Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

অন্য জগত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩০/০৭/২০১১ - ২:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেডিকেল সেন্টারের দোতলার বারান্দার কোনাটায় রকের মত জায়গাটাতে বসলেই অনেক দুর পর্যন্ত দেখা যায়। অবশ্য বড় সীমানা প্রাচীরটার কারনে খুব কাছাকাছি কোন কিছু দেখতে পাওয়া না গেলেও দুরের আকাশটা আর ওখানে উড়তে থাকা পাখিদের দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে লুব্ধকের। বেশ দুরে কয়েকটা চার-পাঁচ তলা বিল্ডিং থাকলেও এগুলোর ছাদে কখনই কেউ ওঠেনা বিকেলে। মাঝে মাঝে ভাবতে ভালো লাগে, যদি কোন পরী দাঁড়ায় একটা ছাদে আর ডাক দ


'ফুঃ'

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শনি, ৩০/০৭/২০১১ - ২:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

*

ভোরবেলা দুধ দিতে এসে দুধ-ওয়ালা কথাটা রাষ্ট্র করলো।
বেদেরা এসেছে নাকি শহরে।

উর্মির মা নাশতার টেবিলে খবরটা দিলেন উর্মির বাবাকে।
উর্মির বাবা শহরের পুলিশের বড়কর্তা। হাঁই তুলতে তুলতে বললেন, ‘তাই নাকি? খোঁজ করে দেখতে হয় তাহলে। দরজা-জানালা গুলো ভালো করে দিয়ে রেখো, ওগুলোকে কোনো বিশ্বাস নেই, সব চোর-ছ্যাঁচোড়ের দল।'


অনামা গল্প – ৪

বইখাতা এর ছবি
লিখেছেন বইখাতা (তারিখ: শনি, ৩০/০৭/২০১১ - ১:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নির্বোধ বাঁজা মেয়েলোক!

কানের ভেতরটা পুড়ে গেল তাহমিনার। বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে হাসান। সে এই তিক্ত কণ্ঠ শুনতে পায়নি। হাসানের বাবার পায়ের থেকে হাত গুটিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায় তাহমিনা। চাপদাড়িঅলা বিশাল শরীরের প্রৌঢ় মানুষটার চোখ তীব্র লাল। রক্ত ছুটে বেরিয়ে আসবে যেন। ক্রোধ, হতাশা আর তিক্ত ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে হাসানের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।


অজগর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৯:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক,
বাঁ হাতে এগোলেই আরেকটা গলি। দাঁড়িয়ে একটু দম নেয় রঞ্জু। হাতের কাগজটায় লেখা বাড়ির নাম্বারটা আরো একবার দেখে নেয়, ৭৭/সি। অসীম ধৈর্য্য রঞ্জুর। প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট ধরে বাড়িটা সে খুঁজছে। গলি তস্য গলি ঘুরে ঘুরে পায়ে ব্যাথা ধরে গেছে। সেগুনবাগিচা এলাকাটিতে সে তার জন্মের পর আজ প্রথম এসেছে। জীবনের ছাব্বিশ বছরে তার এই এলাকাটিতে আসবার প্রয়োজন পড়েনি। অথচ ঢাকায় জন্ম- বড় হয়েছে রঞ্জু। ঢাকার কিছু কিছু জায়গার নাম শুনলেও খাবি খেতে হয় রঞ্জুকে, জীবনে নামটাও শোনেনি! অবশ্য মুখে কখনো প্রকাশ করেনা সে তার এই অজ্ঞানতার কথা। যদিও বা মাঝে মাঝে বন্ধুদের আড্ডায় বা কোনও কারণে মুখ ফষ্কে কিছু বের হয়েই যায়, তখন গলার রগ ফুলিয়ে ঝগড়া করে, ‘দুনিয়ার সব জিনিস চিনতেই হবে, সব জায়গার নাম মুখস্ত করে রাখতে হবে এমন নিয়ম করা আছে নাকি সংবিধানে?’ যতই রগ ফোলাক রঞ্জু, মনে মনে একটু খিঁচে থাকে ঠিকি নিজের অনেক অজ্ঞানতায়। আজকে যেমন ঢাকা শহরের মধ্যে অসংখ্যবার শোনা জায়গাটায় এসে খাবি খাচ্ছে ঠিকানা খুঁজে বের করতে।


