ওগো স্তন্যপায়ীভাষা পিপীলিকাভূক মুখচোরা
ভূচর খেচর জলচর দাম্পত্যজীবনে তুষ্ট একশিঙা
নীলগাই বারাশিঙা চোরাকিশোরীর হাতে মূল্যবান প্রাণী
স্হলে বিচরণকারী উদবিড়াল গন্ধগোকুল বিনোদিনী
শব্দগহ্বর খেয়ে নোকরশাহির রাজ্য এনেছো এদেশে ।
২ ভাদ্র ১৩৯২
উন্মাতাল স্বপ্নেরা বারে বারে হানা দিয়ে যায় মনের আঙ্গিনায়।
আমার আমিকে বলি,
শক্ত হাতে শাষণ করো .....কিন্তু যেন
শত চোখ রাঙানোতেও
কিছুতেই কিছু হয় না।
নির্ভিকেরা বীরদর্পে এগিয়ে আসে।
দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য ছুটুছুটি ...
ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা।
তারপর .....
নিজেকে তুচ্ছ ভেবে ধিক্কার দেওয়া,
আত্মঅভিমান, আত্মঅভিসম্পাত,
তীব্র অন্তরদহনে জ্বলে পুড়ে মরে আমার আমি!
সাবরিনা সুলতানা
বেদনার সাথে অকারণেই সম্পর্ক ভালো।স্বপ্ন, তুমি বেদনার হাত ধরে বেঁচে থাকো আর সীমিত আকারে অভিমানী হও ঠোঁটে… বেদনা চেকআপ করতে পয়সা লাগে না।তবুও ডাক্তারের কাছে যাওয়া-আসা ক্লান্তিকর অস্বস্তি লাগে
শোনা গেল, বেদনার বয়স বাড়ছে চেপে রাখি। কাউকে কিছুই বলি না। শুধু জিজ্ঞাসা এই যা... মরার পর কী কবিতা লিখা যাবে?কে শুনে কার কথা; শেষমুহূর্তে ঋণ বাড়ছে অনেক; আমাদের গড় আয়ু সাতান্ন! আমাদের গড় উচ্চতা...
আমার আনন্দের ভেতরে যে তীব্র
উপলব্ধি
আমার মনে যে ক্ষণ ক্ষণ রঙ বদলানোর
চিত্র
আমার অন্ধকার সময়ের যে হাহাকার
ধ্বনি
ভালোবাসার কথা কান ভরে শোনার যে
আকাঙ্খা
চাওয়া-পাওয়ায় পাপ নেই, দ্বন্দ্ব-সন্দেহ নেই
গভীর অনুরাগে দীপ্তিশূন্য অদৃশ্য ছায়া
------------------------------------------
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
-হামিদা আখতার
আমাকে অনেক দিন আর চিঠি লিখো না তুমি
কি ধরে নিবো বলতো -
ভুলে গেছো ? না বেশী বেশী মনে পড়ছে ?
সামনে নেই বলেই অভিমান করেছো ।
তোমার তো তোমার ছায়া র চেয়ে দীর্ঘ যে বেশ
তোমার তো তোমার পাঁজরের চেয়ে বেশী যে খাঁজ
তোমার তো তোমার বেচে থাকার চেয়ে যে প্রিয়
তার ঐ একটাই নাম – অভিমান ।
সেদিন সত্যি চেয়েছিলাম তোমার হাতটা আর একটু ছুঁয়ে থাকুক ঘড়ির শব্দ শুনার ছলে
চেয়েছিলাম তোমার অস্তিত্বর মতই তোমার হাতের ...
[এসব তো কবিতা নয়। একেবারেই উটকো কিছু যেন। কবিতা কি সবার হয়? নাকি হতে আছে? তবে কত অনুভুতি যে সবার মনেই আসে। কে তার ঠিকুজি রাখে! অবশ্য ঠিকুজি না রাখলে কী হবে, কিছু বোকা লোক ঠিকই তার ফর্দ করতে বসে। আমারগুলো না হয় সেই বোকার ফর্দই হোক]
বৃষ্টিদুপুর
তোমায় নিয়ে আজ দুপুরে হঠাৎ করেই স্বপ্ন এলো,
রংধনুরং মেঘের ভেলায়
বৃষ্টি এলো।
সৃষ্টি হলো ঘাস-মাটিতে অচেনা সুখ
নির্জনতায় মনের পাতায়...
শীতের রাতে হিম প্রহরে
তোমায় পড়ে মনে,
দেখে তুমি চাদর দিতে
জড়িয়ে সযতনে।
জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকে
মাগো যখন ডাকি,
তোমার হাতের মাথা ধোয়া
কেউ পারবে নাকি?
কত জনেই ধুলো মাথা
কেউ পারেনা কেন,
পানি তোমার হাতের ছোয়ায়
জ্বর কেড়ে নেয় যেন।
তুমি যখন মারতে মাগো
ব্যথা সাথে সাথে,
এত বছর পরে বুঝি
আদর ছিলো তাতে।
আমার পেটে লাগলে ক্ষুধা
দুঃখ তোমার বেশী,
তুই কি খাবি? তুই কি খাবি ?
রাধঁি চুলা...
একটি মুখমণ্ডল ঝুলে ছিলো দীর্ঘ রাত্তিতে
বার বার ওপাশের সুনসান শব্দ কানে বাজে
কার নিঃশ্বাস জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছো
মেঘজল
শ্বাস-প্রশ্বাসে জন্ম নেয় বিস্ময় খুলে
চোখে লেগে থাকে গ্রহণ
নীরব ভূকম্পনে
নিদ্রা ঝুলে আছে
মনের কিছু কথা বলে যাই নিস্পৃহ ঠোঁটে
------------- -----------------
-হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
ইচ্ছে কাঁদি, কিন্তু পারি না! চোখ জিজ্ঞেস করলো, কাঁদবে, জল পাবে কই? জলটুকুন খেয়ে ফেলছে দেহতৃষ্ণা।... তারচে’ ভালো চোখের গভীরতা খুলে ফেলা হউক, খুলে ফেলা হউক আরো কিছু ঘুম, অদেখা শোকটাও দেখুক, কিভাবে খোলস পরে থাকে সমপরিকল্পনা
২.
সেও বিপরীতমুখি, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা, আশেপাশে মানুষজন ভালোই আছে এমন প্রণোদনা অভিমানে খাড়া, অভিমান দূরত্বে যাও; আমাকে পাবে দৃষ্টিজঙ্গলে; দৃষ্টিজঙ্গলে আমরা কি ঘু...
সবুজের হয়েছে ভীষন অসুখ
ধীরে ধীরে হলুদের বদলে ধারন করে ধূসর ছোপ ।
যে বাতাসে উড়তো চুলের ঝাউ,
যে আলোতে শুকাতো শালিক ডানা,
সে গত হয়েছে সে অনেক কাল আগেই-
কেটেছে নিনাদ; হেসেছে শিমুলের লাল দানা
ধীরে ধীরে বুঝেছে অবুঝ মন, এ সকলি হেয়ালি আর অন্ধের আয়না বেচার খেলা ।
তবুও মরে না চাওয়া, স্বপ্নের বালিশে যতই গোঁজামিল তুলোর বিচি ।
আকাঙ্খার আগুনে পুরে ঘুমিয়ে পড়া কৈশর থেকে যৌবনের লুকোচুরি ।
কোথাও ...