ডাক্তার মেয়েটা বাসায় ফিরছিল,
রাত ডিউটি ছিল ওর।
কে আছে ওর বাসায়?
হয়ত মা কিংবা বাবা,
অথবা নব-পরিণীতা
মেয়েটির স্বামী; সে হয়ত
অফিসে যাওয়ার তোড়-জোরে ব্যস্ত।
শিশু কি নেই একটি?
ঘর আলো করে থাকা,
নাড়ী ছেড়া ধন।
মেয়েটির চোখ-মুখেরঔজ্জ্বল্য,
গভীর শান্তির কথাই যেন ঘোষণা করছে।
ঘরে ফিরবার আনন্দ
ওর চোখে-মুখে দীপ্যমান।
ঘরে পা দেয়া মাত্রই শিশুটি দৌড়ে
এসে কোলে ঝাঁপিয়ে পড়লেই বুঝি
সারা রাত...
আশার প্রস্তুতি দেখে আঙুল যদি পূর্ণতা পায়। তবে পান হউক অর্ধেকচোখ, চোখের অর্ধেকভাষা। বাকি অর্ধেকে আমি সংসারী হবো; কেউ যদি শিখায় আদালেবু দিয়ে মাছ রান্না…
জানি রান্নাও শিল্প। রান্না শিখবো বলে মাঝে-মাঝে ভাবি, হবো কি সংসারী? ঘোর কেটে গেলে সবই আকাশকুসুম কল্পনা। পাছে ভয়, বেশি সংশয়…
কবিতার কি হয়?
চক্রপথে এতো উৎসাহ, এতো অপেক্ষা দেখে খালিপায়ে হেঁটে-হেঁটে আমরাও মিশে যেতে পারি ছায়াবাড়ি...
আররে রবীন্দ্রনাথ
তোমার সঙ্গেই তো নেচেছিলুম সেদিন
আঙুলের ইতিহাসে একতারার হাফবাউল ড়িং-ড়াং তুলে
ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের জমঘট থেকে সদর স্ট্রিটের লবঙ্গবাজারে
যেতে-যেতে তুমি বললে, আমাগো শিলাইদহ থিকা আসতাসি
আলুমুদ্দিন দপতর যামু
আগুন আর জলের তৈরি তোমার ঠোঁটে
তখনও একচিলতে ব্রহ্মসংগীত লেগেছিল কী গরম কী গরম
গ্যাবার্ডিনের আলখাল্লা ফেলে দিলে ছুঁড়ে
দেখলুম তোমার ফর্সা গায়ে জোঁক ধরে...
হেমন্তের শুভ্র ডানা ভরে এনে দাও সুখ
গোপনের বুক চিরে খুঁজি মুখ… স্বর্গসুখ
পতন নিঃশব্দ টেনে ধরে আঁখি… চিরন্তন
দূরে সরে যেতে শুভ্র আভায় লুটাবে মিলন
বৃষ্টি আর স্বর্গের দেবদূত হাসে মিটিমিটে
চোখে বুজে বৃষ্টির আবেশ; সুখটান খুঁটে
ইচ্ছা করে গায়ে জড়াই, মিশে যাক নিঃশ্বাস
স্বর্গ আর দেবদূত একই রকম বিশ্বাস
-------------------------------------------
-হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
নদীর ওপাড়েই সুখ,
এপাড়ে আমি দুখের গোমস্তা।
এক ধনী ও এক দরিদ্রের চিন্তার আলাপ:
" টাকা নাই ওর, চিন্তা নাই হারাবার;
সুখী, ভাবনাহীন ও সম্রাট আকবার।"
" ওর কত টাকা, ওরে বাবা!
টাকার গদিতে ঘুমায়,
বেড-টি খায়, দেখে হাবা-জাবা।"
প্রেমে আছে এবং প্রেমে নেই - এমন দুজনের কাহিনী সংলাপ:
"ওই আছে ভাল সুন্দরী প্রেমিকা,
ঘোরে দিনভর ভালবাসা চাকা;
প্রেমহীন জীবন মোর পুরোটাই ফাঁকা।"
"কি যে সুখ তোর নেই কোন ন...
