বিরিঞ্চি বনের পাশে তোমার ছায়া
আর দু'চারটা বিকেলের কোপ
আজকের বিরিঞ্চি ঝোপ
তোমার ছায়া হয়ে পড়ে রয় বিকেলের পাশে।
সমুদ্রের আশে, যবে বিরক্ত মাঝি গান
গেয়েছিল। আর এদিকে যারা যারা
সমুদ্রে ফেরেনি তারা তারা
করেনি আকণ্ঠ পান
নিকষ বিকেলের ঘ্রাণ রৌদ্রের প্রথম পরশে।
কুষ্ঠরোগের ব্যাথা ম্লান হয়ে গেছে,
ম্লান হয়ে গেছে তারা, বেতের ফলের মত
দ্যাখ! দ্যাখ! ম্লান হয়ে গ্যাছে উহারা!
উত্তরের বিরান প ...
নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থিত বিন্দুদ্বয়ের
সংযোগ রেখা দ্বারা যুক্ত হওয়া
মানেই এই নয় -
সংযোগ সম্পন্ন ।
কারণ, পরিশেষে
সকল যোগফলই
মূলত: ঋণাত্মক।
বহুদিন হল মুখোমুখি বসে আছি রেস্তোরায়। প্লেটে রাখা আমাদের কথাগুলো কাঁটাচামচে নাড়াচাড়া করি। মুখে নেই, তোর মুখে তুলে দেই। শূণ্যতার সস ঢালি।
ঘণসন্নিবিষ্ট কথাগুলিও পরস্পর দূরে যেতে থাকে। বিবমিষা মুছে কথাগুলোর মাঝে ক্রমশ বেড়ে ওঠা ফাঁকে টিস্যু পেপার ফেলে দেই। ফাঁকগুলো থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যায়
চন্দ্রবিন্দু।
হানি, আমার প্লেটে তুলে দাও তোমার জ্বরগ্রস্ত ঠোঁট, ভোরত্রস্ত চোখ ...
নিগুঢ় গুঞ্জনে খসে পড়ো জিভ
খোলা চোখে নয়, লালার ফাঁকে
দেবী, প্রগাঢ় জলের রহস্য কি?
ক্রমশ নিজেকে গুটিয়ে নেয়া!...
বিভাজিত হলে অবগাহন কালে
কে প্রান্ত ছুঁয়ে এলো স্তব্ধতা ফেলে
তুমি ঘুরে দাঁড়ালে আমি লুকাবো বাষ্পে—
ফিরে আসবে অঙ্গ খেলে; নিগুঢ় গুঞ্জনে
একদা একজন ক্যাকটাসকে ভালোবেসে -
ভালোবাসায় সে হয়েছিল ডুবন্ত।
তারপর থেকে তার একচক্ষু মাতালের,
আর একচক্ষু অন্ধের।
এইরকম দু’চোখে দেখে
পরম মমতায় সে জড়িয়ে ধরেছিল -
ক্যাকটাসকে
সেই থেকে তার হৃদয় হয়েছে রক্তাক্ত বারবার।
রক্তাক্ত হতে হতে
জীবনের সব উত্তপ্ত লোহিত ভালোবাসা, আবেগ
গেছে ঝরে দেহ থেকে।
ভালোবাসায় ডুবন্ত সেই মানুষ
প্রেম হারিয়ে লাশ হয়ে ওঠে ভেসে।
আহা! আজ সে যতটুকু মৃত, নি ...
