Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

দিরুর জীবনের স্ন্যাপশট, গল্প নাই

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০১/২০১১ - ৮:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাখি কখন জানি উড়ে যায়
একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায় ...

একদিন যখন তুমি আশ্বস্ত হবে, জানবে, এই মৃত্যু চোখের পলকে তোমাকে ভ্রমণ করে যায়, তখন তুমি, প্রতিবার চোখ খুলে দেখবে, এই পৃথিবীতে বস্তুতপক্ষে নির্লিপ্ততাই মানুষের স্বভাবধর্ম।

সুতরাং ছেলের নাম নির্লিপ্ত নিরহংকার। মা বলছিল আরবি নাম রাখতে। সেই মা বাঙালির ইতিহাস কমবেশি ঠিকঠাক জানে। জানলেও, তার ছেলে ভাষানিরপেক্ষ হয়। ভাষা ইতিহাসনিরপেক্ষ না হউক।


গল্প প্রচেষ্টা-০৬

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: সোম, ১৭/০১/২০১১ - ৫:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মুখের ভেতরটা তেতো হয়েছিলো সকাল থেকেই। বর্তমান নিবাস থেকে পুরনো শহরে মায়ের কাছে যাবার সময় রাস্তায় লম্বা জ্যামে পড়তে হল। রাস্তা খুঁড়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। বিরক্ত হয়ে বাসে বসে থাকা ছাড়া গতি নেই। মায়ের বাসা থেকে সন্ধ্যায় বেরোবার সময়ও দেখি ভাগ্য সহায় নয় - গলির মোড়ে একটাও রিক্‌শা নেই। রিক্‌শা সব গেল কোথায়?


পুষি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ১৬/০১/২০১১ - ১০:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পুষি

বিড়ালেরা মাও না বলে ম্যাও বলছে বলে চীনে গণহারে বিড়াল মারা শুরু হলে একটা বিড়াল চীন থেকে পালিয়ে আমার বাসায় চলে আসে। নাম দেই পুষি। দুবেলা চারবেলা খেতে দেই। পুষি দেখতে আদুরে। সাদা লোম আর একটু একটু বাদামি ছোপ। পুষি মাছের কাঁটা খায়, দুধ খায়, সোফায় বা বিছানায় উঠে পা উপরে তুলে শুয়ে থাকে। একদিন রাতের বেলা শুতে গেলে পুষির লেজে হাতের চাপ লাগে অনেক জোরে। পুষি ভয়ে ম্যাও না করে মাও করে ওঠে।

[=grey]আই কল মাই ডগ, ডগ


সাকিন সুন্দরবন ৩। ঘেরাটোপ

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ১৫/০১/২০১১ - ১১:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুবলার চর। সুন্দরবনের অস্থায়ী পুরুষ বসতি; এক অস্থায়ী গ্রাম। ঘোরেপ্যাঁচে কোনো নারী যদি সেখানে পৌঁছে যায় তবে দিনে দিনে তাকে চর ছেড়ে আসতে হয়। এটাই নিয়ম। ভাসান নদীর বুকে সাগরের মুখে এই চরে পুরুষেরা বছরের শুকনা মৌসুমে পাঁচ মাসের গ্রাম বেঁধে থাকে। সেখানেই বসে রাসপূজার আসর আর মেলা। দূরান্ত থেকে শতশত নারী পুরুষ তীর্থযাত্রী সেখানে গেলেও মেলা শেষে সবাই ফিরে আসে। শুধু মজুর পুরুষেরাই সেখানে থেকে যায়। তারা সে


প্রপঞ্চময় পঞ্চক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৪/০১/২০১১ - ৯:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধৈবত

নিম্নোক্ত গল্পের সমস্ত চরিত্র এবং ঘটনাই বাস্তব। কাল্পনিকতার সাথে এর সংলগ্নতা কল্পনা করা নিতান্তই অনভিপ্রেত অতিকল্পনা মাত্র

[justify]
“তোদের গ্রামটা তো খুব সুন্দর।”, অনেকটা আপ্লুত হয়েই আমাকে বলল কামাল।

“সোন্দর্য, বেশি গিলিসনা, দেখেশুনে পা চালা। রাস্তায় বাচ্চা পোলাপান হেগে মুতে রাখে কিন্তু”


