[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
দিন কাটে,
কাটে দিন..
আধেক জেগে আধেক ঘুমে;
একটু সুখ আর আধেক সুখে,
মন খারাপ আর খানিক হেসে..
সূ্য্যিমামার কল্যানে ফের,
দুঃসহ দিন..
আসে রাত,
নির্ঘুম রাত..
স্বপ্নে ভাসা;
চা'য়ের কাপ আর কফি'র সাথে,
মন-আকাশে টর্নেডো ঝড়..
যায় চলে দিন,
রোজ এমনি..
অপেক্ষাতে,
বৃষ্টিবিহীন..।।
প্রাপ্তির অনুভূতি চোখ আলোকিত করে! সব প্রাপ্তি ধরে রাখা যায় না তুমুল আলোড়নে... প্রাপ্তি বেশি কিছু নয়; অর্গল কথা বলি পোড়াবুকে। একটাই দোষ গোপন করতে পারি না মোহ ভঙিমা, সরলতায় পুড়ে
শরমিন্দা, আমাকে ছেড়ে দাও। আমি ঘুমাবো। ঘুমোতে যাবো। দিনের ব্যস্ততা কেটে গেলে বেশ ক্লান্তি লাগে। ক্লান্তিটুকু আলাদা করতে পারি না বলেই ঘুম-ঘুম লাগে। পবিত্র হও ব্যাকপেইনের যন্ত্রণা। সহ্য হয় না পায়ের শিরাগুলো ...
একটি দুপুর মগ্ন কিশোর দরজা খোলা
একটি দুপুর কেমন যেন আপন ভোলা
একটি দুপুর গুটি গুটি কাছে আসে
একটি দুপুর থমকে থাকে বুকের পাশে;
একটি দুপুর হঠাৎ করেই দমকা হাওয়া
একটি দুপুর নিঝুমপুরি ভূতে পাওয়া
একটি দুপুর চুপিচুপি একলা মাঠে
একটি দুপুর ঝিম মেরেছে পুকুর ঘাটে;
একটি দুপুর স্বপ্ন আনে বইয়ের পাতায়
একটি দুপুর আঁকছে ছবি ছেঁড়া খাতায়
একটি দুপুর ঘরের চালে কুমড়ো ফুলে
একটি দুপুর দুলছে শাখায় দ ...
তোমার তখন একত্রিশ
তাজা আগুনের স্বাদ নিতে নিতে চূড়ান্ত নির্বাসন,
এই ওরা পেরেছিল বারবার, যার শুরু যখন তুমি সতেরো,
খুঁজেছিলে সাধারণের স্বপ্ন আর বিপ্লব রাজনীতির ভুল পথে
অথবা যার কোন পথ নেই,
বলেছিলে গল্প, হাতিয়ার আর ক্ষুধার চিরন্তন সংঘাতের
চোখে তুলেছিলে আঙুল সেইসব বুদ্ধিজীবীদের যারা রাজনীতি করেনা,
শুধু প্রচুর সুখে আর প্রাচুর্যে হয়ে থাকে অথর্ব, অকেজো
শিখিয়েছিলে বিপ্লবের দ্যুতি ...
দূরত্বহেতু সকল মহিলাকেই
কখনও কখনও নারী বলে ভ্রম হয়
তারপর অন্ধত্বহেতু প্রেম
এবং অদৃষ্টহেতু অংশীদারী জীবন।
বস্তুত এখানে সকলেই নিছক মহিলা
কদাচ কেউ কেউ নারী
কেউ নারীবৎ।
অসমাপ্ত ভালবাসা
এখনও চেয়ে চেয়ে পিপীলিকার ওঠানামা দেখি চৌকির পায়ায়
হুইসেলের শব্দে বন্দি জীবনে কত ট্রেইন আসে , প্রস্থান আসে
ভাবনার বেড়াজালে দেখে পিপীলিকার ব্যস্ততা , সময় চলে যায় ।
কখনও কখনও চিন্তাগুলোকে দেয়ালের ফোকরে ঢুকিয়ে দিয়ে ,
স্বান্তনার প্রলেপ বুলিয়ে যাই ।
অজস্র নারিকেল ছায়ায় মুখ লুকিয়ে কাদতে ইচ্ছা হয়,ভালবাসা
কেন যেন শেষ হয়ে আসে ।
সম ...
