হুজুরদের গল্প ৩
হুজুরদের গল্প ৪
তাবলীগ পর্ব
[justify]
[justify]আমাদের পাড়ায় একদিন সকালে সব বিড়াল মরতে শুরু করে। অনেকে বলে, শুরুটা হয়েছিল আকবর হোসেন সাহেবের বিড়ালের মৃত্যু দিয়ে। আকবর সাহেবের বয়স প্রায় পঁয়ষট্টি। স্ত্রী রেহানা মারা গেছেন মাস আটেক আগে। স্ত্রী মারা যাবার পরে একদিন তিনি বিকেলে বেরিয়ে কোথা থেকে কালো কুচকুচে একটা বেড়ালের বাচ্চা জোগাড় করে আনেন। ফর্সা সুন্দর নিজের বউয়ের নামটা দিয়ে দেন বিড়ালটিকে আর অত্যন্ত যত্ন-আত্তি শুরু করেন। বাসার বুয়া সাহেব
১।
নোনা ধরা দেয়ালটার উপর দিয়ে হাত বুলিয়ে নিতেই কেমন সাদা লবণের মত বালুর গুড়ো ঝরে পড়লো খাটের কোনটাতে। বিছানার চাদরটাও ধোয়া হয় না কতদিন। সব সময় গুমট হয়ে থাকে ঘরটা। পাশের বাসাটা উঁচু হতে হতে এখন সাততলা হবে হবে করছে। তখনি মনে পরে সেখানে ছিল একটি বেড়ার ঘড়, একটি মজা পুকুর। বৃষ্টি হলে পুকুর আর রাস্তায় পানি জমে এক হয়ে যেত। তখন কনকদের বাসাটা নতুন। আশে পাশের সব বাড়ি থেকে উঁচু ছিল বাড়িটা। সে এই বাড়িতেই তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছে। ছাদে দাড়িয়ে বাড়ির দুই পাশে দুটো পুকুরে মাছের ঘাই দেয়া ঢেউ এর দিকে তাকিয়ে সে তার জীবনের কত সকাল-সন্ধ্যা কাটিয়েছে।
[justify]উরবানো গোমেজের কথা কি তোমাগো মনে আছে? যে আছিলো ডন উরবানোর পোলা আর দিমাসের নাতি?
এই পাগুলা ভাল করে বাঁধ, হা করে দেখস কি?এত চিলাচ্ছে কেন? মুন্সি তুই মুখটাও শক্ত করে চেপে রাখ।
পানি খেতে চাচ্ছে মনে হয়, একটু পানি এনে দেই?
তোর কাছে পানি খেতে চেয়েছে?
কিছুটা লজ্জিত হয়ে মুন্সি মনে মনে বিড়বিড় করে...মুখতো চেপে ধরে রেখেছি, পানি খাইতে চাইবে কি ভাবে??
কয়বার পানি খাওয়াবি শুনি? আর পানি লাগবে না, দেখত কুদ্দুসের চাকুতে ধার দেওয়া শেষ হয়েছে কি না।
দিনটা কেমন থম মেরে আছে। মে মাসের শেষ দিন আজ। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে বঙ্গোপসাগরে উর্ধাকাশে অবস্থিত মেঘেদের মধ্যে ব্যাপক চিত্তচাঞ্চল্য ঘটাতে চট্টগ্রাম বন্দরে ৫ নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে। পাগলা হাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল। জেলেদের তীরের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অথচ শহরের বাতাস কুলুপ এঁটেছে মুখে।
পর্ব-২
ঢাকা শহরে মাথা ঠান্ডা রাখা খুবই কঠিন। এমনকি নিজাম সাহেবের মতো মানুষের জন্যেও এটা একটা দুঃসাধ্য ব্যাপার। সারা শহর জুড়ে কেবল মানুষ আর মানুষ। ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ে গোটা শহর ধুঁকছে। পনের মিনিটের পথ যেতে লাগে দু ঘন্টা।
পর্ব-১
নিজাম সাহেব একজন নির্ভেজাল সুখী মানুষ। তার সুখের মূল কারণ তার স্ত্রী আলেয়া বেগম।
নিজাম সাহেব ছেলে বেলাতেই বাবা-মাকে হারিয়েছেন। এক দূর সম্পর্কের মামার বাড়ীতে মানুষ। মামার সামর্থ্য বেশী ছিলনা, কিন্তু তবুও তিনি নিজাম সাহেবকে কলেজ অবধি পড়িয়েছিলেন। আলেয়ার সাথে বিয়ের প্রস্তাবটিও মামাই নিয়ে আসেন।