[ডিসক্লেইমারঃ
মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!
মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!
সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
আর হ্যাঁ, ঈদ মোবারক!!! ]
- কী করিস?
- পড়ে আছি।
- কোথায়?
- বিছানায়।
- বিছানায়?
- ব্যাচেলর আবার শুয়ে থাকে নাকি?
- তুই একটা বাঁদর!
- এই কদিনেই মানুষ থেকে বাঁদর বানিয়ে দিলি? যাক, হাতে একটা সুযোগ এসে গেল?
- মানে?
- মানে, বাঁদরে নানা রকম দুষ্টুমি করবে। ওটা তার স্বভাব। দোষ দেওয়া যাবে না কিন্তু?
- মেরে ঠাং ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেব। খুব বাড় বেড়েছে, না?
[এটি একটি রূপকথা। বাস্তব কোনও ঘটনা বা পারম্পর্যের সাথে এর কোনও মিল নাই।]
সানাই বাজছে। বড় বড় সাউন্ড বক্স বসানো হয়েছে বাড়ির সিঁড়িত, ছাদে, লনে। এত জোরে শব্দ হচ্ছে আশেপাশের সব বাড়িগুলোর মানুষ আজকের রাতে ঘুমাতে পারবেনা জানি। এটাও জানি, কেউ কিছু মনে করবেনা। আজকে এটা বিয়ে বাড়ি, আমার বিয়ের আয়োজন চলছে এখানে।
[justify]সকালের শুরুটা খুব সাদামাটা। পূবদিকের জানালা দিয়ে নির্লজ্জের মত সূর্যের আলো চোখের উপর এসে পড়ে। নির্লজ্জের সাথে নির্লজ্জের মত ব্যাবহারই মানানসই। উল্টাদিকে ঘুরে সূর্যের বাপ মা তুলে গালি দিয়ে লুঙ্গি দিয়ে চোখের উপরটা ঢেকে নেয়, পাশে রাখা কোলবালিশের উপর বামপাটা তুলে দেয়। বিছানার পাশে কাউকে চোখে পরে না।
- সকাল হইতেই ভাগছে মাগী। টাকা ছাড়া এগুলি কিচ্ছু চিনে না!
অসন্তোষ
স্যাম সিলভা
[justify]
আম্মা কিসব চকলেট বিস্কুট কিনে এনে বাক্সটা র্যাপিং করে। বাক্সটা কিনে এনেছে কোন এক অনাথাশ্রমে দেবে বলে। সাঈফ নিচে নেমে খাবার ঘরের প্যাসেজে দাঁড়িয়ে। আম্মা তখনো ব্যস্ত র্যাপিং নিয়ে।
জেলে যাবার পর ভেবেছিলাম তুমি একবার হলেও দেখতে আসবে। তোমাকে দেখতে পেলে জেল জীবনের সমস্ত কষ্ট একাকীত্ব এক লহমায় কেটে যেতো। প্রতিদিন বিকেল হলে অপেক্ষায় থাকতাম ভিজিটর রুমে ডাক আসবে। জেল জীবনের কষ্ট সয়ে নিচ্ছিলাম অপেক্ষায় অপেক্ষায়। পুলিশ যেদিন ধরে নিয়ে এলো তুমি তখন ঘরেই ছিলে। জানালায় পর্দার গিট দেয়া চিহ্নটা তাই বলে। তোমাদের সবুজ গেটটা পেরিয়ে আসার সময় প্রিজন ভ্যান থেকে বহুকষ্টে তাকিয়ে ছিলাম যদি জানালায়
দিনটা ছিলো বুধবার| ব্রাদার হোবার্ট সকাল থেকেই চিন্তিত, একটু পর পরই ব্যালকনিতে যাচ্ছেন আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন| দেশের অবস্থা ভালো না, কখন কি ঘটে যায় কিছুই বলা যাচ্ছেনা| আবার এদিকে সকাল থেকেই মিলিটারির জীপ এদিক ওদিকে ঘুরছে, মাত্র ৬ দিন আগেই পাশের শাঁখারী বাজারে ওরা যে বিভৎস হত্যাকান্ড চালিয়েছে, তিনি সেটা জানেন| কিন্তু তার চিন্তা অন্যখানে, স্কুলের কম্পাউন্ডের ভেতরে বেশ কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে, তার উপরে তিনি নিজে স্কুলের তিনজন শিক্ষক আর তাদের পরিবারকে লুকিয়ে রেখেছেন উপরের ঘরে| কি যে হয় কিছুই বলা যাচ্ছেনা|
‘ও আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিল,’বলতে বলতে জানালার বাইরে চোখ রাখল রায়হান।অন্ধকারে মৃদুমন্দ বাতাসে দুলতে থাকা নারকেলের পাতাগুলোর দিকে শূণ্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,’ওর নাম ছিল শহীদ সোবহান।ওর বাবা ছিলেন সোবহান চৌধুরী,আরামবাগের এমপি।আমরা সবাই এ তাকে মস্ত সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই জানতাম।’
প্রায় আদিম যুগের কথা। ঠেঙ্গামারা গ্রামের লোকজন তখন মাত্র মোটা ধুতির উপর পিরান পরতে শিখেছে। তার আগে পুরুষকুলের সবাই উদলা গায়ে থাকতো। শীতকালে সেটা কষ্টকর হলেও গরমে আরাম ছিল। শীতকালে বয়স্কদের শিয়রে একটা করে 'আইল্লা' দেয়া হতো। 'আইল্লা' হলো জ্বলন্ত কয়লাপূর্ন পোড়ামাটির ভান্ড, যাকে মোবাইল ফায়ারপ্লেসও বলা যায়। এর সুবিধা হলো যেখানে খুশী সেখানে নিয়ে যাওয়া যায়। এমনকি সাবধানে কাঁথার ভেতরে ঢুকিয়ে নেয়া যায় শীতক