নামে ছোটোগল্প হলেও আকারে সামান্য বড়ো, অন্তত ব্লগের হিসেবে। পাঠকেরা পড়তে গিয়ে দমছুট না হলেই বাঁচি। যে বেচারা মডুরা আমাদের কাঁড়ি কাঁড়ি লেখা দুব্বোঘাসের মতো চিবিয়ে রোজ তাঁদের পরিপাকযন্ত্রের বারোটা বাজান, এ গল্প তাঁদের জন্য আমার সমবেদনার যৎসামান্য প্রকাশ।
----------------------------------------------------------------------------
বৃক্ষারূঢ় গল্পগাভীটির পৃষ্ঠে ডোরা ডোরা দাগ, পেনসিলটাকে দাঁতনের মতো করে চিবোতে চিবোতে বললে ...
রাত হলে যখন কোন মানুষ থাকে না রাস্তায় তখন রাস্তাগুলো নদী হয়ে যায়। কেউ চলে আসলেই আবার নিথর পীচের শরীর। তবে কেউ কেউ মাতাল হলে নদী দেখতে পায়। আমি মাতাল না হয়েও মাঝে মাঝে দেখি। এই যেমন এখন একটা নদীর পারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতেছি বাসের জন্য। প্রতিদিন দিনের দৈর্ঘ্য কমে আসছে। সাড়ে পাঁচটা বাজতেই সন্ধ্যার মুখে চুনকালি পড়ে আর ৮টা বাজতেই রাস্তাগুলা নদী। দিব্যদর্শী মাতালেরা ছাড় ...
ঈশ্বর তাকিয়ায় হেলান দিয়ে পান চিবাইতেছিলেন। আজরিল তাহার সম্মুখে দাঁড়াইয়া আনমনে ক্ষুরধার ভোজালিতে শান দিতেছে।
ঈশ্বর গলা খাঁকরাইয়া চিলুমচিতে পিক ফেলিয়া বলিলেন, "ভোজালিতে শান দিতেছ কেন?"
আজরিল শীতল কণ্ঠে কহিল, "কখন কী কাটিয়া আনিতে হয়, বলা তো যায় না। তাই ধার দিয়া রাখি।"
ঈশ্বর খুব একটা উচ্চবাচ্য করিলেন না। জুলিয়াস সিজারের ঘটনার পর হইতেই তিনি বুঝিয়াছেন, বিশ্বস্ত কেউ যদি নিকটে ধা ...
একলব্য নামে একটা শব্দ ছিল
একলব্য অক্ষত্রিয় বলে আচার্য তাকে অস্ত্রশিক্ষা দেন না। সেই আচার্যকে কল্পনায় গুরু সাজিয়ে একলব্য নিজে নিজে অস্ত্র চালনা শিখেন। পরে একসময় কোনো এক ঘটনায় আচার্য জানতে পারেন একলব্যের অসামান্য অস্ত্রবিদ্যার কথা। আচার্য তার সামনে হাজির হয়ে বলেন- এই পোলা তোমার গুরু কিডা? একলব্য জানান- আচার্য আপনিই আমার গুরু। আচার্য বলে- ও আইচ্ছা। তাইলে গুরুদক্ষিণা দ্যাও। তো ...
প্রথম পর্ব - মূলত পাঠক
দ্বিতীয় পর্ব - আনন্দী কল্যাণ
তৃতীয় পর্ব - বুনোহাঁস
চতুর্থ পর্ব - নজরুল ইসলাম
পঞ্চম পর্ব - দুষ্ট বালিকা
|| ষষ্ঠ পর্ব ||
আজ সারাদিন মাথায় ঘুরছে মীরা...মীরা...মীরা...কেন? এর পরেই মীরার সাথে কাকতলীয় ভাবে দেখা, এই জন্যই কি? এরপর কী আছে? মীরার সাথের লোকটি কে? বয়েস দেখে তো মনে হচ্ছে না ওর স্বামী। জুঁই মীরার প্রিয় ফুল, মেয়েটা নিশ্চিত ভাবেই ওর।
নাহ... ...
