কতো আর হয়েছে সময়
এইটুকুতেই পেরেছো তুমি ঢের
অন্যরা পারেনি যা করেছো তুমি তাহা!
আচানক ঝড়ে উড়ে এসে
আলোয় ভরিয়ে দিলে পৃথিবীর প্রাচীন অন্ধকার!
পথে পথে জন্ম নিলো অচিন যতো ফুল
পরস্পরকে চিনে নিলো তারা।
তাকিয়ে আছি নিজের দিকে
নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি,
যখন এসেছিলে নির্জনতায়
দেখিয়েছিলো কেমন তোমার মাঝে আমায়।
ভুলে গেছি মনে করতে পারছি না;
ভুলে যাওয়াটাই ভালো না হলে
একটু পরে একলা থাকবো কেমন কর ...
বিজ্ঞানীর ভাষায় পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ঠিক যেনো কত? যতই হউক, পূর্ণদৃষ্টি থেকে বেশি নয়। কারণ— পূর্ণদৃষ্টি দিয়ে পৃথিবী থেকে সূর্যকে দেখা, আর জোড়াচোখে সৌন্দর্য উপভোগ করে বুঝলাম: দৃষ্টির দূরত্ব থেকে সূর্যের দূরত্ব কয়েক কোটি গুন কম
হেলানো দেয়াল আনন্দ দেয়! দেয়ালের কি হৃদয় আছে? হেলানো দেয়ালে প্রায়ই ঘটে চোখাচোখি। সে আর আমি সটান হয়ে দাঁড়াই; দাঁড়িয়ে দেখি আমাদের প্রস্তুতি… আমার সাথ ...
শিয়ালের দুঃখ
--রিম সাবরিনা
এক যে ছিল হালুম মামা
করত বনে বাস,
হরিণ শিকার ছেড়ে হঠাৎ শুরু
করল ঘাসের চাষ।
বিরাট এক মিটিং ডেকে
জানিয়ে দিলো হেঁকে,
এখন থেকে শিকার টিকার
এক্কেবারে বন্ধ;
তাই শুনে শেয়াল মশাই
খেপে রাগে অন্ধ।
মজার মজার শিকার ছেড়ে
ঘাস খাবো মেপে?
আর নাকের ডগায় খরগোশেরা
ঘুরবে ফুলে ফেপে??
ধ্যাত্তেরিকা, বলল শিয়াল
থাকবো না এই দেশে,
এতদিন শিয়াল থেকে
গরু হবো শেষে?
...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
তোমার জন্য সাত সমুদ্র
তিন শ তের নদী
আমার হাতে হাতটি রেখে
একটু হাঁট যদি।
আমাজনের ঘন সবুজ
নীলের সুনীল জল-
আমায় ভেবে ডাগর দুচোখ
করলে ছলোছল্।
বিষধরের ফণা থেকে
আনব মণি ছিনে
হাজার জনের মধ্যে যদি
আমাকে নাও চিনে!
মাতাল করা বাতাস দেব
সঙ্গে চাঁদের আলো
ভুল করেও আমায় যদি
একটু বাসো ভালো!!
কেশ বাতাসে উড়বে বলে দু’চোখ জেগে রয়
চোখ ফেরালে পুনরায় জাগো স্বপ্ন বিক্রিয়ায়
স্বপ্নযত, গোপনতত, ফেরাও যদি ডরে-ডরে
ভাবনা আমার ঝুঁকে আছে গোপন হাহাকারে
চোখের উপরে বুকের কথা… মৌন আবেদন
বৃথাগন্ধ চিনো কি বলো?— দেবী-স্বপ্ন-সন্তরণ
পেরোনো গেল না গতিপথ, ফিরিয়ে দিলে ক্ষত
সীমানা ছেড়ে চুপচাপ দাঁড়াও; লীনতাপে অক্ষত
কেশ বাতাসে উড়াবে বলে চোখ খুলে তাকাইনি
কখন এলে, কখন ফিরবে… কিছুই আমি বলিনি
প্রখর-রোদ্দুর
_______________
ঠকাস শব্দে সোডার ছিপি খোলার মত বিরক্তির আওয়াজে "if fact then matter"
যত অকারণ বায়নাক্কা, আর সহজ কথায় জরিদার বেলুচির সোনালী কাজ-
কেবল বিয়ের সাজেই এক প্রহরে মানায় ।
ন্যাকামির জোয়ারে যদি ভেসে যায় শেষ পারানির নাও, তবে
হিসাবের খাতায় খতিয়ানে ভরপুর লসের বুদবুদ ।
গুনের বালাই নেই,গুন হীনতার থোরাই কেয়ার বালিকার মন-
ভালোবাসা! যদি হয়, তবে চার পাণ্ডব থেকেও ধ্রুপদী অর্জুনের
আর যদ ...
