Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

অমৃতের হরিণী

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ২৪/০১/২০১১ - ৭:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


হাল্কা নীল ভোর, খুব মৃদু একটা আভা শুধু দেখা দিয়েছে। এখনও সূর্য উঠতে অনেক দেরি, পুবের আকাশে এখনো লাল রঙই লাগে নি। হাওয়ায় হাল্কা শীত-শীত ভাব। একটা ভোরজাগা পাখি সুরেলা গলায় ডেকে উঠলো, গানের প্রথম আখরটির মতন বাধো-বাধো ডাক।


'পাক'নাম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৪/০১/২০১১ - ৩:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
চৌধরী রহমত আলী সাহেবের বেজায় মন খারাপ। গান্ধীজির জনপ্রিয়তা আর চিত্তাকর্ষক ব্যক্তিত্বের সামনে আলগা সাহেবী ফাঁপড় নিয়ে ছাগল বনে থাকে বলে এমনিতেই জিন্নাকে তেমন পছন্দ না, তার উপর বুড়োটা স্ত্রী বানিয়ে ভোগ দখল করছে তার গোপন প্রেম, রসের পুতুল, সর্বাংগ সুন্দরী রত্তনবাই ‘রুটি’ কে। রত্তনবাইকে প্রথম সে দেখেছিল জিন্নার সাথে মুসলিম লীগের এক অনুষ্ঠানে, যেখানে নবনিযুক্ত গভর্নরকে সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছিল। সেইখানেই চতুর রহমতালী সম্পর্ক পাতিয়ে ঢুঁ মেরে বসেছে যুবতীর মনের জমিনে। জিন্না বুড়োর বয়স ভালই হয়েছে। তাগড়া জোয়ান বয়সে এক বউকেতো দুমাসেই কবরে পাঠিয়েছিল, পড়াশুনোর নামে বিলেতে গিয়ে ‘হালাল’ উপায়ে নাকি হাজার কিসিমের ফশটিনশটি করে এসেছে। খায়েস কিন্তু কোনঅংশে কমেনি একালেও। স্যুটবুট পরে হালদুরস্ত বৃটিশ ভাব দেখিয়ে সুযোগ পেলেই মেয়ের বয়েসী সুন্দরীদের বাগিয়ে নেবে আর মজা লুটবে আরামসে…।


বান্ধব

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: রবি, ২৩/০১/২০১১ - ৯:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিজের বাড়িতে জ্ঞানদা দেবী বড় একা ছিলেন। বাড়ি বলতে তার টিনের চালের ছোট্ট ঘরটি ছাড়াও পেছনের ফল ফলাদির বাগান, ধানক্ষেত, পাড় বাঁধানো কালো পুকুর, তিনটা গাই, একটা বলদ। ঘরের সামনা সামনি স্বামীর সমাধিতে ছেলেদের বানিয়ে দেয়া স্তম্ভ। একা একাই বাড়িময় ঘুরে বেড়ান।মন্দিরে রাধাগোবিন্দর পূজা শেষ করে পেছনের বাগান থেকে সুপারির খোল কুড়িয়ে এনে রান্নাঘরে জমা করেন, পানের বরজে বেড়ে ওঠা নতুন পাতাগুলোর গায়ে হাত বোলান; লোক


বাউন্ডারির বাইরে

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৩/০১/২০১১ - ১২:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

।এক।

‘কী জুঙ্গা?!’
‘কিয়াজুঙ্গা!’
‘ঠিক জানিস তো? এই নাম? কিজুঙ্গা?
‘আরে কতবার বলি, কিজুঙ্গা না তো, কিয়াজুঙ্গা!’
‘কী আজিব নাম রে বাবা! শুনলেই কেমন আফ্রিকা আফ্রিকা গন্ধ লাগে নাকে!’
‘লাগুক না বাবা! তাতে কি? তুমি দেখ আগে কী করতে পার। জানায়ো কিন্তু।‘

ঋদ্ধ’র চিন্তার আসলেই শেষ নেই। বিশ্বকাপ চলে আসতে আর ক’দিন মাত্র বাকি, অথচ টিকিটের টিকিটি এখনো দেখা যায়নি। খোঁজ-খবর কম নেয়া হয়নি এর মধ্যে, আশা করার মত তেমন কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না।


সাকিন সুন্দরবন ৭। জল দানো

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ২২/০১/২০১১ - ২:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুন্দরবন টিকবে না বেশিদিন। মানুষের হাতে-মুখে বেড়ে চলা গজদন্ত ঠেকাতে না পারলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে সুন্দরবন। প্রায় এরকম একটা বক্তব্য শুনতে শুনতে সুন্দরবনে একদল দেশি বিদেশি পরিবেশবাদীর সফরসঙ্গী হয় ফটোগ্রাফার নয়ন। তার কাজ পুরো ভ্রমণের ছবি তোলা


