[justify]
আমজাদ আলি উসখুস করছে দেখে ভালো লাগে তাঁর। করুক, আরো উসখুস করুক।
আমজাদ আলি গলা খাঁকারি দিয়ে তাকায় বাম পাশের এক চিলতে বারান্দার দিকে। সেখানে স্তুপ করে রাখা আছে নানা ফলমূল, পা-বাঁধা দু'টি রাজহাঁস, একটি চটের ব্যাগে দু'টি প্রকাণ্ড চিতল মাছ। আমজাদের খাদেম চিকন আলি বসে আছে বারান্দায়, উপহারসামগ্রীর পাশে, এদিকে পিঠ দিয়ে। তার মাথার ওপর কুণ্ডলী পাকিয়ে ওপরে উঠছে ধোঁয়া।
পাহাড়ের ঢালটা যেখানে কাত হয়ে নদীর দিকে নেমে গেছে ওদিকটায় কেবল বুনো জঙ্গল। হাঁটতে হাঁটতে ফিওনা ওদিকে চলে গেছে। ৭ বছরের ফুটফুটে মেয়েটি। হঠাৎ তার উল্লসিত চিৎকার - বাবা বাবা দেখে যাও, কী সুন্দর একটা ফুল এখানে!
আরিল মুখ ফিরিয়ে মেয়ের আঙুলকে অনুসরন করে কাছে গিয়ে দেখলো সত্যি চমৎকার একটা ফুল। তার এত বছরের ফুলের ব্যবসা কিন্তু কখনোই এত সুন্দর ফুল দেখেনি। ফুলটা লাল বেগুনি হলুদ এই তিনটা রঙ...
[মিঁয়াও এর গল্পগুলো আলাদা আলাদা, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই। তবে পড়তে চাইলেও দোষ নেই কোন, মিঁয়াও খুশীই হবে। চাইলে দেখে নেয়া যেতে পারে পর্ব ১, পর্ব ২ আর পর্ব ৩]
(১)
আজকাল আমি হঠাৎ হঠাৎই কেমন বিভ্রান্ত হয়ে যাই। বিভ্রান্তিটা নিজেকে নিয়েই। এই যেমন সব কাজ শেষে লাইটটা নিভিয়ে শুতে যাব, চোখ চলে গেল বাইরের আঁধারে। পায়ে পায়ে জানালার সামনে গিয়ে দাঁড়াই। নিস্তব্ধ রাত। জবা গাছটার ঝাঁকড়া জমাট ছায়ায় জোছনার জাফরি কাটা আঙিনা। ফিনফিনে বাতাস। কালচে জবার হাতছানি। রাতের প্রাণীদের চলাফেরার খস্ খস্ শব্দ। মনে হয় যেন বাইরের আলো-আঁধারিতে কিছু একটা আছে। প্রব...
৩
যুক্তি ভ্যান রিটেনের পক্ষে এবং গতিপথও তার সুনির্দিষ্ট। এশাম শ্রদ্ধাভরে ক্ষমাপ্রার্থনার ভঙ্গিতে বসেই রইলো, যেন ক্লাস ফোরের একটা বাচ্চা বসে আছে হেডমাস্টারের সামনে। ভ্যান রিটেন উপসংহার টানলো।
“নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিগমিদের খুঁজে বেড়াচ্ছি, পিগমিদের পেছনেই থাকবো আমি।”
“তাহলে হয়তো জিনিসগুলো আপনাকে টানবে,” খুব শান্ত গলায় বলে এশাম...
পকোড়ায় কামড় দিয়ে আয়েস করে চায়ে চুমুক দিয়ে জীশান বলছেন, " তখন আমি বছর বাইশ-তেইশের জোয়ান, সবে পাশ করে বেরিয়েছি, সামনে পৃথিবীটা পড়ে আছে যেন এক রহস্যময়ী রাজকুমারী, ধরা দিতে দিতেও দেয় না, জাগনডাঙা ভাঙনডাঙা পার করে জুড়নপুর পার করে কোথায় কোন্ রহস্যময় রাত্রিনগরীর দিকে টেনে নিয়ে যায়, পথের মাঝ থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় কোনো ঈশারা না রেখে। এবারে বার করো খুঁজে কতো খুঁজবে। জানি সে আছে কোথাও সেই রহস্য...
“যুক্তিতে এটাই বলে,” টোম্বলি বলে চলে, “যে নিজের চোখে দেখা প্রমাণ মেনে নিতেই হয়, আর যখন চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জন হয়, তখন সেখানে কোনো সন্দেহ থাকা উচিতই না। যা শুনেছে আর দেখেছে মানুষের সেটাই বিশ্বাস করা উচিত।”
“সবসময় না,” সিঙ্গলটন মৃদু গলায় যোগ দেয়।
ঘরের প্রতিটি লোকের মুখ সিঙ্গলটনের দিকে। টোম্বলি দাঁড়িয়ে আছে ফায়ারপ্লেসের সামনে-রাখা পাপোশটার ওপর, আগুনের দিকে তার পিঠ, পা দু'টো ছড়ানো...
[justify]
১.
মালিকের দিন ভালোই কাটছিলো। ক্রিকেট খেলতো। কাচ্চু খেলতো। খেতো সব্জি, মাংস, বিক্কু, পান করতো কেবল দুদু।
হঠাৎ তার মাথায় বাই চাপলো বিয়ের। নিজের পাড়া মহল্লায় যোগাযোগের রিস্কে আর গেলো না সে, সেখানে সবাই সব কিছু জানে। তখন বিংশ শতাব্দীর নটে গাছ মুড়িয়ে যাচ্ছে, চারদিকে ইন্টারনেটের জয়জয়কার, মালিক অহরহ নেট থেকে নেংটু ছবি নামিয়ে দেখতো অবসরে, এক বন্ধু পরামর্শ দিলো, পাক-সর-জমিন-শাদী ডট ...
[justify]ঘুম থেকে উঠলে পাশের শূন্যতা কিছু অস্বস্তি দেয়। বউ কাল রাতে রেগে বাপের বাড়ি চলে গেছে। অরুকে সহ। অরু প্রতিদিন নিয়ম করে সাতটায় ঘুম থেকে উঠে যায়। তার একটা খেলনার ব্যাগে রাখা রাজ্যের জিনিসপত্র মেলে বিছায় আসবাবে ভরা ছোট্ট এপার্টমেন্টের চিলতে কোন ফাঁকে। রান্নাবাটি খেলার উৎসাহে অরুর করা মৃদুমন্দ কিছু আওয়াজে সকালকে আর ঘুমের রাজ্যে ঠেলে রাখা যায় না। অফিস থেকে লে-অফ দেয়া হয়ে গেছে আজ ...
একদিন বিশ্বভ্রমণ/ জহিরুল ইসলাম নাদিম
পৃথিবীর রোমান্টিকতম বাহনের নাম জান?
আবীরের হঠাৎ প্রশ্নে চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকায় বৃতি। এটা আবীরের স্টাইল। কায়দামত আজগুবী প্রশ্ন করে লোকজনকে ভড়কে দিয়ে মজা পায় ও।
মানে?
মানে-টানে কিছু না। জানতে চাইছি হোয়াট ইজ দ্য মোস্ট রোমান্টিক ভেহিকেল ইন দ্য ওয়ার্ল্ড?
বৃতি বুঝতে পারে আপাতত রোমান্টিক বাহনের পোকা বেশ কিছুক্ষণ মাথায় খেলবে আবী...