সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর নিয়ম করে নাস্তা করা, পড়তে বসা আর গোসল করে স্কুলের জন্য তৈরি হওয়া- কোনটাই অন্তুর পছন্দ নয় একটুও। কিন্তু সবচেয়ে মন খারাপ করা ব্যাপার হল সব ক’টাই প্রত্যেকদিন করে যেতে হয়- পছন্দ হোক আর না-ই হোক।
মাঝে মাঝে নাস্তা না করলে কী এমন হয় তা ও বুঝতে পারে না কিন্তু না খেতে চাইলে আম্মুর চোখ দেখেই ও ঠিক বুঝতে পারে এরপরে কী হবে!
১
--
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে হয় তা সম্পর্কে সব মানুষেরই কিছু নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থাকে। আমার বাবা সবসময় বলতেন উনি সুস্থ অবস্থায় মারা যেতে চান—কোন দুরারোগ্য ব্যাধীতে ভুগে ধুঁকেধুঁকে যেন তাকে মরতে না হয়। আমার বড়ভাইটার সবসময় বড় বড় চিন্তা করতে ভালবাসত; ওর ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পরও যেন ইতি হাসের অংশ হয়ে অমহয়ে যেতে পারে। আমার ছোটভাইটা চায় ওর মৃত্যুর সময় যেন গার্ড অফ অনার দিয়ে ওর কফিন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দি
সবচেয়ে কঠিন কাজটা সবচেয়ে সহজে হয়ে যাওয়ায় তানিম একটু ফাঁপড়ে পরে যায়। অবশ্য গত কয়েকদিন ধরে সুমির হাবভাব ভালো করে বোঝা যাচ্ছেনা। বোঝার মত মনযোগ দেয়াও তানিম ছেড়ে দিয়েছে অনেকদিন আগে। যাই হোক, কাজটা হয়ে গেছে এটাই আসল, তানিম নিজেকে আশ্বাস দেয়।
তাহলে, আমরা দার্জিলিং যাচ্ছি?
ক্লাস এইটের ফাইনাল পরীক্ষায় বড়সড় একটা ধরা খেলাম। অঙ্কে একেবারে ঢাউস আকৃতির এক জোড়া ডিম! ঢাকা শহরের সবচেয়ে খরুচে স্কুলগুলোর একটায় পড়ে ছেলের এই হাল!! আমার গুরুজনেরা জরুরি সভা ডাকলেন। সভার মূল এবং একমাত্র আলোচ্য বিষয়-- এই বৃহদাকার ডিম্ব উৎপাদনকারী যন্ত্রের যথাযথ প্রতিবিধান। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হল, ইয়ার লস করা চলবে না। আমাকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখানে নানুবাড়িতে থেকে, গ্রামের স্কুলের নবম শ্রেণীতে, পড়াশুনা করে আমি 'মানুষ' হব।
[justify]টিভির ওপরে মানিপ্ল্যান্ট গাছটা কারণ ছাড়াই বেড়ে উঠছে। এই দুর্মূল্যের বাজারে বেড়ে ওঠার অপরাধটুকু ঢাকার কোনোপ্রকার আড়ষ্টতা ওর মধ্যে নেই। তরুশিশু থেকে তরুযুবকে পরিণত হওয়া আমি নিজেও খেয়াল করি নি। মাঝে মাঝে টিভির চ্যানেল পাল্টাতে গিয়ে এক আধবার দেখি বা দেখিনা, এর বেশি কিছু নয়। তবে ইদানীং কেনো জানি চোখে পড়ে। ক্লান্তি নিয়ে আমার বেড়ে ওঠার সাথে সাথে মানিপ্ল্যান্টের নির্লজ্জ বাড়বাড়ন্তে কষ্ট পাই। হিংস
কাক ডাকা ভোর। আলো পুরোপুরি ফোঁটে নাই এখনও। একটা দু'টা রিকসা চলছে রাস্তায়। মাঝে মধ্যে হুস্ করে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। টুকরি নিয়ে সাজু দ্রুত পায়ে হেটে চলেছে সাজু। গন্তব্য কারওয়ান বাজার। কঠিন একটি দিনের শুরু, প্রতিদিনের মতো ক্রেতাদের বাজার সদাই টুকরিতে বহন করেই তার দিনটা যাবে। কিন্তু তার মতো টুকরিওয়ালা মেলা। ক্রেতা পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। কাজ শেষে বঞ্চনাতো আছেই। সাজুর মনে পড়ে যায় ওই দিনের কথা। ভারি টু
অপরাহ্ণ সুসমিতো
স্টেশনে নামতেই টিকেটের সাথে স্টেশনের নামটা আবারো মিলিয়ে নিলাম । ভুরঘাটা । পুরানো ভাঙ্গাচোরা আদ্দিকালের এক স্টেশন,বাংলাদেশের আর পাঁচ দশটা রেল স্টেশনের মতোই । চারিদিকে পান বিড়ি পান শব্দের আনাগোনা । ভাবছি বেরিয়েই রিক্সা নেব । আপাতত সার্কিট হাউজ । সার্কিট হাউজে পৌঁছে চমৎকার এক গোসল,তারপর ধোঁয়া ওড়ানো ভাত,আহা,তারপর লম্বা এক ঘুম । এরকম ভাবতে দারুন এক আবেশ লাগে । এক পা সামনে বাড়াতে হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন আমার ডাক নাম ধরে ডাক দিল । অবাক হয়ে গেলাম । এই অচেনা জায়গায় কে আবার আমার নাম ধরে ডাকে । পেছন ফিরে তাকাতেই দেখি অচেনা এক মানুষ । বিবর্ণ,বিভৎস পোশাক । ডান হাতের অর্ধেকটা নেই । প্যান্ট ময়লা,হরেক রঙের তালি । ফুল হাতা জামা,ডান হাতের অর্ধেক নেই বলে হাতাটা ঝুলছে । আমি তো অবাকে থ’ । ওই জায়গাটায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম । কে এই শ্রীমান ? একদম আমার ডাক নাম ধরে ডাকল ।
[i]এই গল্প বহুকাল আগের, তখন হাত মকশো শুরু করেছি সবে। নানা ঊর্ধরৈখিক পাড়ায় যাতায়াতের সুবাদে আস্তে আস্তে পালে বাতাসও লাগছিলো। সেসব পাড়ার কিছু কিছু এখনো আছে, কিছু কিছু আর নেই। সেসব পুরানো দিনের পুরানো পাড়ার লোকেরা অনেকে নতুন পাড়ায় নিয়মিত হয়েছেন। এই গল্পের খন্ড খন্ড অগোছালো অংশ ওসব জায়গায় আগেই হয়তো কেউ কেউ দেখে থাকতে পারেন। আজও পরিবেশ দিবস এলেই নতুন বন্ধুদের সাথে এ গল্প ভাগ করে নিতে ইচ্ছা করে। অন্যরকম