[justify]
এই ব্রিসবেনেও তামিল গুণ্ডাদের অত্যাচার!
গিবরিল তাহার রশ্মিনির্মিত নাসিকা ডাকাইয়া ঘুমাইতেছিল। দরজায় পদাঘাতের শব্দ শুনিয়া সে ধড়মড়িয়া ঘুম ভাঙিয়া উঠিয়া বসিয়া চক্ষু রগড়াইল।
আদম অধৈর্য হইয়া কহিল, "আব্বে বারবণিতার সন্তান, দুয়ার খুলিবি নাকি অগ্নিসংযোগ করিব?"
গিবরিল হতচকিত হইয়া লুঙ্গির গ্রন্থি ঠিক করিতে করিতে গিয়া দরজা খুলিল। আদম একটি বড়সড় ঠোঙা হস্তে তাহাকে ঠেলিয়া ঘরে প্রবেশ করিয়া দরজায় অর্গল তুলিয়া হাঁপাইতে লাগিল।
এই পাড়ার মানুষ পরচর্চা করতে ভালোবাসে। তারা সময় সুযোগ পেলেই ঘরে এবং বাইরে পাড়ার অন্যান্য মানুষদের বা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী নিয়ে কানাঘুষা করে। এসব কানাঘুষার বিষয়বস্তুর নির্দিষ্ট কোনো ধরণ না থাকলেও কিছু কিছু বিষয়ে কানাঘুষা চলে অনেকটা নিয়মিত। তাদের এ ধরণের নিয়মিত কানাঘুষার বিষয়বস্তুর মধ্যে যারা পড়ে তাদের মধ্যে অন্যতমরা হচ্ছে আসগর সাহেবের মেয়েলী স্বভাবের কলেজ পড়ুয়া ছেলে পলাশ, একই বাড়ির নিচের তলার
দরবেশের বীজ
শরীরটা সামনে ঝুঁকিয়ে হাতলের শেষ মাথায় শক্ত করে বাম হাত আর একটু উপরের দিকে আলতো করে ডান হাত রেখে কুড়ালটা বাগিয়ে ধরে আব্দুল ওহাব। তার হাত আর শরীরের এই পজিশন সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কোপ মারার পজিশন। কোপ মারার আগে হাত আর মেরুদণ্ড একসাথে পেছনে গিয়ে একসাথে নেমে আসবে সামনে। অর্ধেক সেকেন্ড সময় লাগবে কুড়াল মাথার উপর তুলতে আর বাকি অর্ধেক সেকেন্ডে হ্যাপ করে নেমে আসবে সামনে। সোজা কুড়ালের ফালিটা গিয়ে ভ্যাৎ করে গে
[justify]ভোরসকাল থেকেই বুকটা দুরুদুরু করছে ফাহাদের। কী হবে আজ কে জানে? কাল সারারাত ঘুম হয়নি ঠিকমত। একটু পরপর ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছিল,আর সে খোদার কাছে চুপিচুপি প্রার্থনা করছিল যেন আজকের দিনটা আজকেই না হয়ে আর কিছুদিন পর হয়। ততদিনে একটু বড় হলে তার অনেক সাহস গজিয়ে যাবে। তখন আর ভয় লাগবে না। আম্মু বলেছে বড় হওয়ার সাথে সাথে ভয়ও শিশু বা বালক টাইপের ছেলেদের ভয় পেতে থাকে। তখন তাদের ছেড়ে চলে যায় ভয়। কিন্তু প্রায় সাড়ে চার বছর হতে চলল। এখনও ফাহাদের অনেক ভয়। তার ধারণা, ভয় পালানোর মত যথেষ্ট বয়স তার হয়নি। আর এজন্যেই তার চরম ভয়ভয় করছে। আব্বু কিংবা চাচারাও নাকি ছোট থাকতে এমনটি করিয়েছেন, তাঁরা নাকি বিন্দুমাত্র ভয় পাননি এমনটি করার সময়। আব্বু কখনো মিথ্যা বলেননা ফাহাদ জানে। কিন্তু কথাটা তার বিশ্বাস হয়নি। হয়ত তাকে সাহস যোগাতেই ধাপ্পা মেরেছেন আব্বুও। সে অবশ্য আরও দুই ধরনের আর্জি জানিয়েছিল রাতে খোদার কাছে। এক, তার সাহস বাড়িয়ে দেয়া হোক এই রাতেই। অথবা দুই, তার বয়স বাড়িয়ে দেয়া হোক এই রাতেই।
- আর ইউ এন ইজিপশিয়ান?
[justify]গাড়িটা নতুন কিনেছিলাম। দারুণ জিনিস। বড়সড় একটা বিএমডব্লু, তেল ভরাও যায় সহজে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২৯ মাইল যেতে পারে, ফ্যাকাশে নীল রঙ। ভেতরের বসবার গদিগুলো গাঢ় নীল চামড়ায় মোড়া। এক্কেবারে খাঁটি চামড়া। জানালা আর মাথার উপরের রোদছাউনী খোলে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত ব্যবস্থায়। রেডিওর সুইচ চাপলেই লম্বা এন্টেনা বেরিয়ে আসে- সুইচ চাপলেই আবার ভেতরে ঢুকে পড়ে। নীচু গতিতে চালালে গাড়ির শক্তিশালী ইঞ্জিনটা নানারকম শব্দ শোনায়, কিন্তু ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে যখন চলে, ... হুঁ হঁ বাবা, একেবারে পঙ্খীরাজ !
(ভুমিকথা : গল্পটি বড় হয়ে গেছে। আশা করছি পাঠকগণ এড়িয়ে যাবেন। তাতে মন খারাপের কিছু নাই। গল্পটি আমার দিদিভাই জামিলা হাসানের জন্য লিখেছি। তিনি সিলেটে বাস করেন। আর কমলা খান। দিদিভাই পড়তে চেয়েছিলেন--রূপকথা। আমি চেষ্টা করেছি। হয়ে গেছে চুপকথা। সবাইকে হেড লাইন পড়ার জন্য ধন্যবাদ।)
.............................................................................................................................................................
শুপারি বাগানে শুপারি নাই। আছে গুলাব। গোল গোল গুলাব গুলি—নাড়ুর মত। শক্ত। লালচে—কোনটা কালো। গুলাব দিয়ে কি করে? প্রশ্ন নাই। উত্তরে পাহাড়।
মাছিটা খুব বিরক্ত করছে। চারদিকে জানালা দরজা সব বন্ধ। কোত্থেকে এই নচ্ছার মাছিটা এসে আমার নাকের ডগায় বসতে চায়। প্রথমে পাত্তা দেইনি। কিন্তু ক্রমাগত নাকের উপর মাছির পদাঘাতে নাকটা সুড়সুড় করছে। মাছিটা এত জায়গা থাকতে নাকের ডগাটাকে টার্গেট করলো কেন বুঝতে পারছি না।
শোঁওওওও করে উড়ে এসে নাকের ঠিক ডগার মধ্যখানে ল্যান্ড করছে। গালে বসলে নিজে চড় খেয়েও মাছিকে কাবু করা যেত। এখন তা সম্ভব না। মাছি তাড়াতে এক রাজার নাক কেটে ফেলেছিল তার প্রহরী। রূপকথার গল্প মনে পড়লো। তবু দুদুবার থাবড়া মেরে নাক ব্যাথা করে ফেলেছি, কিন্তু মাছিটার কিচ্ছু হলো না।