[justify]হেমন্তের আকাশে রঙ লেগেছে। সে রঙ গায়ে মেখে হরিপদ দাপিয়ে বেড়ায় সামন্তপুরের বাতাসে। মা ডাকে। দুপুর গড়িয়ে গেল হরি ভাত খেয়ে যা। হরি শুনেও শুনেনা।
বিকেলে আবারও খেলতে চলে যায় হরিপদ। সন্ধ্যা হয়, প্রত্যেক দিনের রুটিন মতো মা আবারও ডাকে, হরি। হরিপদ শুনেও শুনেনা। সে বসে থাকে। বাবা আসবে। কাঁটাতারের ওপারে হরিদের ধানের জমি। বাবার হাত ধরে বাসায় ফিরবে হরিপদ। রোজ যেভাবে ফিরে।
পুরাকালে বাঁশখোর নামের এক পৌরাণিক চরিত্রকে ধাওয়া দিতে দুখী গণ্ডারনামা শিরোনামে একটা সিরিজ লিখেছিলাম। পৌরাণিক বাঁশখোরদা তার গণ্ডারপনায় ইতি টানার কারণে সিরিজটি তার গুটিকয় পাঠকের বহু তাগাদা সত্ত্বেও তেজগাঁও বিমানবন্দরের মত পরিত্যক্ত হয়। খোদাবি ইশারায় তেজগাঁও বিমানবন্দর যেমন বিমানবন্দর হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে, সেভাবে এই সিরিজটিরও পুনরুজ্জীবন আবশ্যক বলে মনে করছেন দুয়েকজন বন্ধু। পৌরাণিক বাঁশখোরদা দুখী ছিলেন, কিন্তু এই সিরিজের গণ্ডারটি সুখী প্রকৃতির, তাই সিরিজের নামে শল্যোপচার করণ ঘটন হওনটা জরুরি ছিলো। তবে অতীতে আমি প্রতিদিনই নতুন একটা গণ্ডারনামা লেখার মতো তাগদ আর তাগিদ ধারণ করন হওন ঘটাতাম, এখন অসুখের কারণে দুবলা মেরে গেছি, তাই এই সিরিজ অনিয়মিতভাবে এগোবে।
পুরাকালে বাঁশখোর নামের এক পৌরাণিক চরিত্রকে ধাওয়া দিতে দুখী গণ্ডারনামা শিরোনামে একটা সিরিজ লিখেছিলাম। পৌরাণিক বাঁশখোরদা তার গণ্ডারপনায় ইতি টানার কারণে সিরিজটি তার গুটিকয় পাঠকের বহু তাগাদা সত্ত্বেও তেজগাঁও বিমানবন্দরের মত পরিত্যক্ত হয়। খোদাবি ইশারায় তেজগাঁও বিমানবন্দর যেমন বিমানবন্দর হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে, সেভাবে এই সিরিজটিরও পুনরুজ্জীবন আবশ্যক বলে মনে করছেন দুয়েকজন বন্ধু। পৌরাণিক বাঁশখোরদা দুখী ছিলেন, কিন্তু এই সিরিজের গণ্ডারটি সুখী প্রকৃতির, তাই সিরিজের নামে শল্যোপচার করণ ঘটন হওনটা জরুরি ছিলো। তবে অতীতে আমি প্রতিদিনই নতুন একটা গণ্ডারনামা লেখার মতো তাগদ আর তাগিদ ধারণ করন হওন ঘটাতাম, এখন অসুখের কারণে দুবলা মেরে গেছি, তাই এই সিরিজ অনিয়মিতভাবে এগোবে।
রাত ১১টার ট্রেন।
প্ল্যাটফর্মের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অনেকের সাথে সময়টা দেখে নিলো রিশান। আর ১০ মিনিট অপেক্ষা তারপর ট্রেন ছাড়বে। অনেক দিন পর এই যান্ত্রিক শহর থেকে দূরে যাবার অবসর হয়েছে। নিজের জন্য অবসর। মনের জন্য প্রশান্তি। কাজ আর বাসার অবস্থা এতো বেশী মানসিক যন্ত্রনা দিয়েছে যে শান্তি কি জিনিস তাই মনে করতেই কষ্ট হয় এখন। বাসায় গেলে একটু কান পাতলেই শোনা যায় মার সাথে ভাবির মধুর ঝগড়া। আর বাবা মার মধ্যেকার সমস্যাটা তো আছেই।
এক
পাইলট। তাকে কিশোরও বলা চলে না আবার যুবক বললেও ঠিক হবে না, এই দুইয়ের মাঝামাঝি। বাবা মা শখ করে নাম রেখেছিল পাইলট, ছেলে একদিন বড় হয়ে বৈমানিক হবে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সে ঠিকই পাইলট তবে তিনচাকার যান রিকশার। প্রতিদিন ভার্সিটির বাইরে রিকশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যেতো পাইলটকে। প্রায় প্রতিদিনি পাইলটের রিকশায় বাড়ি ফেরা হতো। আমি ওর কোন কালের মামা সেইটা আমিও জানি না, ও নিজেও জানেনা। প্রথম দিন থেকেই আমাকে মামা বলে সম্বোধন করে আসছে।
