সভ্যতা চিনবে বলে আদিম একটি নর
গুহার আশ্রয় কিম্বা আরণ্যক ভিটে
ছেড়ে পা বাড়ালো পৃথিবীর দিগন্তের পথে
ব্যাক-প্যাক, হ্যাভার স্যাক নেই পিঠে
নির্জলা জিগীষা শুধু করে আছে ভর
তার খুলির ভেতর।
সময়ের ঘোড়া চেপে পেরুয় সে কালের চাতাল
তখন প্রভাত আলোর হামাগুড়ি নাবাল
জমিনের উপর, অরণ্যের পথে।
এখানে রক্ত কেন? অগ্রযাত্রার এই রথে?
এখানে ঘাসের শিশির কেন ধরে আছে
অশ্রুবিন্দুর মতো নোনা ঘাম? অতশত না ব ...
নীলভয় পাথর চাপায় যথেষ্ট ক্ষমতাবান হয়! বিবর্ণরেখা আমাকে গ্রহণ করতে চায়; প্রতিক্ষায়। পুরো অধিগ্রহণ যাকে বুঝায়। দেহবারতা,আমাদের পরিণাম কি এভাবেই নামতে শিখেছে আঁধার ছায়ায়। ভয়, দাহতা নিভে গেলে আমাদের জিজ্ঞাসা গলে গলে কতোই হবে আর একটুকরো মোম
আহত করো না প্রিয়লজ্জা… যতক্ষণ তুমি বাজুতে রহিয়াছো খাড়া। তোমার দেহ- বাতাসের দোলায় উৎকন্ঠা-অপারগতা লাগে নিষ্ক্রিয় এই আমি আত্মতুষ্ট শীতরাতে। ...
অর্হনিশ কার্নিশে দুটো শালিক
আসছে, যাচ্ছে, কিশোরী চন্দ্রার মতো
অমন হলুদ পায়ে জলতরঙ্গ ।
বইয়ের পাতা উল্টে কার চোখ
জানালার আরও ওপারে
কলেজপড়ুয়ার পড়ার টেবিলে
আছঁড়ে পড়ে ?
সিলিং এর হাওয়ায় উড়ছে -
এক্স স্কয়ার প্লাস ওয়াই স্কয়ারের ফর্মূলা,
হুমায়ুন আহমেদের কিশোরী উপন্যাস,
আর আমাদের পাঠিকার শালিক হৃদয় ।
বই তুলতে সাড়ে দশটায় কলেজ
যাবার আগে, যদি সে তাকায় -
রাস্তা পেরিয়ে, এপারে জানালায়,
শালি ...
~ছবি~
ফারাবী
সেদিন আমার খুব দুঃখ হয় যে আমি চিত্রকর নই।
সেই ক্ষমতা নিয়েই আমি জন্মাইনি।
হলে হয়ত ওই ছবিটি এঁকে আমি বিশ্বজয় করতে পারতাম। রং-তুলি, পেনসিল আমাকে কখনই ভাব চিত্রায়নে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা করতে পারেনি। তখন আমার তাদের অন্তরঙ্গ সহযোগিতার অভাব খুব গভীর ভাবে অনুভূত হয়।
অগত্যা কি করা। আমি আমার আবাল্যবন্ধু শব্দ, ধ্বনি বাক্যদের কাছেই ফিরে যাই। অক্ষর ঘষে ঘষে আঁকি সেই স্পষ্ ...
দিন যে কাটে তোরই মতো
ক্লান্ত আমার স্মৃতি যত,
বসে থেকে নীরব একা
পাইনা যে তোর চিঠির দেখা ।
সাঁতরে নদীর পারে পড়ে
কষ্ট নদীর ঢেউ
ধেয়ে তরী তার উজান বেয়ে
আর আসেনা কেউ।
যেথায় থাকিস, কাছে ডাকিস
বন্ধু ভেবে পাশে,
জলভরা চোখ শক্ত মুঠো
শেষ কথারি শেষে।
কেউ জেগে নেই। এ সময়ে কেউ কি জেগে থাকে? স্বপ্নে বিভ্রান্ত! আত্নগোপন! অবচেতনে হাৎড়ে বেড়ানো চাওয়া-পাওয়া। বসন্তস্বপ্নে কে উঁকি দেয়? আবারও বিভ্রান্ত! হৃদয়ের বাঁধ ভাঙতে-ভাঙতে সাঁতার কাটা সময়ের তোড়
২.
