[justify]
সিগারেট কেনার জন্য রিকশা থেকে নেমেছিল মামুন। কেনা শেষ করে আবার রিকশায় চড়তেই মিলিকে দেখতে পেল সে। বেশ হেসে হেসে গল্প করতে করতে যাচ্ছে বিপুলের সাথে। মামুনের সাথে আবিরও ছিল, সেও দেখেছে মিলিকে।
“কিরে, ওইটা তোর মিলি না?” নিরীহ গলায় প্রশ্ন করল আবির।
এদেশের নাস্তিকেরা, আল্লাহ মানে না, কোরান মানে। আল্লাহমানা মুসলমানের মতই - সে মদ খায়, জুয়া খেলে, জেনা করে। কিন্তু কোরানমানা মুসলমানের মত দিন শেষে তওবা করে। বলে, "সব দোষ শালা উদারপন্থী মাদারচোদদের"!
[justify]
গ্রীড ইজ গুড। ওয়ালস্ট্রিট সিনেমায় গেকোর এই কথাটার পরে আমাদের সমাজটা পালটে যায়। রাজনীতি, ধর্ম, খেলা, কুচকাওয়াজ সবকিছু অর্থনীতির ওপর নির্ভর করে নিজের নিজের মুখোশ বদলাতে থাকে। মুনাফাকে কেন্দ্র ধরে শুরু হয় রিগ্যানোমিকস্, থ্যাচারিজম প্রভৃতি। গরিব কর্মহীন মানুষকে অনুৎপাদিত ক্ষেত্র না ধরে সেখানে চালু হয় এনজিওমিকস্। গরিব দীর্ঘমেয়াদে গরিবিহালে বাঁচে আর মুনাফার শ্রমযন্ত্র হয়ে কাজ করতে থাকে।
শুভ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি। দিবা-রাত্রি-দুপুর-সন্ধ্যা কোন সময়ই, ঘুমে কিংবা আধো-ঘুমে একটিবারের জন্যও স্বপ্ন দেখেনি সে।
যখন ছোট ছিলো, তখন সে সবাইকে বলতে শুনতো স্বপ্নের কথা। "স্বপ্ন কী মা?" একদিন মাকে নাকি জিজ্ঞেস করে শুভ। মা বলেছিলেন, "ঘুমের মধ্যে সবাই দেখে, নানারকম সব ঘটনা, এই নিজেদের নিয়েই।"
"কী দেখে মা?"
ডনোভান চমকে পাওয়েলের দিকে তাকালো, “বাজি ধরে বলতে পারি এই মাথানষ্ট লোহার জঞ্জালটা এনার্জি কনভার্টারের কথা বলছে।”
পাওয়েল হাসি সামলাতে পারলো না, “সত্যি নাকি, কিউ টি?”
“আমি প্রভুর কথা বলছি”, শান্ত, তীক্ষ্ণ উত্তর এলো।
১.
[justify]অনূঢ়কালঃ
অপ্রাসঙ্গিক
আলোটা ঝাক্ করে চোখে লাগার সাথে সাথেই ঝাঁঝালো পেচ্ছাপের গন্ধটাও নাকে ঢুকে পড়লো।
শালা! রোজ বলা যে বাইরে গিয়ে করবি। এইটুকু হেঁটে যাবেনা! জানালা দিয়ে বাইরে ছাড়তে ছাড়তে মেঝেসহ ভিজেছে।
প্রচন্ড ধাক্কা, তারপর হঠাৎ যেন সবকিছু স্থির হয়ে গেল। বীথির চিৎকারে সজীবের হুশ ফিরল। সেই সংঘাত পূর্ণ রাজপথ, চারপাশে ভীত পায়ের ছোটাছুটি, তার মাঝে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সজীব। আবারও বীথির চিৎকার "সজীব পালা"।
মনোরম একটি সন্ধ্যা। অভিজাত এলাকার বিস্তৃত মসৃণ সড়ক। দু' একটি ছিমছাম বহুতল বাড়ি। গোছানো মানানসই পরিপাটি ঘাস ও গাছ। বহুতল আবাসগুলোর পাশে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে কিছু সুদর্শন দোকানপাট, চীনা রেস্তোরা, অভিজাত স্কুল, আত্মসম্মানবোধে দৃঢ় বইয়ের দোকান, অত্যাধুনিক ও স্মার্ট যন্ত্রাদির স্টোর। সড়কে সাঁই সাঁই করে ছুটে চলছে চকচকে গাড়ি, রাগী বড়সড় বাস, ক্বচিৎ ক্ষ্যাপা হলুদ-সবুজ ট্রাক। এদের পাশ দিয়ে চিপা চাপায় মিশে গিয়ে