কার ডাকে ঘরে ফিরি?
কে দেয় সেই ঘর ছাড়া ডাক?
সেই পথে হাঁটা
বিকেলের বুক চিরে -
হাত ছুঁয়ে গেলো, ছুঁলো বুঝি?
এই পথ চলা, এই হাঁটাহাঁটি, চলা নাকি?
নাকি প্রতি পায়ে আরও দূরে চলে যাওয়া?
এই বুঝি শেষ হাঁটা?
দূর দেশে?
যেই পথ গুটায় প্রতি পায়ে,
সেই পথ, পথ বুঝি?
কার ডাকে ঘরে ফিরি?
কে দেয় সেই ঘর ছাড়া ডাক?
এই পথ চিরদিন _______
প্রখর এর কবিতা
পথ চলে যায় -
পায়ের পেশন পিশে কিছুটা ফাঁক গলিয়েও
সময়ের হাতে, স্রোতের তোড়ে,
কালের নিশি, কিংবা বেলার রোদে
কালো পীচ, ইট, বালি, শুরকির তপ্ততা
এখানে ওখানে খানা খন্দে চাকার পতনের মূঢ়তা
ঘষটে ঘষটে চলা পেট ভর্তি বাতাসের হাসি
যেন জীবন পারি দিয়ে খয়ে যাওয়া সরকারি ক্ষয়কাশ।
গলি থেকে উপগলি পত্নী, কিংবা তাওয়াইফ লুকোচুরি
চ্যাপ্টা বোতলের মুখ আধো নিমজ্জন, ...
মাঝরাতে জেগে উঠি
চোখ থেকে বিভোর ঘুমের ঘোর কাটতে না কাটতেই
স্বচ্ছ স্বপ্নের দল আমাকে ভাসালো আনন্দে
আধো ঘোরে আমি তাঁর স্নিগ্ধ হাতটি খুঁজি
ভালোবাসার হাতটি তাঁর
আহা কি মধুর কোমল ভরসার
পাশে নেই শুয়ে,
জানালায় দেহ মেলে দিয়ে ঠায় আছে দাঁড়িয়ে
ঝাপসা আঁধারির অনির্বচনীয় মূর্তিমায়
অন্ধকার তখন নিপুন শিল্পীর মতো
জোনাকি রঙে আঁকে প্রতিমার
আবছা অবয়ব
নগ্ন মাতৃত্বের ভার যেন তাঁর ছুঁয়ে ...
আমি হাঁটি, বোধে মিশে আরেকটু পাশাপাশি
হাঁটার মাঝখানে আমাদের দূরত্ব ঠিক কত?
হাঁটার মাঝখানে আমাদের নীরবতা কত?
জানো না বলেই
নতমুখে আকাশে তাকাও আর বলো—
শেষ পরাজয় দেখি না বলে
দূরত্ব এভাবেই শেষ হবে না নীরবতায়
২.
অন্ধকার; বড় আদরের নাম
অন্ধকার যে রঙ মাখে
সে রঙটাই বেশি প্রিয়
অন্ধকার চোখে জড়ালে নাক টানাটানি
ভারী অন্ধকারই একদিন হবে চিরস্থায়ী
তুমি ডাকবে যখন, জাগবো আমি…
[ইদানিংকার লেখাগুলোর মত এটাও তৃপ্তিদায়ক হয়নি, তবুও বিষয়বস্তু প্রিয় হওয়া বিধায় শেয়ার করা]
একক
ফারাবী
আমি নাচছি, আমি নাচছি
আমি আমার সাথেই নাচছি!
উর্ধ্বগ্রীবা, উদ্বাহু হয়ে দুনিয়া নরক একসাথ করে
উন্মাদ হয়ে হাসছি-
আমি হাসছি।
উন্মুক্ত নটমঞ্চ পিছল, কাটা মুন্ডুর গড়াগড়ি-
ঢেউ তুলে তুলে দেহ দুলে দুলে নাচছে সবাই-
নাচো রে!
