তারল্যের ধর্ম এমনই যে
পাশাপাশি থাকলে -
কিছু অভিস্রবনতো ঘটবেই;
ভালোবাসোনি জানি,
তবুতো বাস বহুকাল পাশাপাশি,
দূরে চলে গ্যালে –
অন্তত কিছু হারানোর কষ্টতো হবেই।
আমাদের রূপকথার নায়ক নায়িকা আমরা নই,
যারা ছিলো, তারাও ভুলে গ্যাছে
কৈশরের সব সোনার কাঠি-রূপোর কাঠির গল্প,
বড় হয়ে সকলেই বুঝে যায় কৌটোয় থাকেনা ভ্রমর,
কিংবা কাকে বলে কাফ লাভ্ অথবা ইনফ্যাচুয়েশন,
ফ্রয়েডিয় কঠিন জালে আটকে পড়ে অবি ...
যখন আমি
মগ্ন-চেতন
শব্দে শব্দে
ফুল ফোটাতে
ফাগুন মাসে;
সবাই তখন
আমায় দেখে
আড়াল থেকে
মুখ লুকিয়ে
মুচকি হাসে।
যখন আমার
বন্ধুরা সব
তাস পেটাচ্ছে
আড্ডা দিচ্ছে
উঠছে হেসে;
আমি আপন
মুদ্রাদোষে
বিলোল নেশায়
ছন্দে ছন্দে
যাচ্ছি ভেসে।
উদাস মনে
নদীর তীরে
একলা বসে
কইছি কথা
জলের কাছে;
বন্ধুরা সব
ব্যস্ত ভীষণ
প্রমোশন আর
প্লটের বুকিং
আটকে আছে।
আসলে তুমি
বললে আমায়
লজ্জা ব্রীড়ায়
প্রেমে ...
আঘাত দাও, মুগ্ধ হই। অপেক্ষাভ্রমে চমকে দাঁড়াই। রাত্রি প্রত্যাশায় সারাদিন ঘুরি। আকাঙ্ক্ষায় রাত্রি জাগে না; একাই জাগি। রাত্রিপরিচয় সর্বদা নিচুপথে হাঁটো, পতন শেখাও। জানা গেল না; ভরা চোখে কত নিষেধ আছে। জানা গেল না; চোখের ভেতর কত সুখ জাগে। কেবল খুনি করো জলঠোঁট অপরিচিত ঘ্রাণে
মেজাজ ভালো নেই। কিছুই মনে পড়ে না। বিশ্বাসী, তোমার কাজ কি শুধু মন খারাপ করা? আমাদের মন খারাপ হলে প্রবলতৃষ্ণা চ ...
আপনি একটি আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন
জেনেশুনেই যে, আমি একজন উদ্বাস্তু
তখনও আমরা রাত্রির নির্জনতা লংঘন করে মাঝরাতে
একটি চাঁদ ভাগাভাগি করে খাই
কি কারণে আপনি সমর্থন তুলে নিলেন
সেকথা কিন্তু আজও বলেননি!
আমারও বলা হলো না
নিতান্তই জঙ্গল থেকে ছুটে আসা হরিণী দৃশ্যের লোভে
আমরা রাজনৈতিক গাঁটছড়া বেঁধেছিলাম
উপযুক্ত প্রতিশব্দের খোঁজে ভোর হতে হতে
হঠাৎ আবিস্কার করলাম
আসলে কোন হর ...
জীবনের ছোট ছোট ধাপ গুলো
যদি তোমাদের ইচ্ছে করে,
মিলিয়ে দেখ।
অনেক ছোট ছোট স্বপ্ন
ঝরে গেছে শিউলি মাখা ভোরে।
চাইলেই যায় গেঁথে ফেলা,
সময়ের গ্রন্থিতে আমার ব্যর্থতার মালা।
তবু শিউলির মত শিশির স্নানে
আমি আড়ালেও আর সিক্ত হব না।
হতে চেয়েছে আমার প্রত্যয়,
স্নিগ্ধতা জড়ানো রোদ্দুর।
বাতাসের মত চঞ্চল,
মৃত্তিকার গভীরে প্রোতিথ জল।
হব সেই তরুণ শ্যামল,
যার ছায়ায় তোমরা খ ...
