Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

স্লেইভারি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৫/২০১১ - ১২:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]এসব দুপুরের রোদ আরো কড়া হয়। বাইরের আগুনের হলকা ঘরের মধ্যেও তাপ বিকোয়। রাহেলা এই ক্যাম্পে পড়ে আছে আজ প্রায় তিন মাস। তার নিজের গায়ের ঘামের গন্ধ ঘরের মধ্যে কর্কশ মৌতাত ছড়িয়ে দেয়। বাবা-মা, ছোটভাইয়ের চেহারাগুলো এই তিন মাসে একটু একটু করে আরো ঝাপসা হয়। প্রাণ বাঁচানোর একাগ্র সব আর্তনাদ কানে এখন আর গাঢ়ভাবে এসে লাগে না।


আমাদের রেলগাড়ির ইতিহাস

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৫/২০১১ - ৩:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গোগলের ওভারকোট পড়ার পরই আমার আলি মনসুরের কথা মনে হল। সেই গল্পের প্রসিদ্ধ কেরানি, যে মরে গিয়ে উন্মাদ ভুত হয়ে যায়, অন্যায়ের প্রতিশোধ নেয়, তার সাথে মনসুরের মিল আছে যৎকিঞ্চিৎ। প্রথমে যদিও গোগলের ওভারকোটটাই উল্টা করে লিখে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কিন্তু পরে মনে পড়ল আলি মনসুরের গল্পটাও অনেকদিন লেখা হচ্ছে না।


পাহারা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ০২/০৫/২০১১ - ৩:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নীরবতার আগ্রাসন। বাড়াবাড়ি শীত আজ। ভাঁজ করা হাঁটু দুটো কাঁপছে লুঙ্গির আচ্ছাদনে। শীত-ভয়ের বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় বগলের নীচটা ঘামছে। কোথাও একটা কুকুর কেঁদে উঠলো। রাত বারোটার ঘন্টা শোনা গেছে অনেকক্ষণ হলো। এদিকে এখন কেউ আসবে না। গলা থেকে নীল মাফলারটা খুলে কোমরে বেঁধে নিল।

ডিসেম্বরের কয় তারিখ আজ? পৌষমাস এসে গেছে প্রায়। শীতটা তাই গত কদিনের তুলনায় বিশ্রী।


"পৈচাশিক": একটি কোয়াজাই-সায়েন্টিফিক আলাপগর্ভ ইংরেজিশব্দভারাক্রান্ত গল্প

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: সোম, ০২/০৫/২০১১ - ৭:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

কড়া আলো পিচাশ করিমের পছন্দ নয়। নিরেট অন্ধকারও ভালোবাসেন না তিনি। এই দুটোই হচ্ছে দৃষ্টিগ্রাহ্য পৃথিবীর দুই চরম অবস্থা। তিনি ভালোবাসেন রহস্য, যা থাকে আবছায়ায়। আলো আছে, কিংবা আলো নেই, এমন সরল বাইনারির জগতে যারা বাস করতে চায়, তাদের জন্যে প্রতিনিয়ত করুণার ভারে পিষ্ট হন পিচাশ। মূর্খ, ভালগার একটা সোসাইটি।


ছেড়ে দিলাম

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০৫/২০১১ - ৭:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এইখানে। শেষাবধি পেলাম ওটাকে। দৃষ্টি এড়ানোর ফন্দি আঁটতে আঁটতে হয়তো ওটার কেটে গেছে কয়েকটি দীর্ঘ সপ্তাহ। কত ছল-চাতুরী করতে হয়েছে, কতই না খেলতে হয়েছে লুকোচুরি। দুই ট্রাঙ্কের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া ইস্পাতের দেয়াল ঘেরা সরু গলি, পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখা অব্যবহৃত লেপ-তোষকের আঁধার ঘুঁজি, পরিত্যক্ত আসবাবের দাঁতে শিরশির তোলা অমসৃণ ফোঁকর, পাট পাট করে বিছানো দৈনিক পত্রিকার স্তূপ, ষ্টোর রুমে রাখা সুগন্ধি চালের বস্তা


