Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

অসমাপ্ত ভালবাসা

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: বুধ, ০৬/০৭/২০১১ - ১:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৯৮

প্রথম দেখা, অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা। চেয়ারে পা দুলিয়ে দুলিয়ে একমনে পড়ে যাওয়া, দুই ঝুঁটি আর কানে ছোট দুল,সাথে লাজুক লাজুক কথা -এই ছিল সে।

আমার দিনশেষে একবুক সুখ নিয়ে বাড়ি ফেরা। না, তখনও অক্সফোর্ডের দেওয়া সুখের সংজ্ঞা মনকে স্পর্শ করেনি। তবু বুঝতে পেরেছিলাম, এরই নাম সুখ।

২০০১

এরপর যেন বহুকালের নির্লিপ্ততা।


দুঃস্বপ্নেরা...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি
লিখেছেন দুষ্ট বালিকা (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৬/২০১১ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify] আজকাল ঘুমাতে পারিনা একেবারেই। ঠিক সময়ে ঘুম না আসার এই রোগটা অবশ্য পরিবারের সবারই কম বেশী আছে। প্রচণ্ড ক্লান্ত থাকা স্বত্বেও ঘুমাতে পারি না এতটুকুও। মনের কোন এক সঙ্কীর্ণ এলাকা থেকে দাঁত আর নখ নিয়ে আলতো পায়ে হানা দেয় একটা আজব ভয় তখন। ঘুম হীন রাত গুলো চোখের নিচে কাকের পা বসিয়ে গেলেও করার কিছুই থাকে না। এভাবে রাতের পর রাত না ঘুমানোর ভোতা একটা যন্ত্রণা নিয়ে কাটাতে হয় দিনের সবটুকুই। রাত আসলেই শুরু হয় আবার সেই ছটফটানি।


বুলগেরিয়ার গল্প-০৫

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৬/২০১১ - ৩:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. লেখক


মায়া

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি
লিখেছেন মানিক চন্দ্র দাস [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৬/২০১১ - ১০:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টেবিলের উপর বোতল। সাদা বোতল, বোতলের ছিপি আটকানো, জল আছে অর্ধেক। সে হিসেবে চিন্তা করলে অর্ধেকটা খালি। বোতলটা এখন যদি উল্টে যায় তাহলে কি হবে? ধরা যাক বোতলটা টেবিলের উপরেই উল্টে যাবে। ছিপির উপর বোতলটা দাঁড়িয়ে থাকবে। জল নেমে আসবে ছিপির দিকে। তলার দিকটা হয়ে যাবে ফাঁকা। আর কি ভাবে উলটানো যায়? গোটা বোতলটা যদি ভেতরের দিকে উলটে যাওয়া শুরু করে, তাহলে কি হবে? জল চলে আসবে বাইরের দিকে। ছিপির রঙ্গীন দিকটা চলে যাবে ভেতরে আর ভেতরের অ্যালুমিনিয়ামের দিকটা চলে আসবে বাইরে। জলটাকে যদি তখন ধরে রাখার ব্যাবস্থা করা যেতো তাহলে সে তখন থাকতো বোতলের চারিদিকে এবং অবশ্যই অর্ধেকটা জুড়ে। অদ্ভুত একটা দৃশ্য হবার কথা। মনের চোখে জমির সাহেব পুরো দৃশ্যটা দেখা শুরু করলেন।


কিল দা পেইন

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: বুধ, ২৯/০৬/২০১১ - ১:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমি ঋক। বন্ধুরা ফাজলামি করে ডাকে রিগ বা গর্ত। পাঁড় নাস্তিক বাবা কেন আমার নাম ঋক রাখে সেটা প্রথমে না বুঝলেও পরে আস্তে ধীরে বুঝি। বাবার কথাবার্তার মধ্যে জার্গন ফেনা তোলে। দর্শনের শিক্ষক হিসেবে কিছুদিন কাজ করে বাবা কাজ ছেড়ে দেয়। তার নিজের বাবার অনেক সম্পদ থাকায় টাকার কোনো সমস্যা হয় না। বাবার নিজে নিজে কথা বলার রোগ আছে। একসময় আমরা জানতে পারি বাবা তার জটিল দার্শনিক সমস্যাগুলো কোনো এক অদৃশ্য বন


একটি 'শ্রেষ্ঠ কবিতা'র আত্মপ্রকাশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০৬/২০১১ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেল পাকলে কাকের কী? সক্কাল বেলাতেই শুনিয়া আসা কথাটা রইসের মাথায় ঘুরিয়া চলিছে সারাদিনমান। কাকের চিন্তায় তাহার ক্ষুদ্র হৃদয়ের মূল যেন বিদীর্ণ হইয়া গেল। বেল পাকলে কাকের কী? বেল পাকলে কাকের কী? বেল পাকলে কাকের কী? বলিতে বলিতে তাহার মুখমন্ডল গৌরবর্ণ হইয়া উঠিল। জগৎকে উষ্ণ, ঘুর্ণিমস্তিষ্ক, রক্তনয়ন মাতালের কুজ্বটিকাময় ঘূর্ণমান ব্রহ্ম বলিয়া বোধ হইল।


