Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

স্পেলবাউণ্ড

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ৬:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভেতরে ঢোকার পর ফেরদৌস বুঝতে পারে, এটা একটা গুদামঘর। ভেতরে সিলিং থেকে সাহসী মাকড়সার মতো নেমে এসেছে কয়েকটি ঝুলন্ত নগ্ন বাল্ব, তাদের দাক্ষিণ্যে ক্রমশ পরিধির দিকে পিছু হটেছে ধুলোগন্ধী অন্ধকার।

অন্ধকার আর আলোর মাঝে একটি উঁচু চেয়ারের ওপর বসেছিলেন মিসেস হোসেন, ফেরদৌসকে দেখে তাঁর মুখে হাসি ফোটে। "আসুন, আসুন হাসান সাহেব। অ্যাই পপি, হাসান সাহেবকে কাগজটা দে তো ভাই!"

সহকারী নির্দেশক মারজানা পপি প্রেতের মতো নিঃশব্দে এগিয়ে আসে অন্ধকার ফুঁড়ে, তার হাতে এক শিট সাদা অফসেট কাগজ।


একটি দুর্ঘটনা অতঃপর

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৫/২০১১ - ৭:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]চেতনার গভীর থেকে বণ্হি জেগে উঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে।কিন্তু বারবার যেনো আর ও গভীরে তলিয়ে যাচ্ছে।কিছুতেই যেনো আর জেগে উঠবেনা সে।চোখ খুলে নিজেকে আবিষ্কার করলো মধ্যবয়সী এক ভদ্রলোকের দুহাতের মাঝে।কি হচ্ছে বুঝে উঠতে পারছেনা। কিন্তু সহজাত প্রবৃওি থেকেই বোধকরি লোকটাকে ঠেলে সরিয়ে দিতে চাইলো আর আনমনে বলতে লাগলো আমাকে ছেড়ে দিন, আমি ঠিক আছি।কিন্তু লোকটা তাকে বলছে মা আমি তোমাকে কাশেম ভাই এর বাড়িতে নিয়ে


ডুবিয়ে তরী ঝাঁপিয়ে পড়ি

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৫/২০১১ - ৯:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছিলো রবি।

শেষদিকে লোকজন বেজায় ত্যক্ত করতো। গুরুদেব গুরুদেব ডেকে পাগল করে ফেলতো। একটু স্বস্তি নাই, শান্তি নাই, আছে কেবল লোকজনের ঘ্যানঘ্যান, তাগাদা, আবদার, তৈলমর্দন, টাকে চুল গজানোর তেলের সার্টিফিকেট লিখে দেয়ার জন্যে অধ্যবসায়ী কবিরাজের ঘন ঘন দর্শন।

জীবনটার ত্যানা পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে সুতো বের করে ছেড়েছিলো ব্যাটারা।


ঘুম যায় ওই চাঁদ...

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: সোম, ০৯/০৫/২০১১ - ৫:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

... গল্প শোনার পালা এখন, নিঝুম নিশিরাতে...

সুর’বালিকা আবদার করেছে, তাকে সত্যি ভূতের গল্প শোনাতে হবে। আমি কোন অসাবধানে বলে ফেলেছিলাম, আমার দিদা খুব ভালো ভূতের গল্প বলতেন, পরিচিতজনদের জীবনের নানা ঘটনা থেকে নিয়ে... আর নিঝুম রাতে চাঁদের আলোয় তাঁর একটা গল্প ছিল নিজের জীবনের। কিন্তু ঘুরঘুট্টি রাত্রিবেলা দিদাকে পাশে নিয়ে শুয়ে দারুণ কন্ঠভঙ্গিতে যেসব গা-ছমছমে গল্প শুনতাম, সেই পরিবেশ না পেলে কি আর গল্প জমাতে পারব? এমনিতেই গল্প লেখা আমার তেমন জমে না, অনেকদিন আগে একটা অমন গল্প লিখতে গিয়ে শেষমেষ পাঠককে সন্তুষ্ট করতে পারিও নি। তাও, একটা চেষ্টা নিলাম। পাঠকেরা নিজ দায়িত্বে অর্থাৎ ঘরের আলো নিভিয়ে পেছনে যথাযথ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যেমন দরজার ধীরে ধীরে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়াজ দিয়ে পড়বেন।


