই—
তবুও এখন আর পূর্নিমা দেখি না।
শীতল নিরবতার ডাকে আমি হাটি সারা রাত,
আমি একবারের জন্যও তারাদের মিছিল দেখি না।
সূর্যের তপ্ত স্বর্নিল আলো আমায় অভিশাপ দেয়
আমি তাই এই অন্ধকুঠুরিকে বানিয়েছি অভেদ্য দুর্গ,
এখানে আলোদের আসতে মানা;
তবুও এখানে কিছু আলো আসে— অ ...
তৈল মর্দন
মোঃ সহিদুর রহমান সুমন
পিএস টু ডিজি, বিআরডিবি
বারোটা বাজে কর্তা মশায় দপ্তরেতে আসেন,
দপ্তরী দেয় চেয়ার টেনে আয়েশ করে বসেন।
চায়ের সাথে নাস্তা আসে আসেন চাটুকার,
এতটা পথ আসতে কষ্ট হয়েছে যে কর্তার।
পত্রিকাতে দৃষ্টি রেখে কর্তা জানতে চান,
কেমন চলছে কাজ কর্ম কেমন সেবার মান?
চাটুকার কয় অতি উত্তম, অতি সুন্দর সেবা,
আপনি ছাড়া এমন চালনা আর করেছে কে বা?
জানতে চাইল কর্তা মশায় জরুরী কি ...
যে পথে ঘরে ফিরি সে পথ কেবলই আমার
নীল -ভূমি জললূপ্ত সাপ
ধূলো-মগ্ন নাচকুমারীর পাপ
যে ঘরে ফিরে আসি সে ঘর ছিলো যেন কার ?
যে পথ ফেলে আসা সে পথে পড়ে থাকে সুখ
কুয়াশায় কুড়িয়ে পাওয়া ভোর
অধীর দূরহ বৃষ্টির পর
থাকে অচল আধুলির সমান অসুখ
-সমুদ্র সন্তান
পূর্বলেখঃ ১৯৮৩ সাল। তখন আমি দশম শ্রেণীর ছাত্র। ক্যাডেট কলেজের আন্তঃ হাউস বাংলা কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় সেবারের নির্বাচিত কবিতা শামসুর রাহমান রচিত ‘বিপর্যস্ত গোলাপ বাগান’। ধুম প্রাক্টিস চলছে আমাদের হাউস টিউটর ও বাংলা শিক্ষক জনাব সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে। আবৃত্তিতে বিগত তিন বছরের শিরোপা আমাদের। দু’তিনদিনের প্রাকটিসেই কবিতাটি মোটামুটি আয়ত্ত্বে এসে যায়। এর পর চলে ন ...