[justify]
একজন নর্তকী
বারে বন্ধুরা একটা ট্যাবলেট খেতে দেয়। অল্প আলোয় নিরীহ চেহারার ট্যাবলেট গিলতে গিয়ে প্রাথমিক দোনামনা ভাব অন্যদের জোরে টেকে না। খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে এক অদ্ভুত শূন্যতায় পালক হয়ে উড়ে যেতে থাকে ফারাহ। একটু একটু বুঝতে পারে শরীরের নানা অংশ যুবক বন্ধুদের বেদখলে চলে গেছে। পরে ইতস্তত না করে নেমে পড়ে একজন নর্তকী হয়ে।
রিকশা, ধরিত্রী
চাকা ঘোরে। ঘুরতে থাকে। প্যাডেল মারত...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
জায়গাটা সুখপ্রদ বা দৃষ্টিনন্দন কোনোটাই না।
সারফেস ড্রেনগুলো থেকে ময়লা ওঠাবার ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের কর্মীরা কর্মতৎপরতার স্বাক্ষর রাখলেও সেগুলো সরাবার বেলায় তাদের অনীহা হতাশাব্যঞ্জক। মাঝে মাঝে ময়লা ‘তোলা’ এবং ‘ফেলা’ কাজ দুটির মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান দিনকে পর্যন্ত ছুঁয়ে দেয়। ছোট্ট এই গলিটার দুপ্রান্তে তখন দাঁড়িয়ে থাকে গড়পড়তা কালো রঙের মিনি গম্বুজগুল...
[justify]
"কিছু পেলে, খান?"
ডঃ খান এতো চমকে উঠলেন যে তাঁর হাত থেকে পেন্সিলটা পড়ে গেলো। কার্লোস। লোকটা বেড়ালের মতো নিঃশব্দে হাঁটে। কখন যে পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে, টেরই পাননি তিনি।
"কাজ চলছে, কার্লোস।" গম্ভীর মুখে বলেন খান। কার্লোসের মুখে একটা বিরাট হাসি, চুপিচুপি এর ওর পেছনে হাজির হয়ে লোকজনকে চমকে দিয়ে একটা ছেলেমানুষি আনন্দ পায় সে। অনেকবার বলার পরও নিজেকে শোধরায়নি কার্লোস। মানচিত্র কেন্...
গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়া দরজায় প্রবল করাঘাতের শব্দ শুনিয়া বিরক্ত হইয়া কম্বলের কন্দর ছাড়িয়া বাহির হইলেন। আপদ। এই শীতের প্রত্যুষে কোন পেঙ্কির পো আসিল জ্বালাতন করিতে? গবেষণা ছাড়িয়া গোয়েন্দাগিরির লাইনঘাট ধরিয়া এক মুসিবতেই পড়িয়াছেন তিনি। দিন নাই রাত নাই পাড়া পড়শীরা নানা পাতিরহস্য লইয়া ধর্ণা দ্যায় তাঁহার দুয়ারে।
দরজা খুলিতেই পাশের বাড়ির মালিক জনাব হলুদ কুন্ডু একেবারে হাহ...
আজকের আকাশটা মেঘলা।
বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকেই জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখছি। বৃষ্টি চাইছে আমাকে ভেজাতে। কিন্তু আমি তো ধরা দেব না।
আগে খুব ভিজতাম বৃষ্টিতে, যখনই খারাপ লাগতো। আমার রুমের পাশে লাগোয়া ছাঁদ। বৃষ্টির স্পর্শ মনে হতো ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছে যত কষ্ট, যন্ত্রণা, ব্যথা আছে।
মেঘের কান্না দেখে আমারও কাঁদতে খুব ইচ্ছা করছে। কিন্তু আমি তো পারব না, কেন যেন কাঁদতে পারি না আমি, সেদিনের পর থেকে...
আমার পরিবার
ক্যারি নোয়লস্
[justify]
তৃতীয় শ্রেণী, ১৯৫৭:
ক্লাসে প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে পড়ানো হচ্ছিল। এক শিক্ষিকা দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেন বাবা অন্ধ হলে আমি কী করতাম। অন্ধলোক কখনোই প্রতিবন্ধী না- আমি বলি। শিক্ষিকা জোর গলায় বলেন- অবশ্যই প্রতিবন্ধী। আমি তর্ক করতে থাকি। তারপর একসময় নেমে আসা ভয়াবহ নীরবতা আর অন্যদের করুণা সহ্য করতে না পেরে থেমে যাই। এক নাগাড়ে দৌড়ে মাঠ পেরিয়ে ...
মধ্যবয়স্ক আসগর সাহেব আর পাঁচটা বাঙালি কেরানির মতই। অর্থাৎ অফিসে উপরওয়ালার ভয়ে আর ঘরে বৌয়ের ভয়েই কেটে যায় তাঁর দিনগুলো। তিনি প্রচণ্ডরকমের শান্তশিষ্ট পত্নীনিষ্ঠ – আপিসের ছোকরা কেরানিরা যখন তাঁর আশপাশে বসেই কম্পিউটারে স্বল্পবসনা শ্বেতললনাদের ছবি খুলে লুল ফেলে তখন তিনি সেসব দিকে তাকিয়েও দেখেন না, এমনকি বাথরুম যাবার সময়ে যে ওই দুরের চেয়ারের হোসেন সায়েব একটু ছোট্ট করে উঁকি দিয়...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
ওকে যেদিন প্রথম দেখি সেদিনই আমার বুকে একটা দোলা লেগেছিল। পাঠশালার ঘন্টিতে হাতুড়ি ঠুকলে যে রকম ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে যায় সেরকম কিছু নয়। তবে সাড়া একটা পড়েছিল ঠিকই। টিউনিং ফর্ককে আন্দোলিত করলে যে রকম তিরতির করে কাঁপে সেটা, আমার হৃদয়ও সেদিন ওই রকম কেঁপেছিল। কাঁপাকাঁপি হলে শরীরের তাপমাত্রা নাকি বেড়ে যায়! আমি অজান্তে আমার কপালে আঙ্গুল ছুঁইয়েছি। ওমা! কপাল যে পুড়ে য...
অদ্ভুত কান্ড! এরকম আগে কখনো হয়েছিলো কি? স্বপ্নটা এরকম: মনে হলো একটা নামী সাহিত্য পত্রিকায় একটা বড়গল্প পড়ছি, কাহিনীও পরিষ্কার পরপর একেবারে পাতা উলটাচ্ছি আর পড়ে যাচ্ছি, একটুও বেমানান লাগছে না কোথাও। এমনকি নামটাও দেখলাম পাতা উল্টে -"মৌমাছি ও সমুদ্র"। পাশে একটা ছবি, একটা জাহাজের কেবিন, জানালা দিয়ে সমুদ্র দেখা যাচ্ছে।
কী আশ্চর্য! এ কার গল্প? কোথা থেকে কেমন করে এলো স্বপ্নের মধ্যে? এ জ...
পরদিন রাতে খাওয়ার টেবিলে মীরা খালা আমায় গোল্ডফিশের আঁকা শেষ ছবিটা দেখালেন আর প্রায় পুরো সময়টাই আমরা ছবিগুলো নিয়ে কথায় মেতে রইলাম। তাঁর ছবির বিষয়বস্তুগুলো নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে আমার ঘেন্না হচ্ছিলো, কিন্তু মনোভাবটা চেপে রাখলাম প্রায় পুরোটা সময়।
শেষদিকে তিনি বললেন, “রাতুল, একটা কথা ভাবছিলাম। তোর কি মনে হয় আমার ছবির পরবর্তী বিষ...