শেয়ার

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শনি, ২২/০১/২০১১ - ১:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পাস করার পরে আমি কিন্তু ভালোমতোই চাকরির চেষ্টা করি। কিন্তু হয় নাই। সব বিজ্ঞাপনে দুই চার পাঁচ কিংবা দশ বছরের অভিজ্ঞতা নামের বালফালানি শব্দপুঞ্জ থাকে বলে অনেক জায়গায় দরখাস্ত করতে পারিনি। ফ্রেশারদের জন্য বাজার ছোটো। এক ব্যাংকে ট্রেইনি হিসেবে মাস চারেক কাজ করি। পরে সেটা আর পার্মানেন্ট হতে হতেও হয় না। তারপর আবার বেকার। পকেট খরচ চালাতে ট্যুইশনি। বড় ভাই একদিন জানায় সে শেয়ারবাজারে কিছু টাকা খাটিয়েছে। তার ত্রিশ হাজার টাকা এখন বেড়ে এক লাখ। ব্যাংকে থাকা হাজার বিশেক টাকা বড় ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে কিছু লাভ কিছু লোকসান করতে করতে টাকা কিছু কিছু বাড়তে থাকে। পরে নিজের একটা বিও অ্যাকাউন্ট করে কিছু ক


ঐ পতনের ধ্বনন চড়ে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২১/০১/২০১১ - ৯:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধৈবত

নিন্মোক্ত গল্প, প্রকল্প, চরিত্রগত চিত্রকল্প, সমস্তকিছুই কল্পনাধিক কল্পনা। মন্দবাস্তবের সাথে এর কোনরুপ সন্ধি-সম্বন্ধ অনুসন্ধানের অন্ধ অনুসন্ধিৎসা- প্রয়োজনীয় প্রতিটি প্রহরের প্রভূত প্রণাশন মাত্র

[justify]
“এই ছেলে....দাঁড়া......দাঁড়া বলছি” কেমন একটা ক্ষেপাটে স্বরে ত্বরিৎ শব্দচয়নে বললেন তিনি।

ছেলেটা ডানে-বামে, এদিক ওদিক তাকালো। হয়তো তার ভুল হয়ে থাকতে পারে। হয়তো তিনি অন্য কাউকে ইংগিত করেছেন।


সাকিন সুন্দরবন ৭। বঙ্গ শার্দূল

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০১/২০১১ - ৬:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সামনের পা দুটো পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রিতে টানটান করে পুরো শরীরের ভার লাফ দেবার জন্য পেছনের পায়ে নিয়ে শণ ঝোপের মধ্যে খাপ ধরে বসেছিল বাঘটা। বছর দশেকের পূর্ণ পুরুষ বাঘ। আমাকে দেখে শরীরটা আরো গুটিয়ে লাফ দেবার জন্য সামনের পা দুটো তুলতে তুলতে হঠাৎ করে থেমে গেলো। মাত্র হাত দশেক দূরত্ব। আমি কী করব না করব বুঝে উঠার আগেই দেখলাম বাঘটা খাপ ছেড়ে শরীর নরম করে পেছনের পায়ের উপর বসে পড়ল। মুখটা একটু হায়ের মতো ফাঁক হয়ে এলো- ভাগিনা সালাম...

আমি এখনও ভাবছি দৌড় দেবো কি না। এমন সময় আবার শুনলাম- দাঁড়িয়ে রইলি কেন? আয় এদিকে আয়


পাহাড়

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বুধ, ১৯/০১/২০১১ - ৩:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক সূর্যাস্তের সময়ে তারা পৌঁছায় পাহাড়ের পাদদেশে। কোন প্রাণের অস্তিত্ব নেই সেখানে। একফোঁটা পানি কিংবা কোন বৃক্ষ.. কোন পাখির ছায়া, কিচ্ছু না। শুধু শূন্যতার উপর ভর করে ওঠা শূন্যতা আর সেই প্রকাণ্ড পাহাড়, যার চূড়া হারিয়ে গিয়েছিলো ওই স্বর্গে।

বোধিসত্ত্ব তাকান তার সহযাত্রী যুবকটির দিকে, বলেন, -
“তুমি যা দেখতে চাও, তাই তোমাকে দেখানো হবে। কিন্তু তা এখনো অনেক দূর, আর যাত্রাপথ বড়োই দুর্গম। আমাকে অনুসরণ করো, ভয় পেয়ো না। শক্তিই তোমাকে আশ্রয় করবে।”


প্রপঞ্চময় পঞ্চক (পরবর্ত্যাংশ)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০১/২০১১ - ১২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধৈবত

প্রপঞ্চময় পঞ্চক (প্রথমাংশ)

নিম্নোক্ত গল্পের সমস্ত চরিত্র এবং ঘটনাই বাস্তব। কাল্পনিকতার সাথে এর সংলগ্নতা কল্পনা করা নিতান্তই অনভিপ্রেত অতিকল্পনা মাত্র দেঁতো হাসি

[justify]