গল্পঃ মৃত্যুচ্ছা শেষ পর্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৬/০৬/২০১১ - ৬:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গল্পঃ মৃত্যুচ্ছা পর্ব-১
গল্পঃ মৃত্যুচ্ছা পর্ব-২

তখন যেন পৃথিবীর আর সবকিছুকে আমি ভুলে গেলাম। যেন আমি পৃথিবী, তপুকে সূর্য করে প্রদক্ষিণ করছি। যা কোনদিন হবে না ভেবেছিলাম, তা-ই হল। আমি প্রেম সাগরে শুধু হাবুডুবুই খেলাম না, একদম ভেসে গেলাম। প্রেমিক-প্রেমিকাদের যেসব জিনিসগুলো আমার বিরক্তিকর লাগত, আমি ঠিক তাই-তাই করতে লাগলাম। প্রতি ঘন্টায় ফোন করে তপুর সাথে কথা বলা, তপু আমার প্রতি একটু অমনোযোগী হলেই মন খারাপ করা, একটু তীব্র স্বরে কথা বললেই কেঁদে চোখ ভাসানো, রাতে তপুর সাথে কথা না বললে অস্থিরতায় ঘুমাতেই না পারা, সকালে উঠে তপুর গলাই প্রথমে শুনতে চাওয়ার ইচ্ছা—সে এক কঠিন তালিকা যা বলে শেষ করা যাবে না। আরেকটা ব্যাপার যা না বললেই নয় তা হল, আমি নিবিড়ভাবে তপুর পছন্দ-অপছন্দগুলো নিজের করে নিলাম।


স্বপ্নজাল

শামীমা রিমা এর ছবি
লিখেছেন শামীমা রিমা (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ২:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রক্তিম সূর্যটা ধীরে ধীরে যেন পদ্মার জলে ডুবে যাচ্ছে । আর সেই অস্তগামী সূর্যটার দিকে অপলক তাকিয়ে রয়েছে সাজু। অথচ প্রতিটি দিনের শেষে ঠিক এভাবেই সূর্য অস্ত যায় ; তখনতো কখনো বুকের ভিতর এমন হাহাকার করে ওঠে না ! তবে আজ কেন সাঁঝ বাতি জ্বেলে দেয়ার পরও তার ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করছে না ? নদীর জলে দাঁড়িয়েও সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে ,তার বড় বৌদি গলায় আঁচল দিয়ে তুলসীতলায় পূঁজো দিচ্ছে । পাশের বাড়ি থেকে ভেসে আসছে শাঁখের আওয়াজ । এতোবছর পর আজই প্রথম সাজু অনুভব করল শাঁখের আওয়াজটা বড় বেশি বেদনাদায়ক ,বড় বেশি করুণ।


বিষন্নতার খোলা জানালা

জাহামজেদ এর ছবি
লিখেছেন জাহামজেদ [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৪/০৬/২০১১ - ১০:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা শব্দ মাথাটা প্রায় নষ্ট করে দিয়েছে আমার, সবকিছু যেন কেমন উলটপালট করে ফেলছি বারবার। অথচ এই শব্দের মানে কঠিন কিছুই না, সবকিছুই একেবারে সহজ, সহজ করে দেখলে সহজের মতো। অথচ এই একটি সহজ শব্দ কেন যেন যেন আমার জীবনে অনেক জটিল হয়ে গেছে। ঠাস বুনোটের বৃত্তে বন্দী জীবনটাকে যেন নিয়ে যাচ্ছি আরো এক বৃত্তবন্দী চক্রের ভেতরে, যেখানে সবকিছু জটিল, এমনকি আমিও। এখানে একটা শব্দ নিয়ে তৈরি জীবনে জটিলতা যেন আমার সব, আমা


অমীমাংসিত তৃষ্ণা

বইখাতা এর ছবি
লিখেছেন বইখাতা (তারিখ: শুক্র, ২৪/০৬/২০১১ - ৫:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভরদুপুরে এই জায়গাটায় একটামাত্র কাক, বিস্তর ডালপালা ছড়ানো একটা আমগাছের ডালে, ছাইরং তার। ওইটাই ডেকে উঠলো। তাতে ঘনবদ্ধ শূন্যতা সামান্য চিরে গেল। এরপর আবার সব চুপ। চড়া হলুদ রোদ। সরিষার তেলে ডুবানো ঝাল আচারের মতো ঝাঁজাল। এ ঘরে ফুল স্পীডে ঘুরছে সিলিং ফ্যান। ঘোলাটে আয়নায় ওর ছবি। আর খোলা জানালা। জানালায় গরম ভাপ। তারও পরে তাপে সিদ্ধ মৃতবৎ তিন চারটে গাছ। তার মাঝে নৃত্যরত তাপতরংগ। এ মূহুর্তে আজকের দুপুর এখানে এই রূপেই প্রকাশিত। নির্জন ও উত্তপ্ত।