[justify]রাষ্ট্রের নামগুলো প্রথম প্রথম এক লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো। আদ্যক্ষর অনুযায়ী। তারপর হিসাব পাল্টায়। গোত্রবিভাজন জরুরী হয়ে পড়ে। ধনী দেশ, দরিদ্র দেশ। উন্নত দেশ, উন্নয়নশীল দেশ। জি এইট, নন-জি এইট। পরে সবকিছু আরো সরাসরি করা হয়। সফল রাষ্ট্র, ব্যর্থ রাষ্ট্র।
[বইয়ের তাক গোছাতে গিয়ে হঠাৎ অনেক পুরনো একটা লেখার খাতা চোখে পড়ল। দেখলাম তাতে প্রায় একুশ বছর আগের অপ্রকাশিত বেশ কিছু লেখা রয়েছে। তারই একটি এখানে তুলে দিলাম। ভাল লাগলে অন্যগুলোও দেব।]
‘তের হয়েছে তো কী হয়েছে?’
রীতিমত চেঁচিয়ে উঠল আকাশ। ‘এক মিনিট দোস্ত’ বলে আমি দ্রুত হাতে টেবিলের গ্লাসটা সরিয়ে ফেলি। আকাশের মতি-গতি ভালোই জানা আছে আমার। রেগে গেলেই ও কাছাকাছি টেবিলের ওপর ঝালটা ঝাড়ে। ও সত্যি সত্যি দশাসই এক কিল মেরে দিল টেবিলে। ভাগ্যিস গ্লাসটা তুলেছিলাম!
‘যাবি কি না বল!’
রাগ কিছুটা কমে এসেছে ওর। সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে।
[justify]
১.
বড়পর্দার মাঝখানে ভেসে ওঠে ইংরেজী অক্ষরে লেখা ‘স্টপ’ শব্দটি। সেটি ক্রমান্বয়ে বড় হতে থাকে, একসময় সমস্ত পর্দা অধিকার নেয়। নেপথ্যে শোনা যায় কথকের কণ্ঠস্বর। ‘স্টপ’, ‘স্টপ’, ‘স্টপ’, ‘স্টপ’, ‘স্টপ’...
কলকাতা টাউন হলের সমবেত দর্শকেরা দীর্ঘ একটা সময় চুপ করে থাকেন নিজ জায়গায়। এরপরে ধীরে ধীরে করতালি শুরু হয়, তালির শব্দ বাড়তেই থাকে- একসময় তা স্তিমিত হয়ে যায়।
জানি এ লেখাটি কেহই পড়িবেন না। পড়িলেও কেহ পুছিবেন না। তাহাতে কাহার কি? এ লেখক বড়ো ঘড়েল লেখক। ছাতামাতা লেখেন। ছাতিলাঠিবন্দুক--ইহাতে নাই সন্দুক। ইহাতেই আনন্দ। আসেন ডুগডুগি বাজাই। সিম সিম খুল যা--
প্রথম পর্ব : ইহা আমার ভাগ্নে কবি মুহিত হাসান দিগন্তের জন্য লিখিত
আরিকা আমার হবু বউ। একটু আগে সে আমার কোন কথায় কষ্ট পেয়ে আমার কাছ থেকে কয়েকদিনের ব্রেক চেয়ে নিয়েছে। ব্রেক শব্দটা শুনেই আমি এত ভয় পেয়েছি যে সাথে সাথে চ্যাটাং রেখে উঠে গিয়ে আসরের নামাজ পরে ফেলছি। নামাজ পরে প্রার্থনা করলাম যাতে আরিকার মনটা শান্ত হয়। আমিও যেন ও কষ্ট পায় এমন কথা না বলি। আমার রূঢ় কথার পিছনের ভালোবাসাটা যেন ও টের পায়। আমাকে ছেড়ে যেন না যায়।
(১)
[justify]সে যখন বলল, ‘তোকে না পেলে এই যে আঠারো তলা বিল্ডিংটা, এর ছাদ থেকে পড়ে মরব’। উপরে চোখটা রাখতেই মনে হচ্ছিল উঁচু ভবনটার মাথাটা যেন আকাশ ছুঁয়েছে। কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে প্রশ্ন করলাম, ‘আমার জন্য মরতে পারবি তুই?’ উত্তরে সে বলেছিল যে এর চেয়ে বেশী করার থাকলে তাই করবে। একটা অন্ধকার পাক খেয়ে গেল মনে তাকে ছাড়া আমার পৃথিবীর কথা ভেবে। ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে বললাম,‘ তুই মরে গেলে কি আমি বেঁচে থাকবো? আমিও চলে যাব এক সাথে’। অজানা আশংকায় হাতটা চেপে ধরে সে আমার। তারপর অনেকক্ষন দু’জনের কোন কথা হয়নি। বৃষ্টির ফোটা গায়ে পড়তেই সম্ভিত ফিরে আসে দু’জনেরই। রিকসার হুডটা মাথার উপর তুলে দিতে বাধ্য হলাম। পলিথিনে মোরা আমরা দু’জন যেন একটা ছোট ঘরে বন্ধী। প্রবল বৃষ্টি ভাসিয়ে নিচ্ছে আমাদের চারদিক। দিনটার কথা মনে আছে খুব। এখন থেকে তের বছর আগের এক ২৫ শে শ্রাবন দুপুরবেলা।
[justify]গ্রামের লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে ডাকাত সন্দেহ করে। এই গ্রামে নাকি আগেরদিন ডাকাত ধরে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। আমি বারবার বলি- আমি কিছু করি নাই। লোকজন শোনে না। তারা আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চড় থাপড় দিয়ে পুলিশ ভ্যানে তোলে। ভ্যানে তোলার সময় এক দারোগা পাছা বরাবর জোরে লাথি দেয়। ব্যথায় চোখে পানি আসে। বলতে থাকি- আমি কিছু করি নাই। অন্য পুলিশগুলো হাসে। অশ্রাব্য গালাগালি শুরু করে। আশেপাশে অন্যান্
[প্রথমেই বলে নেই এটা একটা ফাউল লেখা। ফাজলামী করে লেখা। কেউ এটাতে যুক্তি খুজতে যাবেন না।]
কাচ ভাঙার ঝন ঝন শব্দ আর চাকার মাটি কামড়ে ধরার আপ্রাণ চেষ্টার চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেলো রাশেদের। সবাই চেচামেচি করছে। বাসের হেল্পার চিৎকার করে বলল, “চু*র পুত”।
[ঘুম ভেঙ্গে লেখাটা শেষ করতে করতে 'একটু' দেরি হয়ে গেল! প্রথমাংশ'র পর এই রইলো মুরগোটের শেষাংশ ]
গোসল সেরে বেরিয়েই অন্তু আম্মুর মেজাজ খারাপ করার কারণ বিলক্ষণ আন্দাজ করতে পারল।
১.
'আপু, আপু, ওই জিনিসটা আমাকে কিনে দাও।'
'কোনটা? ওটা তো বার্বিডল। মেয়েদের খেলনা। ওটা দিয়ে তুই কি করবি?'
'না না না। আমাকে দিতেই হবে, দিতেই হবে। দাও দাও, এক্ষুণি দাও।'
এই হচ্ছি আমি। আমার অনেক রাগ। কেউ কিছু না শুনলে আমার অনেক রাগ হয়। আমার কেউ নাই। শুধু রানু আপা আছে। রানু আপারও কেউ নাই। খালি বাবা আছে। রানু আপার বাবাকে আমি পছন্দ করি না। কিন্তু রানু আপাকে পছন্দ করি। অনেক অনেক।