[নিজের লেখা হস্তাক্ষরে দেখি না অনেকদিন, শাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের হিটু ভাই হাতে লিখলেন ১৫ বছর পরে, তাও বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টার লেখার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে! লিখে আবার স্ক্যান করে সাথে সাথে পাঠালেনও! সৌভাগ্য আমার দুই দিক থেকেই! কৃতজ্ঞতা তাঁর প্রতি।
আমি কবি, এই পরিচয়টা অত্যন্ত গোপনীয়! অন্তত একজনের জন্য হলেও মাঝে মাঝে লিখি, তার জন্যই লেখা এই কবিতাটা ]
...
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
আরেকটি সকাল..
হারিয়ে গেল,
মরুভুমি উষ্ণতায়..
গাছের একটি পাতা-ও,
নড়ছেনা যেন আজ..
অলস সময় বয়ে যায়,
বালুঘড়ি নিয়মে..
দেয়ালে ঝোলান,
মরচে ধরা ঘড়ি..
সময় জানাবে কীসে?
সে তো,
কেবলি অতীতের গান গায়..
বন্ধ দরজায়,
মাথা কুটে মরে..
সুখ-রাংতা মোড়ানো;
হতাশায় বাঁধা,
বুনো গাংচিল..
তবু-ও;
জানালা গলে আসে,
এক ফালি রোদ্দুর..
অগোচোরে,
পড়ে থাকে..
চোখের আড়াল,
ভুলে যাওয়া ক্ষণ..
গাছের ফ ...
(১০ বছর আগে চেষ্টা করেছিলাম এই কবিতাটা লিখতে, লিখেছিলামও। তবে এটা কবিতা হয়েছে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয়। একময় গান লিখতাম, এখনও বন্ধুদের পিড়াপিড়িতে লিখতে হয়। তবে কবিতার ব্যাপারে আমি সবসময় ভীতু। ফেসবুকে কবিতাটা পোষ্ট করেছিলাম অনেকদিন আগে। আজ এখানে দেওয়ার লোভটাও সামলাতে পারলাম না। এটা সচলে আমার দ্বিতীয় কবিতা। সমালোচনা কাম্য।)
যতোই মাখো-না শরীর পললে মেঘলা রঙের শাড়ি
ছুরির ধারে ক্ষতবিক্ষত করি তাঁর চিন্তা
কেটেকুটে দেখি কত অনুভূতি,
কত কথা,
কোথায়, কোনখানে..
কতটুকু, কার তরে..
তাঁর ক্লান্তি স্পর্শ করে
আমাদের,
আধো-আলো-ছায়ার এই লাশকাটা ঘরে।
উদাসীন চোখ তাকিয়ে থাকে তাঁর তবু
অন্ধকারে উঁকি দেয়
প্রেম ঘৃণা নির্বিশেষে
ভালবাসে, বাসাতে চায়
কী এক আশ্চর্য ভাবালুতায়..
আর আমরা হাফ ছেড়ে বাঁচি
অপেক্ষা করে থাকি
আরেকটা দিনের কাটাকুটির আশায়।
আমরা কেবলই ঘুরে ফিরে আসি এই একই বধ্যভূমিতে
যেখানে একদা আমাদের অগ্রজেরা করে গিয়েছেন প্রাণপাত;
যে মাটির ঘাসেরা আজো ভুলে আছে সবুজের ঘ্রাণ।
ঘুরে ফিরে প্রতিবার এখানে এসেই ভুলে যাই কেন
আমাদের বাকি আছে আরো কাজ। তবুও আমরা
ধানের জমিতে আগাছা তোলার বদলে রুয়ে আসি বল্লমের ফলা।
সেঁচের বদলে দেখি সদ্য বিধবার আহাজারি, পিতৃহীনের অশ্রুপাত।
তবু ঘুরে ফিরে কেন এখানে কেবল? লোকালয়ে বাড়ছে হিংস্র ...
সূর্যের তাপে ঘামে ভিজে দেহ ক্লান্তিতে পড়ে নুয়ে
মধ্য দুপুরে ঠেলা ঠেলে নিয়ে চলেছি এ পথ দিয়ে
সামনে আমি হাতা ধরে টানি পেছনে কিশোর ছেলে
গাড়ী সাইকেল রিক্সা পেরয় আমাদের পাছে ফেলে
রাজপথে জ্বলে লাল রঙ বাতি দু’দন্ড থামতে হয়
যন্ত্রের মতো ব্রেক চেপে থামা আমার কি শোভা পায়?
তবু ঘাম মুছে গতির লাগাম দুই পায়ে চেপে রাখি
ট্রাফিক পুলিশ রক্তচক্ষু আমি ভয়ে ভয়ে কাঁপি
কত বাসা-বাড়ী বদলী হলো, কত মন হলো ...
ক্রিষ্টাল
চুপ চর্চায় পেয়েছিলাম অসত্যভাষণ
ক্রিষ্টালের গলায় ঝুলা অনাসক্ত শোষণ
মৃদু হাসলে প্রস্তুত রাখো তোমার—
ঠোঁটের আলোড়ন!
এবার এসো, অ-স্থির হয়ে বসি; স্বপ্নের মুখোমুখি
ঘরে ফেরার শিথানে দাঁড়াবে কী? ঘুমহীন পাখি
ডিপ্রেশন, ঘুমরাত স্বপ্ন হয়ে আসে বিশ্রাম
অতিসংবেদনে তার অবস্থান নির্ণয়, যদি
বলা যেতো! বিস্ময়ে এমন অবান্তর ইচ্ছাকে
দূরে ঠেলে কবিতায় মুখ লুকাতে হতো না;
আমার চাওয়া-পাওয়া এরচে' বেশি ছিলো না
বেপরোয়া ইচ্ছ-অনিচ্ছা অবস্থান কল্পে
ডিপ্রেশন কেটে গেলে কখন যে স্বস্তিতে
নিয়ত সময়ক্ষেপণ, এ ভরা শীতে
----------------------------------
-হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
তুমি নেই, তবু কিছু ছায়া জেগে আছে
তাতে বৃথা বৃষ্টিপাত--সমুদ্রঘুম
যে যাবার সে বহুদূর চলে গেছে--একা
এলোমেলো হাওয়ায় পায়ের কাছে উড়ে এলো কিছু ধুলো
এতোকাল ভুল বিশেষণে ইতি-উতি অপ্রস্তুত পড়ে থাকা
বলে গেল সুপ্রভাত; শিউলিভোর !
শুধু, মাঝে-মাঝে জলের সাথে ভাসতে-ভাসতে
কিংবা ছড়িয়ে যেতে-যেতে তার ছবি ভেসে আসে
মনে পড়ে
সেই কবে সে গানের সাথে ভেসে গেছে
কালস্রোতে !
জীবনানন্দ ট্রামবাসে চেপে বরিশালের ট্রামলাইনের আলোয় যে পথ আমাদের ব্রেনে খেলা করে তার আলোয় একা এবং কয়েকজন দিঘী হয়ে যাই। বিবির পুকুরের চোখে চেপে এই ভ্রমণ অনাবিল বিশ্রামের ঢেউ বুনে দেয় গাতিজালে। পদ্মপুকুর, লালাদিঘীর পাড়, দুর্গাসাগর, অক্সফোর্ড মিশনের রুটে চলে রুপাতলী থেকে বেলতলী খেয়াঘাট, লঞ্চঘাট থেকে মাধবপাশা হয়ে আমাদের জার্নি ভ্রমণক্ষুধা বাড়ায়। ভূবনচিল পাখা মেলে। বার্ডশুটার ...