ফোন কল

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি
লিখেছেন আনন্দী কল্যাণ (তারিখ: শুক্র, ১৪/০১/২০১১ - ১২:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
ব আর ম এর মাঝে প্রেম, অসুখী-প্রেম, বলাই বাহুল্য। মানুষ প্রেমে পড়লে যা হয়, তাই, তেমন একটা সময় ব ও পার করেছে, ম এর জন্য ব তখন সব করতে পারে। কিন্তু, ম সম্পর্কটা ভেঙে দিল, ফোনে। প্রথম প্রথম খুব ভুগেছে ব, তারপর ধীরে ধীরে সয়ে গেছে, সাধারণত যা হয়। জীবন থেমে থাকে না, ওই সব সিরিয়াল-টিরিয়ালে যেমন দেখায় আর কি। বছর আসে, বছর যায়, একের পর অন্য।


অনামা গল্প - ২

বইখাতা এর ছবি
লিখেছেন বইখাতা (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০১/২০১১ - ১০:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মৌমি আমার সহপাঠি ছিল। মৌমি আমার বন্ধু ছিল। মৌমি আমার বোন ছিল। মৌমির সাথে একদিন দেখা না হলে সেই দিনটা আমার অসমাপ্ত মনে হতো। দিনের মধ্যে অন্তত একটাবার আমি মৌমির কাছে যেতাম। অথবা মৌমি আমার কাছে আসতো। আমরা একসাথে কোথাও বসতাম। আমাদের ছাদে চেয়ার পেতে। কিংবা মৌমির বারান্দায়। আমি হয়তো বলতাম, “মৌমি, আজকে আমার মনটা খুব খারাপ। বাসায় যাবোনা।” মৌমি বড় বাটিভর্তি মুড়িমাখা নিয়ে আসতো। আমরা একটু একটু করে খেতাম আর মৌমির পায়রাগুলোকে খাওয়াতাম। আমাদের সামনে রেখে একসময় সূর্য অস্ত যেতো। পায়রাগুলোর ডানা নানা রঙে রঙিন হয়ে যেতো।


নতুন বোতলে পুরনো মদ-১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০১/২০১১ - ১০:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকদিন পর গ্রামে ফিরল রতন। সেই বাবার মৃত্যুর পর এক পুতুল নাচিয়ে হয়ে এক যাত্রাদলের সাথে ভিড়েছিল তারপর অনেক গ্রাম ঘুরলেও নিজের গ্রামে আর ফেরা হয়নি।আর রতনের খোঁজ করবার মত গ্রামে কোন আত্মীয়স্বজনও ছিলনা। এবার অনেকদিন পর বর্ষার বিরতিতে কোন অজানা টানেই গ্রামে ফেরত আসলো। গ্রামে ঢোকার একটু পরেই একটি দোতালা বাড়ি দেখে রতনের কৌতুহল হলো। তার যতটুকু স্মৃতি তাতে দোতালা কেন পাকা বাড়ি করারই কোন সামর্থ্য কোন গ্রামবাসীর ছিলো না। ভাবতে ভাবতেই বাড়িটার উঠোনে চলে আসে রতন। আরে সামনের বারান্দায় বসা ওটা মইত্যা রাজাকার না?


সাকিন সুন্দরবন ২। মরণখোর

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০১/২০১১ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুন্দরবনের শীত ভোরে গলায়-পিঠে ক্যামেরা ঝুলিয়ে কাদা ভেঙে হাঁটছে ফটোগ্রাফার দলটি। কারো পায়ে বুট- কারো স্যান্ডেল। সবাই হাঁটছে জুতায়-পায়ে কাদাঠাণ্ডার উহুআহা অনুভূতি নিয়ে। দলের সামনে নির্লিপ্ত বনপ্রহরী রতন আর পেছনে তার তরুণ সহকর্মী মাজেদ। বেতনের বাইরে ভাতা আর বখশিশের আকর্ষণ ছাড়া এই বন তাদের কাছে পুরোটাই বিরক্তিকর। তারা হাঁটছে সুন্দরবনের যে কেনো গার্ডের মতো বারবার বনের বেশি গভীরে না যাবার সতর্কতা জানিয়ে


ধনতন্ত্র নিপাত যাক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০১/২০১১ - ৯:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

এক যে ছিল ছেলে। এক যে ছিল মেয়ে। দুজনেই লেখাপড়ায়, গুণে ও রূপে সবার চেয়ে সেরা। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। পরে ভালোবাসাবাসি। এখানে ওখানে মধুর ক্যান্টিনে কিংবা ডাসে সব জায়গায় তাদের একসাথে দেখা যায়। অন্যরা দেখে বলে- এই জোড়া মেড ফর ইচ আদার। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওদের প্রথম দেখি তারা অন্যদের মারফত জানতে পারি- এদের প্রেম শুরু হাইস্কুল থেকে।