ক্রমে আসিতেছে

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শনি, ৩০/০৪/২০১১ - ১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]বিষ্যুৎবারে সন্ধ্যা ঠিকই নামে। রাত আটটার আগেই বাবা আমার ব্যাগ রেডি করে রাখে। বোবা দরজার কাছে চুপ করে বসে থাকে। অনুপদের বাসায় শান্ত হয়ে থাকার কথা একবার মাত্র বলে বোবার হাতে আমাকে দিয়ে আস্তে করে দরজা বন্ধ করে দেয়। আমার সামনে তখন ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, গাছমণ্ডলী আর পুকুর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। বোবা হাঁটতে থাকলে আমিও তার সাথে চলতে শুরু করি। কুকুর ভোলা কিছুক্ষণ কুঁইকুঁই করে আমার সাথে এসে পরে আবার বাবার


পারুলবালার সন্তান

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৪/২০১১ - ৬:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পারুলবালা আমার কাছে সন্তান চায়নি। আমিই তাকে একটি শিশুর লোভ দেখিয়ে লোভী করে তুলেছিলাম।

প্রথম সন্ধ্যাটির কথা মনে আছে স্পষ্ট। খালের দুই পাশে খাড়া পারে সটান ভুরু কুঁচকে দাঁড়িয়ে প্রকাণ্ড সব ঋজু নাম না জানা বৃক্ষ, তাদের পাতার আড়ালে লুকানোর নিরর্থক চেষ্টা করছিলো আমার পিছু নেয়া চেরা চাঁদ, তাই আমার ছোট্টো ডিঙিযাত্রার পুরোটাই ছিলো গাছের পাতার বীভৎস সব ছায়ায় রঞ্জিত। সরু খালে নিরুদ্বিগ্ন কুমীরের মতো লগির ঠেলায় ভেসে চলছিলো আমার ডিঙি, যতক্ষণ পর্যন্ত পারুলবালার ঘর বরাবর খালের পাশে একটা হিজল গাছের গোড়ায় লাল কাগজে মোড়ানো হারিকেনটা এসে না দাঁড়ালো। পারুলবালা রেখে গিয়েছিলো সেই লণ্ঠন, হয়তো সূর্য ডোবার পরপরই।


আমাদের গল্প আর এ সংক্রান্ত বিষণ্নতা

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বুধ, ২৭/০৪/২০১১ - ৫:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মা শৈশবে খুব দুরন্ত ছিল। তার দুরন্তপনার নানান গল্প ছড়িয়ে আছে গ্রামে। নানিজীর মুখে সেসব শুনেছি আমরা। গ্রামের বড়রা গল্প করতো, মা নিজেও বলে। অন্যদের মুখে শোনার চেয়ে মায়ের নিজের বলাটা শুনতে বেশি ভালো লাগে। তার গল্প বলার এমন চমৎকার ভঙ্গি, এমন জমিয়ে গল্প করে, আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার শৈশব গিলতে থাকি। দম ফাটানো হাসি, রুমাঞ্চ কিংবা কান্নার গল্পগুলো। মা খুব বুদ্ধিমান, কোন গল্পটা শুনলে আমাদের মন খারাপ হয়,


গল্প প্রচেষ্টা-১০

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৪/২০১১ - ৪:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]বসুধাকে প্রথম দেখি কলেজ রোডে মায়াবাদীদের হাসপাতালে। সেখানে গিয়েছিলাম এক রোগীর অ্যাটেন্ডেন্ট হয়ে। আমার রোগী যখন মায়াবাদীদের নানা রকম নিয়ম-কানুনে বিরক্ত হয়ে বার বার ক্ষেপে উঠছিলো, তখন কথা বলার জন্য বসুধা আমাকে সুবিধাজনক মনে করলো। তার কথা আমার কান দিয়ে ঢুকছিলো কম, চোখে দেখছিলাম বেশি। সেকথা তারও না বোঝার কথা না, সেটা নিয়ে সে বিব্রতও নয়। দিনের মধ্যে নিশ্চয়ই কয়েক ডজন বার তাকে এই পরিস্থিতি সামলাতে হয়।


যাত্রা ফেরত

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৪/২০১১ - ১:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যমদুতের সাথে সুসম্পর্কের কারণে শেষ মুহুর্তে বেঁচে গেল গোরখোদক ঠান্ডু মিয়া। বজ্রপাতটা ঠিক কান ঘেঁষে মাটিতে নেমে যাবার সময় কয়হাত দুরের বিশাল ইউক্যালিপটাস গাছটাকে দো-ফালা করে গেলেও টিকে গেছে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাড় জিরজিরে বুড়োটা।