লাল বাহাদুর শাস্ত্রী

ফাহিম হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফাহিম হাসান (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৪:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইতিহাসে অনার্স পাশ করে টানা দুইবছর ধরে বেকার ছিলাম। শখানেক দরখাস্ত ফেলেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত অনেক ধরাধরি করে একটা ফার্নিচার কোম্পানিতে কেরানীর কাজ জোগাড় করলাম। দায়িত্ব হল কাঠের সাপ্লাইয়ের হিসাব রাখা। পোস্টিং একদমই অজানা-অচেনা এক গ্রামে। বেঈমান শহুরে জীবনের পাছায় লাথি মেরে চলে আসলাম।


আইডেনটিটি ক্রাইসিস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৭/০৭/২০১১ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল খুব বেশী মনে পড়ে সেই শিমুল তুলা গাছটার কথা। এখনও কি আছে সেই গাছটা? সেই ছোট্ট বেলায় তার সাথে হয়েছিল পরিচয়। টিলার গায়ে ঘেঁষে ঘেঁষে যখন ঘুড়ি ওড়াতাম কি বিস্ময় নিয়ে দেখে থাকতাম ওই বিশাল মহিরুহটার দিকে। এত প্রকান্ড হতে পারে একটা গাছ! ওর শেকড়গুলো এত উঁচু কেন? আচ্ছা ওই শেকড়ের ফাঁকে কি বড় বড় অজগরের বাসা?


দেশবিদেশের রূপকথা – রাশিয়া

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: বুধ, ২৭/০৭/২০১১ - ৫:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সে অনেক চাঁদ আগেকার কথা। রুশদেশের এক উপত্যকায় ছিল এক ছোট্ট গ্রাম। আর সেই গ্রামে ছিল এক ছোট্ট মেয়ে। সেথায় সবাই তাকে ডাকত কালিস্‌কি বলে। তিনকূলে কেউ ছিল না মেয়েটির, তবে তা নিয়ে গ্রামের কারোরই ভাবনা ছিল না – সূর্যের মত তেজী ছিল সে, আর ছিল ঝর্ণার মত উচ্ছ্বল। ওইটুকু বয়সে সে একাই নিজের চুল বাঁধতে পারত, জল আনতে পারত, রুটি গড়তে পারত।


ফিশ ট্যাংক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শনি, ২৩/০৭/২০১১ - ১১:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আওয়াজ

প্রতিদিনের মতো রাতে টিভি খুলে দুর্ঘটনা, র‍্যাবের গুলি, ভুল চিকিৎসা, গণপিটুনি, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রবাহিনীর তাণ্ডব, যৌতুক, ধর্ষণ, পুলিশি নির্যাতন ইত্যাদি ইত্যাদিতে হতদের সংবাদ শুনি।

‘এইসব খবর শুনতে ভালো লাগে’- একজন হাততালি দিয়ে বলে। আমরা সায় দিয়ে হাততালির আওয়াজ বাড়াই।

নিওলিবারেল বাজার


গল্প প্রচেষ্টা-১৩

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: রবি, ১৭/০৭/২০১১ - ৬:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতি বুধবারে কেশবপুরের হাটে


হারিয়ে খুঁজে ফিরি...

মৌনকুহর এর ছবি
লিখেছেন মৌনকুহর [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৬/০৭/২০১১ - ১০:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“বাবা, এইবার কিছু দায়িত্ব নে না তুই, বোঝাটা একটু হালকা কর আমার?”

মেজাজটা সপ্তমে চড়ে গেল। এমন করে কেন এই লোকটা! প্রতিটা দিন এই একই কথা! সেই সাত-সকালে বেরিয়েছি, সারাদিন ক্লাস-ল্যাব-প্রাইভেট ঘুরে এই কিছুক্ষণ আগে মাত্র ফিরেছি। আর উনি শুরু করে দিলেন।