অযুত শতক টপকে তোমার কাছে যাওয়া
তোমার বন্ধ্যা চোখে তবু মেঘের আড়াল!
জানোতো, মেঘের হৃদয়ে যতখানি অশ্রু থাকে
তারো বেশী থাকে বজ্র বুঝিবা।
আর কে না জানে কবিদের যদিও
জলের বুকে নিজেদের দুঃখবোধ, ক্রোধ
লিপিবদ্ধ করে যেতে ক্লান্তি নেই,
বজ্রের সাথেই তাদের আবাল্য শত্রুতা।
সহস্র জগত টপকে তোমার কাছে যাওয়া
তোমার খরচোখে তবু মেঘের আড়াল!
অপরিচিতা, জানার কিছুই ছিল না।তবুও দেহের ভাষা ভালো বুঝে চোখ।ভালো দেখায় মুখের সাজগোজ। কানে পাতাদুল, আঙুলে দুটি রিং,গলার চিকণ চেইন… বেবীগোলাপী রঙে আমার দুর্বলতা এতো-এতো বেশি যে, তাও মিলে গেল জামা পরায়
অধিক চিন্তায় ভুলে গেছি সব, ইদানিং নিজের সাথে কথা বলতে পারি না।কৌতূহলে অপরিচিতার চুল দেখি। চুল কতটুকু দীর্ঘ না-হলেও নারী বলা যায়। ভ্রু কতটুকু কেঁটেছেঁটে ছোট বানালে আই-ভ্রু ছাড়া কিছু...
এত এত বড় দিন গুলো যায় চলে
বাইরে বরফ পড়ে
আমাদের প্রেমেও তার ছিটাফোটা লাগে
বরফের স্তুপে প্রেম হিমায়িত হবার সম্ভবনা জাগে
তবে থাকুক তা প্রাগৈতিহাসিক কালের ডায়নোসারের মতন মাটির গহিনে চাপা পড়ে
নতুবা,
আর কত অভিনয় চলবে
আর ওই মাপা হাসি তোমার
দেহে কাটা দিয়ে উঠে-
অসহ্য যন্ত্রনা বোধ করি।
পেট থেকে ভালোবাসা উগরে দিতে ইচ্ছা করে।
আমার নীতি-চিন্তাধারা আমারই থাক
থাক-আর না কষ্ট পাও এসব জোর কর...
বৃষ্টি আমার চোখের কোনে একটুকু কাল অধর ছুঁয়ো-
জোনাক জ্বলা নির্ঘুম রাত স্বপ্ন বীজ বুকে রূইয়ো ।
তুমি বললেই মরুভমি
খরার নামে ঝড়
লু হাওয়াতে ভাসিয়ে নিলে
ঢেউ তুলে নড়বড়
বৃষ্টি আমায় পরশ দিতে কোজাগরী আলো মেখো-
জলরঙে তে আঙ্গুল মেখে আকাশ জুড়ে চিঠি লিখো ।
ভাসবো বলে হাত বাড়ালে
গভীর কুয়ার জল
ডাকলে হারায় প্রতিদ্বন্দ্বী
কণ্ঠ নিলোত্পল
বৃষ্টি তোমার পায়ে নূপুর নিকোনো তান সুর-
ভাসিয়ে নিয়ে সব ...
আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব কেনিয়ার নতুন প্রজন্মের এক কবি ও জনপ্রিয় ব্লগারকে। সাথে বোনাস হিসেবে থাকছে তার একটি কবিতার অনুবাদ।
এবার চিলিতে গ্লোবাল ভয়েসেস নাগরিক মিডিয়া সম্মিলনে জড়ো হয়েছিল বিশ্বের ৬০টিরও অধিক দেশের দেড় শতাধিক ব্লগার। এবার কলেবর বিস্তৃত হওয়ায় সম্মিলনের সময় অনেক নতুন মুখের সাথেই সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশ...