বাইরে সুরের মূর্ছনা। ঝিঁ-ঝিঁ পোকা মেলেছে সুরের ডানা। বলেছি, আর আত্নগোপন নয়। এসে-ই পড়ো এই ধরায়, এই সুরের মজলিশে। বরাবর নিজেকে গোপন করে কি পাও?
৩.
ওহ! আমাকে নিয়ে চলো অজানায়... জীবনাঙিনায় তবে ম ...
আগ্রহ, নিঃশব্দে যত্রতত্র ঘুরো। সবই দেখি, শুনি… শুধু শুনি না চুলের আওয়াজগুলো কিভাবে দলা পাকিয়ে দূরে দাঁড়ায়; পুনরায় জাগিয়ে তোলো রহস্যময় নিঃসঙ্গতা। ভাবুক পৃষ্টাগুলো একত্র হলে জ্যোৎস্নায় মিশে থাকে ছায়াপালকসহ হাজারতারা। দৃষ্টি থেকে খসে পড়ে কলঙ্ক, হারানো রূপ, লোভাতুর নীরব ভঙিমা… এইবার দেখা যাবে রাত্রিফুলগুলো কিভাবে লাফিয়ে ওঠে খোলা জানালার শিকে
চিরে-খুঁড়ে দেখো, অনির্দিষ্ট কাল ...
----------------------রোমেল চৌধুরী
জানি আমি থাকি একটি নিরালা গৃহে
তার, চিহ্ন মুছেছে বহু বসন্ত আগে
গর্ভগৃহের দেয়াল ক'টির ওপর
সূর্য পরায় রোদেলা আলোর টোপর
আর, বেগূনী শাখার বুনো কুঁচফল জাগে।
জীর্ণ বেড়ায় আঙুরলতার আঁচল
গাছে গাছে ভরে নিড়ানো ক্ষেতের কোল
কাঠুরেরা মাতে বৃক্ষের সংহারে
পাবে নাকো খুঁজে কুয়োতলা বরাবর
পায়ে হাঁটা সেই পথের চিহ্ন আর।
আমি বেঁচে আছি বিচিত্র হৃদয় মাঝে
দূ্র নির্জনে বিস্ম ...
(আকারে প্রকারে ছোট লেখা সচলে দেওয়ার একটা হ্যাপা আছে। নীড়পাতায় বেআব্রু হয়ে বেড়িয়ে পড়ে বেশির ভাগ। সেটা ঠেকানোর জন্যে কবিতার শুরুতে এমন আবজাব বকি সাধারণত। আজ দেখি বলার মতো তেমন কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। অনেক দিন পরে একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম, কোন মতে শেষ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। সে ভালো লাগাটাই সবার সাথে শেয়ার করি না হয়...)
প্রতিরাত বারটা তেইশে
নিশ্চুপ রাস্তার পাশে
আমাদে ...
আমাদের ঘর, তার অন্তঃস্থ ঝগড়া
একে অপরের কাছে একে অপরকে কেবল মানুষ করেছে।
আর আমাদের প্রেম দুজনকে মানুষ করেছে জগতের কাছে
আমরা ভুলেছি একটি পুঁই, কলাপাতা কিশোরির চুল, কিংবা কৃষ্ণচূড়া।
মুঠোয় বোনা বন্য গোলাপ আমাদের সমস্ত দেহ শুষে ধারালো হয়েছে
না মেটা কোলাহলগুলি ফুল হয়ে ফুটেছে শোধবোধের চাদরে।
ভাবনা মোর চমকিত, কখনো গভীর চোখে দেখেছে দুরন্তপনা
আমাদের গাওয়া গানের পংক্তিমালা
তা ...