মাইট্টা খোলের ধূম্রকাতর হাবশী
চেতনজ্বরে আমসি মুখের গ্রামসী
ভুরভুরি-ধ্বক ধূসর-শাবাব পল্টি
বীটলবণেই একশটে ভুশ্ ঘোলটি
ঢোলের ঘিঞ্জি ঘোলের বাদ্য তাকধিন
ভোলে'র মজমা ব্যোমভালোনাথ রাতদিন
মজমা খালাস জজবা তালাশ ধিনতাক
শুকনা ভোরে ফালতু ডাকে তিন কাক
চিত্তহজম নিত্যখসম গুগলি
উল্টোকদম পাক্কাকসম চুকলি
ঘুলঘুলি চোখ বৈতালি ঢোঁক সিদ্ধ
বুলবুলি হোক চুলবুলি ঝোঁক ঋদ্ধ
সিদ্ধাসিদ্ধ আসম ...
সংগ্রাহক
রংচটা একটা বিকেলকে কাঁচের বোতলে পুরে শোকেসে রেখে দিয়েছি,
ধূসর কোনো মেঘলা আকাশ গুড়ো করে রেখেছি রূপার অ্যাশট্রেতে ,
জোছনার মৃত আলোকে বন্দী করেছি মেহগনী কফিনে,
নীলচে শকুনের স্টাফ করা শব সাজানো ঘরের এক কোনে,
এক খন্ড জমাট বাধা লাভা এনেছি জ্যান্ত আগ্নেয়গিরি থেকে ,
আরো কিছু জিনিস খুঁজছি,
এই যেমন ধবধবে সাদা ইউনিকর্ন, নিশ্চুপ উপগ্রহ
আর কি যেন একটা..
ঠিক মনে পড়ছে না।
--রিম ...
ঝুলবারান্দার পাশে প্রতিদিন একটি কাক
ভোরের আলো ফুটে উঠতে না উঠতেই গলা সাধে
বিচিত্র ভঙ্গিমায় ।
পালকের ভাঁজে ভাঁজে অসম্ভব আকাশের ডাক
কিম্বা ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্টের মোহন সংবাদে
উপেক্ষার হিম হানে, নির্জলা নিঃস্পৃহতায় ।
মাঝে মাঝে একটি কি দু’টি ঘুঘুর ডাক
দুপুরের স্তব্ধতাকে ছিঁড়ে স্পন্দমান মেঘের ভেলায় ভাসে
আকাশের নীলে দৃষ্টি মেলে নির্বাক
সোনালী ডানার চিল হয় সে
নিষ্ফল চেস্টার ...
দাঁড়াও রোদে, আমি দেখি সালোকসংশ্লেষন
নিয়নের মতো এ্যাতো বায়না ধরো সর্বাঙ্গে
আপাদমস্তক টানাটানি প্রীতিসহ গভীর চোখে
শোধ পাবার আশায় আমাকেও ঋণী করো
স্পষ্টবর্ণে, বহ্নির ধ্যানে দূরঅব্দি বানাও
বোবাদর্শক...
নিজেকে খুঁজি স্বপ্নমহিমায়, মশারির আলোয়
ভাগ্যিস আমি আজও বেঁচে আছি সতর্কতায়
ভরাদৃশ্য অচেনা মোহে নয়, কাছে দাঁড়ালে—
তোর বিশ্বস্ত চোখ আমাকে শিখায় নিরবতা
জলপ্রাচুর্য, জলপতন
আমাক ...
আমি ক্যামেলিয়া ছুঁড়ে ফেলেছি
প্যারিসের রাজপথে আমার হাহাকার,
অথবা আমাজানের গভীর বনভূমিতে
ফেলে আসা কিছু স্বপ্ন...
কনস্ট্যান্টিনোপোলে জমিয়ে রাখা ভালবাসাগুলো
ব’য়ে এনেছি তোমার দরোজায়;
---খুলে দাও---
শেলির কাব্যগাঁথা জঞ্জালের স্তুপ,
ফ্রস্ট এখন বোগাস বু-র মত অদৃশ্য
জীবন থেকে। মধুসূদন হারিয়েছি মধুর ক্যান্টিনে।
লংফেলোর এক এনশায়ান্ট মেরিনার আমি,
দু’হাত ভরা কাগজে আছে আমার কবিতাগুলো;
...