যেতে চাই, কিন্তু যাবো কই? যাবো বলে কোথাও যাওয়া হয় না। ভাস্কর, তারচে’ তুমিই বলো— তৃপ্তি জেনো কিসে? কার দখলে ঠাঁয় দাঁড়াও; মিশাও পিপাসু উত্তরাধিকার। অলস এই আমি, স্বপ্নাঘাত গোপন রেখে বসে আছি। আর দেখছি কিভাবে তুমি চাপা পড়ো বর্ণে ও ছায়ায়। চেষ্টা শর্টকাট দৃষ্টি ফেলে যন্ত্রণা নিয়ে যাবো স্ব-গৃহে, কিন্তু পারি না। রহস্যময় দুপুরও দাঁড়ায় চৌরাস্তায়
এবার বলো, হাওয়ার জোরে আর কত বসে থাকা; কথা না- ...
কারো জন্য অপেক্ষা নয়, ঘাটে বাঁধা আছে বিশ্বাস। সবকিছু ভেতর হাঁটে কেবল প্রজাপতির ডানা। যদি ভাবা যেতো, ঘটা বিশ্বাসে চিনে নেয়া সহজ হত আপন-পর। ঘাটে কি এখনও বয়ে বেড়ায় দীর্ঘশ্বাস? ঘটনার পুনরাবৃত্তি কিংবা উৎসাহ ব্যঞ্জনা! যে মুদ্রা ও অন্যান্য হাতের তালুতে নাচের দীক্ষা। বড় তিক্ত; পূর্ব অভিজ্ঞতা, শুধু প্রয়োজনে হানা দেয়। ছোট ছোট খণ্ড থেকে বিশাল, ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কেবল পুরানো সঙ্গীত আর বুনন ...
#৬
পাথুরে মানবীর হৃদয়ে
আমি মূক বধিরের মত;
ভাসতে পারিনা প্রগলভ স্রোতে,
চেয়ে থাকি কেবলই নীরবে।
আমার চাহনি কী কথা বলে?
সে আমি জানিনে।
চোখের জল চোখেই ধরে রাখতে
সে আমার বেশ সয়ে গেছে।
তুমি আনন্দের বার্তা নিয়ে এলে,
আমার হৃদয় কাঁপে না উচ্ছাসে।
তুমি আবেগঘন হয়ে এলে,
আমি অনুভব করিনা নিঃশ্বাসে
তোমার মর্মস্পর্শী গানে,
আমি বসে থাকি নির্বিকারে।
এই পাথুরে মানবীর হৃদয়ে
কিছু কথা আছে ...
কোথায় যাবো! কোথায় পৌঁছানোর শেষ ইচ্ছা; কথা রাখা যায়নি— বয়স কত
হল? মৃত্যুর পর পেয়ে যাবে সঠিক বয়স; আঙুলে পরে নিও শেষ গণনা। ইচ্ছে হয় গল্প করি। বন্ধুদের স্মৃতি বুকে গেঁথে রাখি; কিন্তু পারি না; বন্ধুরা বিনিময় দিতে চায়। আমি নেব না। ঋণ জমে পাহাড় দাঁড়াক; আমার মৃত্যুর পর বিনিময় চাইবো। বন্ধুরা মৃতদেহ কাঁধে নেবে। আামি কথা বলবো না। নীরবে ঘুমাবো। মাটিতে শোয়াইবে সবাই। আমি একা একা কাঁদবো…
বাবা আ ...
প্রতি ভোরে সূর্যটা চুমু খায় পৃথিবীর ঠোঁটে। ইচ্ছে হয় সূর্যকে টেনে আনি; তুলে রাখি শোবার ঘরে; যেন অন্ধকার লালন হয় চোখে; কিন্তু পারি না! ধীরে-ধীরে সরোদ চোখ খুলে হাসে। এই রোদে যদি আমার অর্ধেক হাড় খুলে ফেলা যেত; যদি অর্ধেক হাড় ছুঁড়ে দেয়া যেত শকুনের ঠোঁটে… আমার ধারণা থেকে জেগে উঠছে ব্যথা; নিদ্রাপোষাক। দেহের ভার থেকে দশগুণ বেশি ব্যথার ভার!পৃথিবী কি জানে— ছায়ার ওজনটা ঠিক কত? ছায়াহীন ভাবে হা ...