কেমন করে সইবো সখি
কেমন করে বল,
অবাক হয়ে চেয়ে দেখি,
বৃষ্টির চোখে জল।।
হৃদয় আমার কাঁদে সখি
প্রানটা আমার পুড়ে
কষ্ট নামের মেঘ জমেছে
আমার আকাশ জুড়ে।।
চোখের জলে ভিজে সখি
পদ্ম ফুলের পাতা
মন আকাশে মেঘ জমেছে
আঁধার নিরবতা।।
'আমার' বলে কিছু
আছে নাকী!
মাঝে মাঝে নিজেকে চিনতে পারি না
আর তুমি!
কতোইবা? বড়জোর ছ', বেশি হলে দশ
ধরলামই না হয়
শূন্য থেকে পরস্পরকে আমরা চিনি-
(তাই কী!)
তারপরও চকিত চোখে এখনও যখন তাকাও
কেঁপে উঠি--স্রষ্টার সামনে যেমন
লুপ্ত হয় লৌকিক জীবনজীবিকা...
বা হাতের মসৃণ মুঠোয়
হৃদয়টিকে খোসা ছাড়িয়ে
স্ট্রবেরির মতো স্ট্রেটকাট নিজের করে
চেপে রাখলেই
কী একান্ত হয়ে গেলাম!
হাসানতো বলে গেছে
মানুষ তার ...
লিখে যাচ্ছি নিঃসঙ্গতা আর খুলে যাচ্ছে
একটি বাদামী-দরোজা........................
জিতে যচ্ছে
জিতে যাচ্ছে প্রবল-প্রতাপ অবসাদ;
অসহ-দহনে ক্ষয়ে যাচ্ছে আয়ুর সোনালী ডানাগুলো
কোথায় পালাবো?
কোথায় ফিরবো?
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নগরীতে ঠিকানা দিক্-চিহ্ন হীন।
অথবা
কোথাও কি কখনো আদৌ কোন ঘর ছিল?
দূরাগত মিহি সুরে বেজে ওঠা বীণ;
স্পর্শাতীত দিগন্ত-বলয়;
দিগন্ত-বালিকার কোন ঘর থাকেনা।
আমি ছুটছি জলপাই রঙের অন্ধকারের ভেতর দিয়ে
পামির, সাহারা, আমাজান। অত:পর-
অবচেতনে এসে থামলাম
শিলঙের ছোট্ট সবুজ টিলায়।
যেখানে হাত দিলেই ছোয়া যেত শাদা মেঘের ভেলা
যেখানে অমিত কাকতালীয়ভাবে পেয়েছিল তার লাবণ্যকে
সেই পাহাড়টি আজ কেমন যেন রুক্ষ।
সবুজ ঘাস, গাছ-গাছালি আজ আর সবুজ নেই
দূরসীমায় চোখে পড়ে কিছু রক্তিম কাশবন
কতগুলো শকুন ছিড়ে খাচ্ছে একটি মেষশাবক
পেচার ডাক, বেগুনী আকাশে উড়ন ...
একটি মানুষ ও একটি দুপুর শুয়ে ছিল পাশাপাশি
অবশেষে মানুষটি নিজেই দুপুর হয়ে গেল ওদিকে
দুপুর হারিয়ে গেল একটি স্বচ্ছন্দ সোনালী ফড়িংয়ের খোঁজে
এবং বর্ণনা করার মতো আর কিছুই রইল না।
--আরিফ বুলবুল(bulbulj29@gmail.com)
গান (Song)
পৃথিবীর ভার হলো
ভালোবাসা।
নিঃসঙ্গতার বোঝার
নিচে,
অসন্তুষ্টির বোঝার
নিচে
যে ভার
যে ভার আমরা বহন করি
তা হলো ভালোবাসা।
কে করে অস্বীকার?
স্বপ্নে
এটি ছুঁয়ে যায়
শরীর,
ভাবনায়
তৈরি করে
এক অলৌকিকতা
কল্পনায়
যন্ত্রণা দেয়
যতোক্ষণ না জন্ম নেয়
মানুষে-
শুদ্ধতায় জ্বলতে জ্বলতে
হৃদয়ের বাইরে থেকে সে দেখে-
কেননা ভালোবাসাই হলো
জীবনে ...
বাতাস কেঁপে উঠে ডালে উগ্র হাওয়ায়
একেলা দু’হাত পেতেছি আকাশে—
তোর শরীর ফেটেছে পাতায়
এই মর্মে তোর শরীর জড়াতে আসবে শীতজন্ম
সেমিজের আগে... কিংবা কাঁথায়
আকাশ ছোঁয়া যাবে না, তওবা-ছায়াকে জানাই
বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখি বুক—
বুক ঘষলেই টের পাই
তোকে জড়িয়ে না-থাকার বিকল্প শুধু বিস্ময়!
ঝরে পড়াই প্রকৃতির নিয়ম -
আর সে নিয়ম মেনেই পাতারা ঝরে পড়ে বেলা-অবেলায়।
মেঘেদের বিবাগী করে বৃষ্টিও লুটিয়ে পড়ে ধূলির আঙিনায়।
ভোর রাতে তারা ঝরে....
দিন শেষে ফুল ঝরে....
ঝরে যাওয়া পালকেরাও ডানা মেলে চলে সুদূর দিগন্তে .....
পরাজিত স্বপ্নেরা ঝরে পড়ে নতমুখে, বলে- 'বিদায় বন্ধু বিদায়'।
কত জানালায় জমাট অভিমানগুলো জল হয়ে ঝরে পড়ে
রাত জেগে রাতকে পাহারা দেয়ার আত্মপ্রবঞ্চনায়।
কষ্টগুলো, ভুলগুলো কিংব ...
অনিন্দিতা, তোমার জন্য কবিতা
একটা কবিতা, একদম বুকের ভেতর থেকে
রক্ত দিয়ে লেখা।
জমাট বাঁধা কষ্ট আর একবুক হতাশা দিয়ে
এক একটি পংক্তি আমার।
তুমি ধন্য, তুমি অনন্যা
কারন শুধু একটাই
বুদ্ধদেবের চোখে তুমি বিশুদ্ধ রক্ত
কারন তুমি আমার মতো
সংকর সন্তান জন্ম দেবে না,
আর তোমাকে নিজের ভ্রণকে
হত্যা করতে হবে না,
বুদ্ধদেব কে সুখী করার জন্য।
তোমাকে পংগু হয়ে সিটি হসপিটালের বেডে
একবুক যন্ত্রণা নি ...
এই লম্বা মেঘ আর নীচুতে আকাশ স্বচ্ছ
সরু ঘাসের আড়াল সম্ভব ছায়ালীন
কাঁচগুড়ো কাঠফুল, সাধারণ শিশির রোদপানে টইটম্বুর
ভেলার কাল চেরিরডাল দেয়াল
অতিস্বচ্ছ জল হ্রদ গায়ে পানিশাক
অনেক তলায় শ্যাওলা সুগোল
ক্ষুদ্রতম মাছ খাবে সারাক্ষণ,
মেঘ এলে চুপ
চুপচুপে সাজে বৃষ্টির জলে
না হলে দুঃখ পাবে আসবেনা মেঘ আর
জল জল বিন্দু জল
______________________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