Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

অভিযান

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৪/২০১১ - ৭:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১। ডক্টর জীশান আমাদের যখন ডাকিয়ে পাঠালেন তখন বিকালবেলা। আমি, অঞ্জলি, সোমক আর জর্জ মিলে এক বিশেষ ধরনের শৈবালের নমুনা সংগ্রহ করছিলাম এক সরু খাঁড়ির প্রান্ত থেকে। এই শৈবাল ও খুব ইন্টারেস্টিং বেশ কদিন ধরে এই নতুন ধরনের শৈবাল নিয়ে পড়ে আছি আমরা কজন। পরীক্ষা করে দেখা গেছে এর সালোকসংশ্লেষক্ষমতা চেনাজানা অন্য উদ্ভিদদের তুলনায় অনেকটাই বেশী, শুধু সূর্যালোকে না, আমরা কৃত্রিম জোরালো আলোয় এমনকি মৃদু আলোতেও পরীক্


মালটোভা

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১১ - ৭:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পিপুল বাড়ি ফিরে হাত না লাগিয়ে লাথি দিয়ে পাক মারে স্কুলের জুতোজোড়া। ওর ইচ্ছা হয় জুতো ছুটে চলে যাক যেদিকে খুশি, কিন্তু ঠকাস করে গিয়ে দরজায় বাড়ি খেতেই ভয় পায় একটু। একা একা রাগ দেখিয়ে জুতো ছোঁড়া সহজ, কিন্তু সেটা বাড়ির মূল দরজায় জুতোর র‍্যাকের কাছ থেকে ছুটে গিয়ে ডাইনিং রুমে ঢুকে পড়লে সমস্যা! মা দেখলেই ক্ষেপে যাবে, ধমকা ধমকি শুরু হবে আবার। তাছাড়া এখন বাজে বিকাল সাড়ে চারটা, বাবা নিশ্চয়ই অফিস থেকে বাড়ি চলে এসেছে, বিশ্রাম নিচ্ছে ডাইনিং রুম লাগোয়া বসবার ঘরে, টিভি ছাড়া আছে নিশ্চয়ই আর খবরের কাগজটাও থাকার কথা তার সামনে।


আরগস

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১১ - ১১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ও অফিসে রওনা হলে আমি নিজের মতো একা হয়ে পড়ি। চুলায় পানি ফোটাতে দেই। ডাইনিং টেবিলে পড়ে থাকা এঁটো থালা আর অর্ধেক চা-সহ চায়ের কাপ সিঙ্কে রেখে পানি ছাড়ি। চায়ের বাকিটা আস্তে আস্তে রঙ পালটে পানির রঙ নিতে থাকে। পানি ফুটে গেলে কাপে ঢেলে চায়ের একটা ব্যাগ ছাড়ি। পানি তার বর্ণ বদলায়। দেয়ালে একটা টিকটিকি টিক-টিক আওয়াজ করে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় আমাদের ছবির পেছনে অদৃশ্য হয়।


চতুর্থ স্তম্ভ

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ৯:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

গেরিলা, হেহ! হাফমিদুল হাসে মিটিমিটি।

কাজটা মার্চ মাসে যতটা কঠিন ছিলো, এপ্রিলে এসে ততটাই সহজ হয়ে গেছে। কত সব ঘটনা ঘটে চলছে চারপাশে, মানুষের ছোট্ট স্মৃতি কতটুকু আর আগলে রাখতে পারে? যতই দিন যাচ্ছে, আসল কথা ভুলে যাচ্ছে লোকে। এখন প্রোপাগাণ্ডা মেশিনে স্টার্ট দিতে হবে, মনে মনে ভাবে হাফমিদুল হক। মেহেরযৌবন নিষিদ্ধ কেন কর্তৃপক্ষ জবাব চাই!


বিয়েটি বিয়োগান্ত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ৭:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রদীপ যেমন নিভার আগে একবার দপ্ করে জ্বলে ওঠে, তেমনি কাসেম সাহেব বছর খানেক আগে সাতাত্তুর বছর বয়সে জ্বলে উঠেছিলেন একবার। ‘নিরবকুঞ্জ’ নামের ছায়া সুনিবিড় বাড়ীটিতে তিনি তাঁর পুরাতন স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন, তবে আলাদা খাটে। আর ছেলে-মেয়েরা নিজেদের ‘নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি’ নিয়ে স্ব-স্ব ফ্ল্যাটে ব্যস্ত। সকলেই আর্থিক ভাবে বেশ স্বচ্ছল। বাবা-মা’র সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে কেউ সামান্যতম কার্পণ্য করে না, শুধুমাত্র সঙ্গ