জল পোড়ে জলের গভীরে
দূরবর্তী মেঘ যায় দূর হতে দূরে
বালির শরীরে লেখা নদীর আবাদ
বিচ্ছিন্ন আকাশ গায় একা আর্তনাদ
প্রতারিত বকপাখি পুনরায় বাসা বোনে,
প্রতিদৃশ্যের নগ্ন ব্যবচ্ছেদে
ভোরের নবীন পৃষ্ঠায় দৃশ্যেরা মাতে
অনন্য বক্রতায় অস্তিত্ব বিস্তারিত
সীমিত আয়তনে স্বপ্নের প্রবন্ধ
যান্ত্রিক গুঞ্জন আর প্রাকৃতধ্বনির অসম্পৃক্ত দ্রবণে,
সভ্যতার অস্পষ্ট সিঁথিতে
নিতান্ত মানুষ মগ্ন গোলকের ...
না-ছুঁলে পাথর হয়ে ওঠো হাতের রেখা, রূপ খোলে গোপন করো অচিনতালু; লক্ষ্য করো, দেখো, কার চক্ষে গাঢ় হয়ে দাঁড়ায় রাত পোহাবার আলো… কার বুক ছিঁড়ে এসো আর দেহ বেয়ে যাও! অচিন মায়া। যে পোড়ায়নি পাতালে, নীরব রেখায় তার বশে কাঁপছি, কাঁপছে কিশোরবেলা, হৃদয় ভোলাবার আগে চোখ খোলো, বুক খোলো, খোলো দেড়হাত মোড়ানো নিষেধ টানা…। সুদূরে আছো, তনুমনে আছো, জল খোলে ধরো কামনাপাতা। শেষরাত্তি গ্রহণ করো, এসো দেখি কতটা জ...
সুখ কি
দুঃখই বা কি
কতটুকু বুঝি তার, কতটুকু ভান
রক্তে-ঘামে বৃত্ত আঁকে সহস্র সন্তান,
জিতে গেলে একজন হারে অন্যজন
ভীষণ নাগরিক যুদ্ধে ক্ষমতা প্রদর্শন
কেবল অসহায়ত্বে দুর্বলের-দরিদ্রের,
খাদ্যে অলঙ্করণ বেশি, পাশাপাশি
স্বল্পমূল্যে নিয়মিত ভর পরিমাপ;
সেইসব ক্ষমা, যা শুধুই সহজলভ্য ভিক্ষুকের হাতে
সেইসমস্ত আশা, যা বিদ্যমান জ্যোতিষীর অতশীতে
তীব্র আন্দোলন, যা দানা বাঁধে রিকশায় - মিনিবাস...
রাত, তুমি অল্প করে গল্প হয়ে নামো
আজ নিশিতে করি খানিক পাগলামো,
মনের জোনাক, কোথায় তুমি
হাতের মুঠোয় তোমায় চুমি,
তারার মেলা আকাশপানে
কথার মালা সঙ্গোপনে,
ভোর, তুমি নাই বা এলে
আমি নাহয় এলো চুলে,
ধূমকেতুর হাতটা ধরে
যাই না চলে অচিনপুরে,
উল্কা, তুমি দাও গুড়িয়ে
দুঃখ যত পাই কুড়িয়ে,
ধ্রুবতারা, এসো তুমি
আলতো পায়ে এই আমি,
কোমল ঐ বাহুডোরে
নাও না আমায় আপন করে,
থাক না পরে নীল পৃথি...
যদি কথাই হয়; সারা দিয়ে যাবো
প্রয়োজনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে র’বো
—আড়াআড়ি
শুধু অপেক্ষা একটি শোবার ঘরে
চারটি দেয়াল খাড়া
তিনটি অন্ধঘড়ির কাঁটায় লাফিয়ে উঠছে
নিঝুম-অন্ধকার; অন্ধহাওয়া
দৃষ্টি আমার জন্য কিছু না-কিছু জমিয়ে রাখে
সরে দাঁড়ায়; সেও কথা শোনে না…
কোথায় যে উড়াল দিয়ে যাবো; কোন রাত্তিতে
একা জাগিয়াছো অন্ধফুলকলি; জ্যোৎস্নাহীন নিশ্চয়তা
শেষরাতে কিচিরমিচির শব্দেও মিলে গভীর ...