সম্পাদ্য

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ০৮/০৫/২০১১ - ৬:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]রাখাল অন্যান্য দিনের মতোই অশ্বত্থ গাছ থেকে কিছুটা দূরে একটু ছায়া একটু আলো জায়গাটাতে তার দোকানদারি শুরু করে। ছালা থেকে কাছিমগুলোকে বের করে উলটো করে রেখে দেয় কালো পলিথিন শিটটার ওপর। দা, ছুরিগুলোকে ধোয়ার জন্য বাজারের কোনায় আকবরের চায়ের দোকানের সামনের টিউব ওয়েলের দিকে রওনা দিলে কাছিমগুলোর ফুরসৎ মেলে। গলা বাড়িয়ে উলটো পৃথিবী দেখতে গিয়ে ঘাসের ডগায় দৃষ্টি আটকে গিয়ে তাদের পৃথিবী কিছুটা অস্পষ্ট হয়


মেয়েটি।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৮/০৫/২০১১ - ১২:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেয়েটি হঠাৎ করেই এসেছিল আমার সংসারে। এমন নয় যে তাকে চাইনি আমি। বরং উলটো। তাকে চেয়েছিলাম, খুবই চেয়েছিলাম। সে আসবার আগে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি অনেক রাতে। স্বপ্নে তার সাথে কথা বলেছি, তার সাথে হেসেছি। হাত দিয়ে তার মাথার চুল এলোমেলো করে দিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে ভয়ে ভয়ে ছিলাম। সত্যিই কি সে আসবে? সত্যিই কি সে আসবে আমার সংসারে?


গল্প প্রচেষ্টা-১১

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ০৭/০৫/২০১১ - ২:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“What is Hecuba to him, or he to Hecuba, that he would weep for her?” - William Shakespeare, Act 2, Scene 2, Hamlet

****************************************************************************************
[justify]ইশরাতের মতো মেয়ের পক্ষে হানিফের মতো ছেলেকে পাত্তা দেবার কোনো কারণ ছিল না। বিশেষ পাত্তা সে দেয়ওনি। শুধু মাঝে-মধ্যে এক-আধটু করুণা করেছিল মাত্র। কোনটা ‘করুণা করা’ আর কোনটা ‘সুযোগ দেয়া’ সেটা বোঝার ক্ষমতা হানিফের থাকার কথা না, তাই হানিফ যা কিছু নিয়েছে প্রসাদ ভেবে নিয়েছে।


কথা দিয়েছি গল্প লিখে দেবো

বইখাতা এর ছবি
লিখেছেন বইখাতা (তারিখ: শনি, ০৭/০৫/২০১১ - ১:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কালো কাচ কালো রঙ গাড়িটা আবাসনের প্রধান ফটক থেকে বের হয়েই থমকে গেল। স্থবির যানজট। রাস্তাটা একমুখী। পুব থেকে পশ্চিমে। দক্ষিণমুখী ফটক রাস্তার গায়ে গা লাগিয়ে আছে। ফলে গেইট পার হয়ে কালো গাড়িটা নিতান্ত বাধ্য হয়ে থেমে গেল।


বাবলার বাবা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৫/২০১১ - ২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]বাবলা রাগে ফুঁসতে লাগল। বাসা থেকে বের হয়ে অন্ধের মতো হাঁটতে লাগল। আচ্ছা, বাবা সারাদিন খেটে এসে কেন তার সাথেই এইরকম চিৎকার করেন? আর ভালো লাগে না।

হালকা গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। ভিজতে কখনই খারাপ লাগে না বাবলার। বিকেল হলে কোয়ার্টার মাঠে ফুটবল খেলা যেত। এখন সন্ধ্যা, তাই ইচ্ছে করলেও খেলা যাবে না।


অসম

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৪/০৫/২০১১ - ৮:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুমনের বিস্ফোরিত চোখজোড়ার পলকহীন দৃষ্টি সহ্য করতে পারেনা মুরাদ। সরে গিয়ে জানালার সামনে দাঁড়ায়। বেশি সময় নাই ওদের হাতে। দ্রুত এখান থেকে সরে পড়তে হবে।
আপাততঃ গা ঢাকা দিতে হবে কিছুদিনের জন্য। মোটা অংকের টাকার টোপ হিসেবে সুমনকে মুরাদ আর ওর গুটি কয়েক বখে যাওয়া বন্ধু মিলে তিনদিন আগে উঠিয়ে এনেছিলো।