অপ্রত্যাশিত সাক্ষাত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ৮:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]নির্লিপ্ত নটরডেম কলেজ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে গিয়েছিল লৌহজং। তাদের সাথে হলিক্রস কলেজের কিছু মেয়েও গিয়েছিল। এদের মাঝে একজন ছিল অন্তরা বিশ্বাস। সেই সূত্রেই প্রথম পরিচয়। প্রথম পরিচয়ে অন্তরা অবশ্য নিজের সারনেম ভুল দিয়েছিল। সেই নামেই অন্তরাকে চিনে নির্লিপ্ত।


কুকুর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ৮:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নতুন কেনা লেক্সাসের নরম চামড়ায় হেলান দিয়ে মুচকি হাসির সাথে একটা তৃপ্তির শ্বাস ছাড়ে নুমায়ের মাহমেদ। সুমি আনাদিল খান, না! হট বেইব, হট নেইম! মাগী দামী গাড়ি আর দামী রেস্টোরান্ট পছন্দ করে,গতির পেছনে ছোটে। সেই গতি নুমায়ের দিতে পারে এখন, কিন্তু আনাদিলের জন্য আর কতটাই বা বরাদ্দ রাখা যায় তার মহামূল্যবান সময়ের? সাময়িক বিনোদন, ছুঁড়ে ফেলে দাও একটু পরেই, এমন কত খানম-চৌধুরানী পেছন পেছন ঘুরবে!


পালক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৮/০৪/২০১১ - ৭:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
আবার সেই চুল। গরম হলদে খিচুড়ির মধ্যে আমাজনের অ্যানাকোন্ডার মতো শুয়ে আছে চুল। লম্বা চুল। কোত্থেকে আসে এই চুল! আমাদের এই নারীরহিতনিবাসে এতো লম্বা চুল আসেই বা কি করে। শুধু নিবাস নয় কর্মক্ষেত্রেও আমাদের নারী ভাগ্য নেই। অফিসে পুরো ফ্লোরে যে একজন সবেধন নীলমণি আছেন তিনি আবার এইচআর ম্যানেজার। স্বয়ং আমার অন্নদাত্রী। তার চুল সংগ্রহ করতে গেলে আমার চাকরির মূল ধরে টান পড়বে। এই মেসে অন্য যে কজন আছেন তারাও মোটামুটি নারীবিহীন অফিসে কর্মরত।


দস্তয়েভ্‌স্কির লগে

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: সোম, ১৮/০৪/২০১১ - ৭:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমরা তিন বন্ধু একসাথে হলেই একযোগে দস্তয়েভ্‌স্কিকে দেখি। ব্যাটা গোগলের রঙওঠা একটা ওভারকোট পরে থাকে সবসময়। এটা নিয়ে আমরা প্রায় হাসাহাসি করি। ঢাকায় গরম শীত সবকালেই তার গায়ে এই একই ওভারকোট দেখে আমরা তার নাম দেই শীতল রক্তবিশিষ্ট দস্তয়েভ্‌স্কি। আমাদের মধ্যে আজম দস্তয়েভ্‌স্কির প্রায় সব লেখাই পড়েছে, খালি ব্রাদার্স কারমাজভ ছাড়া। রবি বড় ও জটিল উপন্যাস পড়তে ভালোবাসে। দস্তয়েভ্‌স্কির ছোটোখাট লেখাগ


রাক্ষস আর রাখালের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৭/০৪/২০১১ - ১২:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক দেশে এক রাখাল ছিল। সে খুব সহজ সরল আর প্রান চঞ্চল বালক ছিল। সে দেখতে সুন্দর আর বলবান ছিল। সারাদিন ভেড়া চড়াতো মাঠে আর অবসরে গান গাইত আর বাঁশি বাজাত। তার গান শুনে বনের পশুপাখিরাও মন মুগ্ধ হয়ে সে গান শুনতো। সেই দেশের সাবাই রাখালকে অনেক ভালোবাসতো। সে দেশে এক ভয়ংকর রাক্ষস ছিল। সে সাবাইকে কষ্ট দিত। কারো বাড়ীর ছাগল নিয়ে যেত, কারো বাড়ীর গরু নিয়ে যেত। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হলে মানুষকে নিয়ে যেত। কিন্তু সে রাখাল