বিজ্ঞাপন দেখিয়া দরখাস্ত করিতে না করিতেই আদমের চাকরি জুটিয়া গেল।
বিজ্ঞাপনে বলা ছিল, প্রার্থীকে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন হইতে হইবে। শিক্ষাদীক্ষার পরিমাণ তেমন একটা না হইলেও চলে। কিন্তু প্রার্থীকে টিকিয়া থাকিবার ব্যাপারে পারদর্শী হইতে হইবে। তাহার চামড়াটি কিঞ্চিৎ পুরু হইলে ভাল। সর্বোপরি, গুরুজনের কথা মান্য করিতে হইবে। তনখা আলোচনাসাপেক্ষ।
আদম চটিয়া কহিল, "টাকা নাই মানে? টাকার অভাবে একলা থাকিব?"
ঈশ্বর কাশিয়া কহিলেন, "দেখ আদম, স্বর্গের কোষাগারে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নাই। যা ছিল সব বিরোধী দলের স্বর্গদূতেরা মারিয়া কাটিয়া লুটিয়া পাচার করিয়াছে। কিয়ৎকাল ধৈর্য ধর। সুমায়ে সুনা ফলে।"
মদিনা ট্রাভেলস এর অফিসের এক কোনায় জবুথবু হয়ে বসে থাকা লোকটাকে নিয়ে ট্রাভেলসের ম্যানেজার আকরাম খুব ঝমেলায় পড়েছে। সপ্তাহে দুইবার করে লোকটা আসছে আর সারাদিন বসে থাকছে। এইভাবে চোখের সামনে মূর্তিমান ঝামেলা ঘুরঘুর করলে কাজে মন বসেনা। লোকটার নাম জামশেদ, বছর পঁয়তিরিশ বয়স। জামশেদ কথা বলার চেষ্টা করলে আকরাম কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়, নয়তো ফোনে কথা বলা শুরু করে, নয়তো উঠে বাইরে চলে যায়। তারপরও এই লোক নিয়মিত আসছে, সারাদিন বসে থাকছে। এই ঝামেলার আজকেই একটা সুরাহা করবো ভেবে আকরাম জামশেদকে ডাক দেয়।
ঈশ্বর মঞ্চে বসিয়া বসিয়া বিরক্ত মুখে পাতি স্বর্গদূত নেতাদিগের বক্তৃতা শুনিতেছিলেন। ইহারা কর্মে পটু না হইলেও মুখের জোরে একেকটি গগ ও মাগগ। হাতের নাগালে মাইক ঠেকিলেই ইহারা অগ্রপশ্চাৎ জ্ঞান হারাইয়া আসুরিক শক্তিতে আর্তনাদ করিতে থাকে। মাইক ছাড়াই ইহাদের আওয়াজ সায়হুনের তীর হইতে ফোরাতের পূর্ব পার পর্যন্ত পৌঁছিবে। ইহারা খায় কী?
মারুফি ভাইয়ের সাথে পরিচয় ধানমণ্ডি লেকের আড্ডায়। রাইফেলস এর মার্কেট কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে সন্ধ্যার পর আমরা নানা কিসিমের লোক জড়ো হয়ে রাজাউজির মারি এবং তাদের স্ত্রীকন্যাদের নিয়ে আদিরসাত্মক গল্প ফাঁদি। একেক দিন একেক লোকের বন্ধুবান্ধব সেই আড্ডায় এসে জোটে, তাদের কেউ কেউ নিয়মিত আড্ডাধারীতে পরিণত হয়, কেউ হয়তো তর্কাতর্কি ঝগড়াবিবাদ করে সেই তল্লাট ছেড়ে বিবাগী হয়ে চলে যায়।
স্বর্গে প্রমত্তা জায়হুন নদীর তীরে ঈশ্বর বিরক্তমুখে পায়চারি করিতেছেন। অদূরে আদম উদাস মুখে বসিয়া বসিয়া বাদাম চিবাইতেছে। গিবরিল ঈশ্বরের পিছু পিছু সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখিয়া ডানা ঝাপটাইয়া বাতাস করিতেছে।
ঈশ্বর অস্ফূটে কহিলেন, "ফেরিঘাটে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া ঠ্যাং দুটি ব্যথা হইয়া গেল!"
আদম হেঁড়ে গলায় গান ধরিল, "জায়হুন-ঢেউ রে এ এ এ, মোর শূন্য হৃদয় জায়হুন নিয়ে যা, যা রে ...।"
আমাদের দেশে জীবন শুরু হয় খুব ছোটবেলায়। হয়তো কেউ ছোটবেলায় নিজের পরিচয় হারায়, কেউ হারায় তার বাবা-মাকে,আবার কেউ জানে না তার জন্ম কোথায়। কেউ কেউ খুব ছোটবেলা থেকেই নিজের পরিচয়ের পরিবর্তন দেখে।কেউ ছোটবেলায় বিয়ের পিড়িতে বসে, কেউ তার আপনজনদের হাতে হারায় সম্ভ্রম। আবার কেউবা এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রেহাই পেলেও আশেপাশের কলুষিত জীবন দেখে কষ্ট পায়।
আবদুলের নামটি তাহার পিতামহ যথার্থই রাখিয়াছিলেন। তাহার নিয়তিতে যে বেদুইনের দেশে দাসত্বই প্রকটাক্ষরে লিখিত ছিল, তাহা মুরুব্বিগণ পাঠ করিতে না পারিলে কে পারিবে?
[justify]তখন আমাদের কেরানির জীবন। বাবা পোস্টমাস্টার। কিন্তু আদতে সেটা কেরানিরই চাকরী। ভাই ঢাকায় একটা হাউজিং কোম্পানিতে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ। আজকাল সব অফিসে সবাই এক্সিকিউটিভ হয়। গালভরা নাম সব। আদতে সবাই কেরানি। আমি নতুন চাকরীতে। পত্রিকার ডেস্কে বসি, তাও এক ধরনের কেরানিরই কাজ। বাপ ছেলে তিনজন যখন কেরানিরই চাকরী করি তখন সেটারে কেরনির জীবন বলাটাই উচিত।
Some stories have no end. হয়ত তোমার আমার গল্প টাই সে রকম কিছু।
একটা ছেলে আর একটা মেয়ের দেখা হল। খুব তাড়াতাড়ি বন্ধুত্ব। ছেলে টা একদিন মেয়েটাকে দেখা করতে বল্ ল। মেয়েটা গেলো না, আর একদিন রাশান ইন্সটিটিউট এ মুভি দেখতে। সেদিন ও মেয়েটা গেল ও না। ভয় হল যদি ভাল লেগে যায়।