গুলশানের জ্যামে গাড়ি আটকে গেছে
নির্মম শিলাবৃষ্টি সজোরে আছড়ে পড়ছে উইন্ডশিল্ডে
নিরুপায় চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার নেই
মেরুন হোন্ডা অ্যাকর্ডটা গত মাসেই কেনা
মাতাল ফাল্গুনী ঝড় তাই তিক্ত ঠেকছে বিরক্ত অর্নবের কাছে।
কোত্থেকে একগাদা রুপালী ধুলো এসে ঢেকে দিলো অফিসফেরত সোনালীকে
বাসের জন্যে দাঁড়িয়ে ছিল সেগুনবাগিচার মোড়ে
প্রায় উড়ে যাওয়া ওড়না আর হ্যান্ডব্যাগ সামলা...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
মিষ্টি শৈশব আর দুরন্ত কৈশোর পার হয়ে
যৌবনের দুর্বিনীত চোরাবালিতে পা রেখেছি অনেক কাল হলো।
ঠিক গন্তব্য ও লক্ষ্য জানা নেই
শুধু জানি সামনে যেতে হবে
পথ যত বন্ধুর আর কন্টকাকীর্ণ হোক না কেন
এ চলার শেষ নেই!
সুলতানের চিত্রকর্মের মতো কাদা-পানিতে আটকে যায়
জীবন গাড়ির চাকা;
তবু ইচ্ছের পেশী ফুলিয়ে
দাঁতে দাঁত চেপে
ঠেলে যেতে হয় ঠেলাগাড়ি জীবন!
কতো সাধের স্বেদ বিন্দু যে অ...
সে-ও কি জানে— বাতাসের গতিবেগ ঠিক যেনো কত? সে কি জানে, মানব জন্মের আগেও বাতাস শব্দের ফেরিওয়ালা ছিল? না-হলে কেনো হবে নয়নগোচর করা শব্দকারিগর; শব্দধারা
পাথরদেবী, অধিক পিপাসায় কালো হও, লোভী হও… চিবুকে শব্দ দমাও। ইশারা জমাও ত্রিকালে; এই হলো রীতি; রপ্ত করো হৃদয়রহিত
নীরবতার আলাদা শব্দ থাকে তাই— চুড়ির শব্দ, কাচ ভাঙার শব্দ, কলঘরে জল পড়ার শব্দ, শুনতে ভালো লাগে, শুনি… কিন্তু শুষ্কহাত শব্দ বাজে...
তবু বদলায়নি কিছুই,
সবুজ প্রান্তর থেকে রৌদ্রতপ্ত পিচঢালা পথ
বালূময় সমূদ্র থেকে নীলাভ পর্বত;
ছায়াশ্বাপদ মূর্তির মতন অন্ধকারে
স্মৃতিরা কেবল নিঃশ্বাস ছেড়েছে গাঢ় শব্দে;
সময়ের আবাহনে থেমে থাকেনি জীবন,
ছুটে চলেছে অস্হির অনিশ্চয়তায়
আদি থেকে অনান্তি, কাল থেকে মহাকাল।
তবু বদলায়নি কিছুই,
ছেঁড়া স্যান্ডেল, মরচে পড়া জীর্ন হাতঘড়ি
শুকনো ঝাউশাখা, গনি মিয়ার চায়ের দোকান
গভীর রাতে মাতালের ...