একদিন আমিও জেগে উঠব
সহস্র নদি সাগর পেরিয়ে
ব্যাথার পাহার মাড়িয়ে
তোমার কাছে আসব
সেই দিন
এই তুমি
এ রকমই থেকো
বদলে যেওনা যাতে
কস্ট হয় এই আমার
তোমাকে চিনে নিতে।
স্মৃতিরা ঘোরে আশেপাশে অশরীরী হয়ে,
মাথার ভেতরে প্রেতাত্মার দীর্ঘনিঃশ্বাস-
দুঃস্বপ্ন বাস্তব হয়ে গিলে খেতে চায় সরল অস্তিত্ব,
রাতের ঘুম সেও হয়ে যায় দোজখের অগ্নিকুন্ড|
বাস্তব ধুসর হয়ে হারিয়ে যায় চোখের পলকে
ধংসস্তুপে জেগে ওঠা ঘাস ফুলের মতো,
অতীতগুলো রঙিন অনেক,
তাও ঘুন পোকাদের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা
কিছু আকড়ে ধরার ব্যার্থ চেষ্টা,
মাটির সোদা গন্ধে হঠাৎ মনে-পড়া তুমি,
#৪
সুদূরে তোমার লাজুক বধূ
আমার মতন মানুষ গুলো,
হয়ত এমন এলোমেলো।
সুর তুলেছে মনের মাঝি,
হৃদয়মাখা গভীর তুমি।
কথায় আমি প্রেম না বুঝি;
কাব্যে তাই তোমায় বলি,
খুব যে তোমায় ভালোবাসি।
ছুঁয়েছি ঐ চোখ দুটি,
ছুঁয়েছি ঐ চাপা হাসি।
এই যে আমার জাগরণে,
খেলছ তুমি মায়ায় মৌতাতে।
নিত্য মোরা স্বপনে ভাসি,
তোমারই জন্যে তুমি আমি।
সুদূরে তোমার লাজুক বধূ;
হিয়ার ছোঁয়া অদূর তবু।
ঘুম পাড়াবো আদর করে,
চেয়...
গত পূর্ণিমাটা
পরিশ্রমে পরিশ্রমে গেছে চাঁদের,
এবারেরটায় তাই
বিশ্রাম চায় ও মেঘেদের।
মেঘ তাই ঢেকে দেয় ওঁকে;
জড়িয়ে নেয় চোখে, নাকে, মুখে।
বাতাসের প্রয়োজন হয় জ্যোৎস্না;
বাতাস তাই ক্ষণে ক্ষণে সরায় মেঘের ঢাকনা।
ঘোর লাগা মানুষ একবার দেখে চাঁদ;
পরক্ষণে দেখে মেঘের বোনা ফাঁদ।
যেন এক ট্রেন ঢোকে আঁধার সুরঙ্গে;
কিছু বাদে বেরোয় আবার তরঙ্গ-ভঙ্গে।
ঘোর কাটে অবিশ্রান্ত মেঘের পর্দা দ...
হেমন্তের শুভ্র ডানা ভরে এনে দাও সুখ
গোপনের বুক চিরে খুঁজি মুখ… স্বর্গসুখ
পতন নিঃশব্দ টেনে ধরে আঁখি… চিরন্তন
দূরে সরে যেতে শুভ্র আভায় লুটাবে মিলন
বৃষ্টি আর স্বর্গের দেবদূত হাসে মিটিমিটে
চোখে বুজে বৃষ্টির আবেশ; সুখটান খুঁটে
ইচ্ছা করে গায়ে জড়াই, মিশে যাক নিঃশ্বাস
স্বর্গ আর দেবদূত একই রকম বিশ্বাস
-------------------------------------
-হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন