সাফির লেখা দেখে আমারো ছয় শব্দের গল্প লিখতে ইচ্ছে করলো। বলা যায় গায়ের জোরে লেখা। প্রথম কয়েকটা মন্তব্য হিসেবে আগে পোস্ট করেছিলাম।
কনকনে শীতল বাতাস। গলাবন্ধ সোয়েটারেও মানছে না। ঠকঠক করে দাঁতে দাঁত বাড়ি খাচ্ছে। কানমাথা সব ঢাকা আছে তবু এই বেদিশা ঠান্ডায় কাবু হয়ে আছে মুহিব। পকেট থেকে প্রায় চ্যাপটা হয়ে যাওয়া মার্লবরোর প্যাকেট বের করে গুনে দেখলো, মাত্র পাঁচটা বাকী আছে। সামনে যদিও দীর্ঘ রাত, হাতে সময় অল্প, এই পাঁচটাতেই হবে। গত পনের দিন ধরে রাতগুলো যেন সারাজীবন দেখে আসা রাতের চেয়ে অনেক বেশী দীর্ঘতর। সব দুঃসময়ের রাতই দীর্ঘ হয়।
[justify]
“বুশ বাহিনীর গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে
লাদেন তুমি এগিয়ে চল, আমরা আছি তোমার সাথে”
১.
১. বয়স কতো?
এক নামকরা স্বাস্থ্যরিপোর্টার এক বৃদ্ধাশ্রমে বসেছিলো। সে এক সাদা লম্বা দাড়িওয়ালা বৃদ্ধলোকের কাছে গিয়ে বললো- আমি কি জানতে পারি স্যার আপনার বয়স কতো?
- ছিয়ানব্বই বছর। বৃদ্ধ উত্তর দিলো।
- কেন আপনি মনে করেন এতো বেশি বছর এখনও বেঁচে আছেন?
- আমি কোনো ধূমপান করি না। আমি কোনো বিয়ার বা মদ্যপান করি না।
ছুরি
মাইকেল ওপেনহাইমার
[justify]
বিকেলের মিঠে রোদ খেলা করছিল চুলে, গালে। মৃদু বাতাসে কপাল, কানের পাশে থেকে চোখেমুখে এসে পড়া চুলগুলো না সামলে শক্ত করে রিকশার হুড ধরে বসে ছিল মৃত্তিকা। পহেলা ফাল্গুন, বসন্তের প্রথম দিন। আজকে ভিড়টা টিএসসি, বইমেলায় আরো বেশি। বিশ্বরোডে এ সময়ে কোনো জ্যাম নেই, রিকশা প্রায় উড়িয়ে নিয়ে চলেছে কমবয়েসী রিকশাচালক ছেলেটা।
ইউনিভার্সিটি থেকে বের হলে সবার আগে আমরা যাই আশেপাশের ফাস্টফুডের দোকানে। এলাকাটা বাণিজ্যিক, তাই এগুলোর কোন অভাব নেই। আমাদের ক্যাম্পাস কেন্দ্র করেই বেশ কয়েকটা গজিয়ে উঠেছে।
[justify]ব্যাথাটা এবার ডান খাঁচার নিচে বেশ খানিকটা গভীর থেকে আসছে। আর ছোট ছোট একেকটা চুমুকে দেওয়াল থেকে বহুদূরে থাকা ড্রিল মেশিনের ঝিম্ প্রতিধ্বনি। কী-বোর্ডে আরো খানিক খুট খুট। তারপর আবার ব্যাকস্পেসে চাপ। রুশ দোকানে ভদকার ওফার ছিল। আধা লিটারের বোতল তিন ইউরো নিরানব্বই সেন্ট। এবার শীতের একেবারে শুরু থেকেই চলছে। স্টক শেষ হওয়া পর্যন্ত চলবে। নাতাশা, ইরিনা, গালিয়েভা, স্তানেভা, পুদোভকীনাদেরও এরকম অফার থ
১. সেলসম্যান
হেনরি লীচ একজন সেলসম্যান। সে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বিক্রি করতো। প্রকৃতপক্ষে সে একজন ভালো সেলসম্যান ছিলো এবং প্রচুর বিক্রি করতো। একবার এক সপ্তাহের জন্য ম্যানেজার তাকে গ্রামাঞ্চলে পাঠালো। গাড়ি করে শহর থেকে বের হয়ে সে এক খামারবাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। দরজায় টোকা দেবার পর কৃষকবধূ খুলে দিলো। হেনরি সঙ্গে সঙ্গে কথা বলা শুরু করলো।