বিশ্বজগত কাঁপানো শব্দে মাথা ঢুকিয়ে ভোলো কোন অব্দে
কোন ভূসীমানায় ...
ঘুমের ঘোড়া নেমে এল
অন্ধকারে তারার সমাধী
তবু আমার জেগে থাকার স্বাদ
কুড়ায় সুখের সোনা
সুক্ষ তারে বোনা
দিন শেষে থাকে স্মৃতি
কে কবে ধরেছিল হাত
আর খুব পাশাপাশি বসেছিল
- সমুদ্র সন্তান
[মাঝে মাঝে কি হয় বলা মুশকিল, পুরানো খাতাপত্র নিয়ে বসি। ইচ্ছে হলে পুরানো ডায়েরীর কল্যানে খানিক নস্টালজিক হয়ে ফেলে আসা দিনে উঁকি দিয়ে আসি। কখনো সমস্ত দিন তার রেশ নিয়ে কাটে, কখনো সমস্ত দিনের রেশ কেটে যায় ওদের নিয়ে বসে। আপাতঃ মূল্যহীন, টেবিলে ধুলো জমানো জঞ্জাল হঠাৎ করেই মূল্যবান হয়ে ওঠে- বইয়ের আড়ালে পড়ে থাকা খেলনার টুকরো হয়ে ওঠে আলাদীনের চেরাগ। চোখে আশ্চর্য মমতা ভর করে- ছোট ছোট এলোমে ...
০১
মিজানুর রহমান চলে গেছেন। আমি জানতাম তিনি চলে যাবেন। কারণ তিনি যে বড় অন্যায় করেছেন। তিনি এক অবলা জাতির প্রতি দরদ দেখিয়েছেন। আরে ওরা কি আমাদের মত নাকি। তাদের দিকে দূর থেকে ঢিল ছুড়তে হয়, ভেংচি কাটতে হয়। এতেও মজা না পেলে ধরে নিয়ে কিছু একটা কর, তোমার যা ইচ্ছে। কেও কিচ্ছু বলবেনা। বলবে কেন? ওরা যে মেয়ে। মিজানুর রহমান এটাই বুঝেননি। হয়ত বুঝেননি কারণ তারও ছোট ...
ভাবার যত বিষয়ই থাক; ঘোর অন্ধকারে বিছানায় শুয়ে পুরনো গান শুনলেই কেনো জানি তোর মুচকি হাসির মুখোচ্ছবি দূর অন্ধকারে উড়ে পিপাসাধিক মৌনহাওয়ায়! মৃদু সংক্রমণ আর বিরহবিলাস একই গতিপথে হেঁটে যাচ্ছিল বলেই কি চোখকেও আলোকিত করে?
সব পথ জানাশোনা ছিল, তাই পথ চিনে কত আগেই চলে গেলে অনেক দূরে... কেনো যে এখনো মাঝেসাঝে আসিস ঘুমঘুম চোখসহ গানের পরতে হেসে ও ভেসে!
কিছুই অবশিষ্ট ছিল না বলে অধিক পিপাসা... ত ...
শেষ ট্রেনে উঠে বসলাম ঘরে ফিরব বলে।
খবরের কাগজ
অর্ধেক স্যান্ডউইচ
পকেটে রক থেকে রবীন্দ্রনাথ
আমাকে ব্যস্ত রাখার উপাদান ছিল যথেষ্ট
কিন্তু জানালা ভেঙে ঢুকে পড়ে আমার ব্যক্তিগত অন্ধকার।
এই অন্ধকার তুমি নিউটন আইনস্টাইন দিয়ে ব্যাখা করতে পারবেনা
এখানে আমিই ঈশ্বর, আমিই লুসিফার, আমিই আদি মানব।
কখনো আমি স্বর্গের উদ্যানে ফোয়ারা মেরামত করি
কখনো খাবারের খোজে শিকার করি হরিণ শাবক
কখনো ...