পুরাকালে বাঁশখোর নামের এক পৌরাণিক চরিত্রকে ধাওয়া দিতে দুখী গণ্ডারনামা শিরোনামে একটা সিরিজ লিখেছিলাম। পৌরাণিক বাঁশখোরদা তার গণ্ডারপনায় ইতি টানার কারণে সিরিজটি তার গুটিকয় পাঠকের বহু তাগাদা সত্ত্বেও তেজগাঁও বিমানবন্দরের মত পরিত্যক্ত হয়। খোদাবি ইশারায় তেজগাঁও বিমানবন্দর যেমন বিমানবন্দর হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে, সেভাবে এই সিরিজটিরও পুনরুজ্জীবন আবশ্যক বলে মনে করছেন দুয়েকজন বন্ধু। পৌরাণিক বাঁশখোরদা দুখী ছিলেন, কিন্তু এই সিরিজের গণ্ডারটি সুখী প্রকৃতির, তাই সিরিজের নামে শল্যোপচার করণ ঘটন হওনটা জরুরি ছিলো। তবে অতীতে আমি প্রতিদিনই নতুন একটা গণ্ডারনামা লেখার মতো তাগদ আর তাগিদ ধারণ করন হওন ঘটাতাম, এখন অসুখের কারণে দুবলা মেরে গেছি, তাই এই সিরিজ অনিয়মিতভাবে এগোবে।
সকালবেলা আমার উঠতে কষ্ট হয়। আমি নিশাচর প্রাণী। এখনো কলেজের ২ষ বর্ষে পড়ি। এক জায়গায় রাতের পালাগান শুনে রাতের বেলা হোস্টেলে আসছিলাম। পথে একটা কবরের পাশ দিয়ে সাহস করে বাঁক নিতে পারলে পুরো দশ মিনিটের হাঁটা বাঁচানো যায়। আমি তাই করলাম। সবসময় করি না। আজকে করলাম। বাকেঁর কাছে আসতেই কিছু একটার শব্দ শুনলাম। একবার মনে হলো সামনে আরেকবার মনে হলো পিছনে। যেদিক দিয়েই হোক আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। আমি একটু চিন্তা করেই
ঊষাকালে নন্দন কানন নিঝুম নিস্তব্ধ থাকে। কাকপক্ষীও তখন নীড়ে কুণ্ডলী পাকাইয়া নিদ্রামগ্ন থাকে। আদম এই সময়েই প্রাতকৃত্য সারিতে গাড়ু হস্তে বাহির হয়। আশেপাশে নন্দন কাননের অপূর্ব সব বৃক্ষ ও ঝোপঝাড়, তারই কোন এক গহীন কন্দরে ঢুকিয়া সে কর্মসাধন করিয়া আসে। বেলা চড়িলে লোকজনের সমাগম বাড়ে, এবং তাহাদের ভিড়ে দুই-চারিটি পরিবেশবাদী সর্বদাই থাকিবে, যাহারা ঝোপেঝাড়ে বাগানক্রিয়া সারিতে দেখিলে হল্লাচিল্লা করে। একবার তো ত
[justify]
লোকটার অসহায় ভঙ্গি দেখে অনেকের মায়া হতে পারে, কিন্তু বাসুর হল না। সে একমনে ছুরিতে শান দিতে লাগল।
হাঁটু গেড়ে ও লোকটার সামনে বসল। আশেপাশে হালকা বাতাস বইছে ঠিকই, কিন্তু এতে লোকটার এতটা কেঁপে ওঠার কথা ছিল না। বাসু তার দমকা হাসিতে ফেটে পড়লো। ‘এমা, তুই তো ভয় খেয়ে আগেই মরে যাবি রে !’ হাসির দমকে লোকটার ভয় আরও বেড়ে যায়, কাঁপতে থাকে মৃগী রোগীর মত।
[justify]সকালে ঘুম থেকে ওঠা হলেও বিছানা ছাড়তে দেরি হয়। অক্লেশে নানা কিছু মাথায় আসে। এমনকি দিয়ার কথাও। দিয়া আমায় ছেড়ে যাবার পরে বিছানায় ফাঁকাটুকুন মাঝে মধ্যে ভোগাতো। এখন সব ঠিক। আরো কিছুক্ষণ শুয়ে এপাশ ওপাশ করি। পরে উঠি। বাথরুম করতে গিয়ে হাগা কষা মনে হলে বিকালে প্রুন জুস কেনার কথা ভাবি। দাঁত মাজতে গিয়ে আয়নায় দেখতে পাই একটা ব্রণ না ফোঁড়া নাকের নিচে জখমি চেহারা নিয়ে নির্বিকার বসে। চিবে চিবে দেখলেও ব্য