প্রথম পর্ব - মূলত পাঠক
দ্বিতীয় পর্ব - আনন্দী কল্যাণ
তৃতীয় পর্ব - বুনোহাঁস
চতুর্থ পর্ব - নজরুল ইসলাম
এই যে, আমার বান্দিপোতার গামছা!
|| পঞ্চম পর্ব ||
মীরা! বুঝতে চেষ্টা করলাম এতদিনের অনুচ্চারিত এই নামখানা উচ্চারণে ঠিক কতোটুকু বিস্ময় আর কতোটুকু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব করা হয়ে গেলো মনে মনে! মী ...
মা গো,
তুমি কি খুব অবাক হচ্ছ? তোমার বুড়ো খোকা তার মৃত মায়ের কাছে চিঠি লিখছে -- ছেলেমানুষি নয় তো কি?
কেন জানি হঠাৎ তোমার সাথে গল্প করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
কিসের গল্প শুনবে মা? ডিএস ইতে শেয়ার কিনে এবার ভালো একটা প্রফিট পেয়েছি মা, আগেরবারের মত মেল্টডাউন হয়নি। ভালো করেছি না, কি বল?
আচ্ছা বাদ দাও। তুমি মনে হয় আগ্রহ নিয়ে শুনছ না। অন্য কি গল্প শুনবে বল। তোমার নাতনির কেচ্ছা শুনবে?
মৃদুলাটা খুব ...মা গো,
তুমি কি খুব অবাক হচ্ছ? তোমার বুড়ো খোকা তার মৃত মায়ের কাছে চিঠি লিখছে -- ছেলেমানুষি নয় তো কি?
কেন জানি হঠাৎ তোমার সাথে গল্প করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
রুলটানা ধবধবে সাদা কাগজে বাংলায় হাতে লেখা অপ্রত্যাশিত এই চিঠিটা; নাকি ‘কল্যাণবরেষু’ - এই সম্বোধনটা আমাকে বেশি অভিভূত করল ঠিক বুঝতে পারলাম না। তবে চমৎকার ঝরঝরে হাতের লেখায় বিশাল এই চিঠিটা অনেকবার পড়লাম, ফিরে গেলাম যেন শৈশবের এবং কৈশোরের সেই দিনগুলোতে।
নাভিদ আহমেদ চৌধুরীর সাথে আমার যোগাযোগটা কিছুটা নাটকীয়ই বলা যায়। শৈশবে কিংবা কৈশোরে জনাব চৌধুরীর নাম শুনেছি – বাবার একসময়ের ...
সবার মাঝেই প্রসব বেদনা অনুভূত হয়। হয় না? হয়।
প্রসবের একটি বেদনা আছে, আছে আনন্দ। বেদনা শব্দটা আগে বললাম কারণ, শুরুতেই শুরু হয় বেদনা, আনন্দ আসে তারপর। অবশ্য আরো খানিক পিছনে ফিরে গেলে সেখানেও ‘আনন্দ’কে দেখা যায়। সেটি নিষিক্ত হওয়া মুহুর্তের আনন্দ। সেই থেকে যদি ধরি তাহলে বেশ ছন্দময় একটি বাক্য পাওয়া যায়; আনন্দ-বেদনা-আনন্দ।
সৃষ্টির আনন্দ, পাওয়ার আনন্দ। সামনে পিছে দু’দিকেই সৌখিক একট ...
গ্রামের নাম নৈঋত। গ্রামে প্রচুর গাছগাছালি, বেশ কয়েকটি এঁদোপুকুর, অনেক অনেক ঘরবাড়ি, একটা বাজার, একটা প্রাইমারি স্কুল, তিনটা মসজিদ, অনেক পুরানো একটা জাগ্রত কালিমন্দির। একটা প্রবীণ বটগাছ। গ্রামের বুড়োরা বলে এই গাছের বয়স কমসে কম দেড়শো বছর। কালি মন্দিরের কাছাকাছি এই গাছে বছর তিনেক আগে গ্রামের চৌদ্দ বছরের মেয়ে রাশেদা গলায় দড়ি দেয়। রাশেদার মৃত্যু নিয়ে গল্পে কিছু বলার নেই কারণ পাঠক চ ...