Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

জাদুর কাঠি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ৮:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ন্যাড়া মাঠটার দিকে বিষন্ন মনে তাকিয়ে কি যেন ভাবছে একটা মানুষ। পরনে তার লাল, গেরুয়া আর কালো রংয়ের পট্টি দেয়া অদ্ভুত কাবলির মত পোষাক। কাঁধে একটা সবুজ রংয়ের ময়লা চটের থলে। রুগ্ন ধরনের লোকটার চিবুকে একটুখানি দাঁড়ি, কিন্তু চোখে মুখে তীক্ষ্ণ একটা ভাব আছে। দেখেই মনে হয় খুব বুদ্ধিমান একটা মানুষ। অদ্ভুত পোশাকের এ তীক্ষ্ণ চেহারার মানুষটা পথচারীদের কারো চোখই এড়িয়ে যাচ্ছে না। সবাই যাবার পথে আড়চোখে


ফেরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ১২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অফিস থেকে বের হয়েই মনটা হাল্কা হয়ে গেল। অদ্ভূত সুন্দর ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। কদিন ধরেই কিছুটা গরম পড়ছিল। গ্রীষ্মকাল আসেনি এখনও। যদিও এই শহরের আবহাওয়াটা প্রায় সব ঋতুতেই গুমোট থাকে আজকাল। কিন্তু আজ তার উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। আর্দ্র স্নিগ্ধ বাতাস মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিল দিনভর পরিশ্রমের কথা।


এলান কোয়াটারমেইন ও আয়েশা ২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৮/০৮/২০১১ - ২:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম অংশ

প্রথম অধ্যায়
দ্যা তালিসমান

আমার ধারনা প্রাচীন মিসর এর বাসিন্দারাই প্রথম বলেছিল প্রতিটি মানুষ ব্যাক্তি ৬ বা ৭ টি ভিন্ন ভিন্ন উপাদান দ্বারা তৈরি। যদিও বাইবেল তিনটি উপাদান এর কথা বলে, এক – শরীর , দুই – আত্মা আর তিন - অতি আত্মা বা বিদেহী আত্মা। এই প্রাচীন মিসরীয়রা আমাদের ধারনার চাইতে বেশী বুদ্ধিমান ছিলেন এবং এসব ভাবার মত যথেষ্ট সময় এদের ছিল। আমি এসব ব্যাপারে নির্বিকার হলেও তাদের ধারনা যা বুঝেছি তাতে এই মানব শরীর ভিন্ন ভিন্ন তত্তের একক মুল ধারক, আমাদের দেহ কেবল রক্ত মাংসের একটি আবরন। অথবা সহজ করে বলা যেতে পারে আমাদের এই দেহ একটি বাড়ি ,যেখানে এইসব তারা মাঝে মাঝে থাকে, কখনো কখনো একসাথে। কিন্তু একটি সব সময়ই থাকে যা এই বাড়ি আলোকিত আর কর্মক্ষম করে রাখে।


পৃথিবী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৬/০৮/২০১১ - ১০:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রিক্সায় করে রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে ঢাকা শহরের মানুষগুলোকে বড় বেশী অন্য রকম লাগে। ঠিক বলে বোঝানা যাবে না কেমন, তবে পুরোপুরি মানুষ মনে হয়না এটা ঠিক। মেশিন মেশিন একটা ভাব আছে। মনযোগ দিয়ে দেখতে থাকে সে মেশিন মানুষগুলোকে। এদের হাটাচলা, কথা বলা, অংগভঙ্গি কোন কিছুই মিলেনা স্বাভাবিক মানুষের সাথে। রাস্তায় কেউ কাউকে তোয়াক্কা করছেনা। কাকে ফেলে কে রাস্তা পার হবে সে প্রতিযোগীতা হচ্ছে। কেউ ফুটপাথ দিয়ে হা


একটি স্টেরিওটাইপড প্রেমের গল্প !!!!!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৬/০৮/২০১১ - ৯:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টুপুর কে তোমরা চিনবে না। তোমরা অবশ্য আমাকেও চিনো না। দোষটা তোমাদের নয় । আমি এমন কোন জগৎ বিখ্যাত লোক নই যাকে না চিনলে লোকে মামলা ঠুকে দিবে।আমি হচ্ছি টুপুর এর ছেলেবন্ধু। এই কথাটা বলার সময় আমার চোখে একটা ছেলেমানুষী ধরনের বিশ্ব্জয়ের হাসি খেলে যায়।টুপুর বাড়াবাড়ি ধরনের সুন্দর একটা মেয়ে।খুব কমন কথা মনে হচ্ছে ।হতে পারে, আমি তো আর আনকমন কেউ নই।সে যাক!!


