Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

আকাঙ্ক্ষা, স্বার্থপরতা, কল্লা-কাটা মোল্লা ও অন্যান্য

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব বর্ণন (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৪/২০১১ - ৫:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানবিক

মৃত্যুর পর স্বর্গ বা নরক কোনকিছুই আমার জন্যে অপেক্ষা করছে না। তাই যদি খুন করে ফেলি কাউকে, কিছু আসে যায় না আমার পরকালের, যেমন আসে যায় না একটি মানুষকে বাঁচালে। নিতান্ত বিবর্তনীয় কারণ ছাড়া আর কোনো কারণে কি তাহলে আমি মানবতাতাড়িত? নাকি এ কেবলই প্রোথিত?


অশেষ আকাশ

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৪/২০১১ - ৭:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হালকা নীল আলোর মধ্য দিয়ে উড়ে যাচ্ছি, সঙ্গে সাদা পালকের মতন দেখতে অচেনা জিনিসের পোশাক পরা এক অদ্ভুত মানুষ, ওর মুখ দেখতে পাই না, ওর ডান হাত দিয়ে আমার বাঁহাত চেপে ধরে আছে, আমি সম্পূর্ণ ভারশূন্য!


অনুবাদ: টুকুন গল্প। ১৪।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৪/২০১১ - ১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যখন সৈনিক ছিলাম
ব্রায়ান ই টার্নার

[justify]
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাতে গিয়ে আমি একটা গর্তে আশ্রয় নিই। সেখানে দেখি নীল উর্দির এক লোক বসে আছে। এদিকে আমার গায়ের উর্দি সবুজ। যন্ত্রণাবিদ্ধ চোখে সে আমার দিকে তাকায়। আমার ভাষায় একটা শব্দ উচ্চারণ করে।


কালে খানের কাটরায়

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ১০:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মজিদ ভাই নিস্পৃহভাবে বললেন, "আমি কোথাও যেতে পারবো না। কোথাও নয়।"

হতভম্বের মতো একে অপরের মুখ চাওয়া ছাড়া আমাদের কিছু করবার নেই এখন। কী যে করা উচিৎ, তা ভেবেই পাই না আমরা।

- "সে কী মজিদ ভাই !! দারুণ জমজমাট অনুষ্ঠান হবে সেখানে," ফন্দিবাজ কবির বলে। "নামীদামী শিল্পীরা আসবেন অনেকেই। "


অনুবাদ: টুকুন গল্প ।১৩।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ১০:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভবঘুরে
চেস্টার হাইমস্‌

উষ্ণ ও পরিষ্কার সেই রাতে ভরা চাঁদ সাইন নদীকে আরো সুন্দর করে তোলে। এক আমেরিকান ওয়াইন সহ রাতের খাবার খেয়ে নদীর তীরে হাঁটতে বেরিয়েছে। তার হাতে সিগার। আশেপাশের ছায়ায় টের পাওয়া যাচ্ছে যুগলদের উপস্থিতি। সারি সারি ক্যাম্পার গাড়ি রাস্তায় ওপর চুপচাপ শুয়ে আছে। হঠাৎ করে সাহায্যের জন্য একটা চিৎকার সবকিছুকে ছাপিয়ে শোনা গেল। পাগলের মতো দৌড়ে এল ছেঁড়া জামাকাপড়ের এক ভবঘুরে। চ্যানেলের পানিতে ডুবে যেতে থাকা একটা কুকুরকে দেখিয়ে বলতে লাগলো- "আমার বেচারা কুকুরটা, ডুবে যাচ্ছে। অথচ আমি সাঁতার পারি না।"


অনুবাদ: টুকুন গল্প ।১৩।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ১০:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভবঘুরে
চেস্টার হাইমস্‌

উষ্ণ ও পরিষ্কার মধ্যরাত্রি। পূর্ণিমার চাঁদ সাইন নদীর সৌন্দর্যকে আরো স্পষ্ট করে। ওয়াইন সহকারে রাতের খাবার শেষের পর এক আমেরিকান সিগার টানতে টানতে নদীর পারে হাঁটতে থাকে। আশেপাশের ছায়ায় যুগলেরা ব্যস্ত। রাস্তার ওপর ক্যাম্পার গাড়িগুলো চুপচাপ ঘুমিয়ে। হঠাৎ করে একটা সাহায্যের আর্তি সুনসান পরিবেশকে নষ্ট করে। ছেঁড়া কাপড় পরা ত্রস্ত সন্ত্রস্ত একজন ভবঘুরে চ্যানেলের পানিতে ডুবতে থাকা একটা ছোট্ট কুকুরের দিকে আঙুল তাক করে- ‘আমার বেচারা কুকুরটা ডুবে যাচ্ছে, অথচ আমি সাঁতার জানি না’।


মিল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১০/০৪/২০১১ - ৪:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তার সঙ্গে আমার অনেক মিল ছিলো।


নাগরিক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ১০/০৪/২০১১ - ১২:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]এক একটা দিন কিভাবে কিভাবে যেন পেরিয়ে যায়। টুকটাক বসে থাকি, শুয়ে থাকি কিংবা লেবু চা বানিয়ে নিয়ে এসে রেলিং এর কাছে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই বারান্দার রোদ বদলে যায়। রাত হয়ে আসে। লাইব্রেরি থেকে মাঝে মধ্যে বই নিয়ে আসি। বই পড়তে খুব একটা ভালো লাগে না, বই এড়িয়ে চুপচাপ সময় কাটিয়ে দেয়া বরং বেশি পছন্দের। বারান্দা থেকে এসে বিছানায় গা এলাই। মাথার কাছে বইটা নাড়াচাড়া করি। দা গার্ল ইন দা পিকচার। দক্ষিণ ভিয়েত


হুজুরদের গল্প ৪

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৯/০৪/২০১১ - ১:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুলগেরিয়ার গল্প-০৪

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৪/২০১১ - ৪:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. ভালোবাসাবাসির জায়গা

দুপুরে এমা বসের রুমে গিয়ে বললো, “আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। আমি কি এখন চলে যেতে পারি”? কাজের চাপ কম থাকায় যাবার অনুমতি মিললো। অফিস থেকে বের হতে এমা দেখলো অফিস বিল্ডিং-এর বাইরে পল অপেক্ষা করছে। পল ভাবলো, ছ’টা বাজতে এখনো অনেক দেরী। তারমানে এমার স্বামী বাসায় ফেরার আগে যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে। তাহলে আজ কোথায় হতে পারে? শেষবার বড় সুপার মার্কেটটার মাটির নিচের কার পার্কিং-এ হয়েছিলো। কয়েকশ’ গাড়ির মধ্যে কে কোন গাড়িতে কী করছে কেউ সেটা বুঝতে পারেনি। আশে-পাশে লোকজনের আনাগোনার সম্ভাবনা যতোটা বাড়ে, এমার মধ্যে উত্তেজনাও ততোটাই বাড়ে। যে জায়গা যতো বেশি বিপদজনক সেখানে মিলিত হবার মজা ততো বেশি!