মিশে যাব একদিন নরম মাটিতে
আমিও তোমার মতো, আগে আর পরে
পথে পথে, কিষাণের পায়ে পায়ে—
বহুপথ ঘুরে
চৈত্রের বাতাসে উড়ে উড়ে
মেটাব পথের পিপাসা, যদি থাকে
তখন তোমাকে চিনে নিতে লাগে যদি হাজার বছর—
তাড়া নেই কোনো—
পলির পরত হয়ে সোনালি ধানের শীষে
জীবনের সফলতা খুঁজে নিতে, তাড়া নেই কোনো
স্মৃতি বিস্মৃতি মান-অভিমান
নেই আর, নেই আর উচাটন মন সাধা
ততদিনে জেনে গেছি ভালোবাসা:
সেতো তুমি আর আমি
হয় ধুলো ন ...
অদ্ভুত!
কাঞ্চণজঙ্ঘা থেকে ভেসে আসা মেঘ
সেইদিন আমাকে ডাকেনি!
ওই মেঘ দিয়েছিল কত শ্রাবণঝরা রাত,
যার অপার্থিব চেতনায় হারিয়েছি আমার ভেতরের আমাকে,
সেইদিন আমাকে ডাকেনি!
আমাকে ডাকেনি সেদিন উদ্বাস্তু স্বপ্নেরা,
টুকরো শব্দগুলো চায়নি
আমার কলমে আরেকটি ভালোবাসার গান,
অথচ আমি তো চেয়েছিলাম আর একবার বাঁধনছেঁড়ার ডাক,
আর একটি উত্তাল জোছনা,
আর একবার যদি ছুঁয়ে দেয়া যেতো
গরবিণী! তোমার ওই হাত...!
...
"ঘর ছেড়ে যে বাইরে গেছে তার থাকে না ঘর বাড়ি
শহীদ কাদরী"
সব ফেলে
কতবারই তো নেমেছি রাস্তায়
শেষ ট্রেন ফেল করার তাড়াহুড়োয় চেপে বসেছি
আন্তঃনগর হৃদয়ে-
জলের ঝাপসায় চোখ পাথর হয়ে গেলে
বিরতিহীন বাসও বিরতি নেয়-বাইপাস
পথেও ব্যারিকেড থাকে-ঘুর পথে ঘুরতে ঘুরতে
ভুলে যেতে হয় স্নেহের ঠিকানা-
তবুও তো কতবার
বদ্ধ পাগলের মত সব উড়িয়ে গুড়িয়ে
পরিচিত কড়া দুটি নাড়তে গিয়েও
ভেতরের ক ...
অন্ত বাবুর দন্ত রোগী
এলো যখন চেম্বারে,
বউয়ের সাথে ঝগড়া করে
ছিলেন তিনি টেম্পারে।
ছেলেপুলে নেইকো বাবুর
দুঃখ বড় মনে,
দিবারাত্রি ঝগড়া বাধে
তাইতো বধুর সনে।
অন্ত বাবুর উঁচু নাকে
চশমা এটে যান,
দিবারাত্রি চুন মিশিয়ে
চিবুন কড়া পান।
দাঁতের রোগী এলে পরে
হাত ডুকিয়ে মুখে,
একে একে গুনেন দাঁত
তিনি মহা সুখে।
আজকে রুগীর স্কেলীং হবে
ফিলিং হবে কাল,
সহকারী আসতে দেরী
রেগেই মারেন ফাল্ ...