ইনসাফ

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি
লিখেছেন জহিরুল ইসলাম নাদিম [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৫/০৮/২০১১ - ২:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ অন্যরকম একটা আমেজ খেলা করছিল শাজাহান মিয়ার পুরো দেহ-মন জুড়ে। অন্যরকম না বলে বরং বলা উচিৎ সুখের একটা আমেজ। যা থাকলে নিজেকে মনে হয় প্রচন্ড সুখী কেউ, চিরপরিচিত স্থানটিও আর তেমন বিরক্তিকর লাগে না! উৎসাহের খাতিরে ডবল পানের সাথে একটা বিদেশী দামী সিগারেটও কিনে ফেলল সে।


আমার স্বপ্নযাত্রা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৮/২০১১ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৯৭ সালের মার্চ বা এপ্রিল মাস। তারিখটা আজ এতদিন পরে মনে নেই। ঢাকায় আসার উত্তেজনায় তখন আমি বিভোর। আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি নটরডেম নয়তো ঢাকা কলেজে পড়ব। কলেজ দুটোর ব্যাপারে ছোটবেলাতেই বাবার কাছে গল্প শুনেছি। শুনেছি এখানে যারা পড়ে তারা নাকি অনেক বড় বড় জ্ঞানী। আর সেই কলেজে আমি ভর্তি হতে পারবো ভাবতেই যেন আমার ঘুম আসছিলো না।


অ্যা জার্নি বাই বাস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০৮/২০১১ - ৮:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)

রাত আটটার সময় হঠাৎ সিদ্ধান্ত হলো আজ রাতেই ঢাকা ফিরতে হবে। কাজটা এমন ছিল যে আগে থেকে সিদ্ধান্ত নেয়ার উপায় ছিলোনা। প্রফেসর ফরিদ কোনভাবেই সময় দিতে পারছিলেন না, আর সময় যখন আর হলো তখন রির্পোটটা জমা দেয়ার সময় পার হয়ে গেল। বাড়তি সময় পাওয়া গেল তিনদিন, কিন্তু ফরিদ সাহেবের কাজ আর শেষ হয়না। শেষ পর্যন্ত হঠাৎ মাহবুব সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন, কাজটা যতটুকু হয়েছে, ততটুকুই খসরা রির্পোট হিসেবে জমা দেয়া হবে এবং রাতের মধ্যেই ঢাকা ফিরতে হবে।


দুঃখী মানুষের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩০/০৭/২০১১ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছেলেটির বয়স মাত্র ১৪ বছর।এই বয়সেই তার জীবনের উপর নেমে এসেছে স্থবিরতা। একটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়ে ও আজ অনেকটা জড় পদার্থই হয়ে গেছে।জীবনের উপর এই বৈরিতায় ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।মাঝে মাঝে ওর মনে হয় ধান ক্ষেতে পোকা মারার জন্য ওর মা আলমারির মধ্যে যে বিষ রেখে দিয়েছে তার থেকে কিছুটা খেয়ে সারা জীবনের জন্য ঘুমিয়ে যেতে।কয়েক বার বিষের শিশিটা নিয়ে নেড়েচেড়ে ও দেখেছে কিন্তু খেতে পারেনি।একটা জায়গায় ও আটকা


বালা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শনি, ৩০/০৭/২০১১ - ৩:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

চারতলা বাড়ি শহরতলীতে। রতনের চাচার। চাচাত ভাইরা থাকে না। রতন থাকে। দেখাশোনা করে। মাসে মাসে ভাড়া উঠায়। দুপুর হলে পানির পাম্প বন্ধ করে দেয়। আর গালি খায়। ছোটকাল থেকেই খেয়ে আসছে। এর বদলে অবশ্য চাচাত ভাইরা একটা দোকান তুলে দিয়েছে, বাজারে। বিকালের পরে দোকানে থাকে। মাঝে মাঝে সুরাইয়ার কথা মনে করে। ভালোই লাগে। রতন তার গল্প বলতে চায়। তার গল্পতে এমনিতে কোনো আর্থরাজনৈতিক ভ্যালু নাই। সামাজিক অ্যাকশনও নাই। এইটা লেখকের খরাকাটানি।