লোকটা একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে বাইরের দিকে তাকালো।
সামনে দিগন্তজোড়া সমুদ্র, ঢেউ তেমন একটা নেই। যেন একটা বিশাল চকচকে ইস্পাতের পাত কেউ বিছিয়ে রেখেছে। দুপুরের সূর্যের তীব্র আলো সেখানে প্রতিফলিত হয়ে ওর চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে। হেলমেটের শেডটা টেনে নামাতে গিয়ে থেমে গেলো সে।
চোখদুটো জ্বালা করছে ওর, মনে হয় এক্ষুনি ভিজে যাবে। এত সুন্দর, ঝকঝকে একটা দিন, কিন্তু আকাশে যদি একটু মেঘ করতো, যদ...
বিকেল হলে ছাদের ওপাশটায় ভাড়াটিয়াদের ছেলেপুলে ও তাদের বন্ধুরা ঘুড়ি ওড়ায় অর্থাৎ ঘুড়ি নিয়ে খেলে। মাগরিবের আজান পর্যন্ত চলে তাদের ঘুড়ি নিয়ে কাড়াকাড়ি। কারও কারও মুখ দেখে অনুমান করা যায় যে, বিকালটা তার ভাল কাটে নাই, নিশ্চয়ই ঘুড়ি কাটা পরেছে; অবশ্য এরকম-ই হয় বেশিরভাগ দিনে। কানে সংগীতের যন্ত্র ভরে চুপচাপ বা একটু-আধটু এদিক-ওদিক করে সারাটা বিকেল হয়তো এইসব দেখে কেটে যায...
সময়: মধ্যদুপুর
স্থান: গুলশানের এক অভিজাত জাপানি রেস্তোরাঁ
লক্ষ্য: সুশি আস্বাদন
কেন্দ্রীয় চরিত্র: ভেতো-১ আর ভেতো-২, দুই তরুণ হাভাতে বাঙালি যারা তাদের ভেতো জিভে অচেনা বিজাতীয় স্বাদ ছোঁয়াবার বাঁধভাঙ্গা বিলাসী ইচ্ছের তাড়নায় ঢাকা ঢুঁরে খুঁজে বের করেছে এই রেস্তোরাঁটি।
পার্শ্বচরিত্র: জুডো, রেস্তোরাঁর খাদ্যপরিবেশনকারী যুবক।
দৃশ্য-১
ভেতো-১ আর ভেতো-২ জাপানি কেতায় সাজানো রেস্তোরাঁ ...
গোয়েন্দা ঝাকানাকা বললেন, "আপনাকে খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে কিংকু সাহেব! আরে রিল্যাক্স!"
গোয়েন্দা বিভাগের দারোগা কিংকর্তব্যবিমূঢ় চৌধারি, যিনি কি না চৌদিকেই ধারালো, বিমর্ষ মুখে বলেন, "স্যার ওপর থেকে এমন হুড়ো দিচ্ছে কী আর বলবো আপনাকে! মন্ত্রী এম্পিদের ব্যাপার, বোঝেনই তো!"
ঝাকানাকা হাই তুলে বললেন, "হুমমম। তা চিঠিতে কী লিখেছে বদরু খাঁ?"
আমি আমার নাকটা সোজা রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু বদমাশটা তো তা করতে দেবেনা।সে একবার এদিক দিয়ে গুঁতোয়, একবার ওদিক দিয়ে গুঁতোয়, না জানি আর কোন কোন দিক দিয়ে গুঁতোবে। কিন্তু এটাই তো খেলাটার আসল উদ্দেশ্য। এমনভাবে তোমার প্রতিপক্ষকে জ্বালাতন করতে হবে যে তার নাক কোনদিকে যাচ্ছে তার কোন দিশাই সে পাবেনা। নাক হারালে তো সব হারালে।
আমার ধারণা এই লোক আজকে নাকের তোয়াক্কা না করেই চলে...
[justify]আমি অনেকদিন ধরে একটা গল্পের কথা ভেবেছি। মাপে খুব বেশি বড় হবে না। একটা ছোটগল্প। চরিত্রের নামধাম, গল্পের শিরোনাম কি প্লট কিছু কিছু লিখে রেখেছি আমার নোটখাতায়। ঠিক করে গোছানো এখনো হয় নি। মজার ব্যাপার, আমার গল্পের চরিত্রেরা আমার সাথে সময় সুযোগ মতো কথা বলে, আবদার করে। আমি একা ডাইনিং টেবিলে বসলে সীমা এসে বসে। বলে, ওর চরিত্রের বাচালতা একদম পছন্দ হচ্ছে না। কথা কম বলাতে হবে। বলি, ঠিক কর...
[justify]
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী: লাল ফিতেয় বেঁধে নিয়েছি শৈশবের ডাঙ্গুলি
=========================================
অ
'কবে ফিরবে?'
'ঠিক নেই। তবে কাজ শেষ হলেই রওয়ানা দিয়ে দিব।'
'আমার জন্য কিছু আনবে না?'
চোখ তুলে তাকায় স্বর্ণা, অরণ্যের ভিতরটা শুকিয়ে খরার মাঠে চাতক। এখনো টাই বাঁধতে পারে না নিজে, স্বর্ণাই করে। কী জানি হবে!
'সেকি। আমি ফিরে আসব, সেটাই কি বড় পাওয়া নয়?' অরণ্য হাসে।
সে কথা বলে না।
কী আনবে তা গোপন রেখে স্বর্ণার...
"...
- তবু সে দেখিল
কোন ভূত? ঘুম কেন ভেঙ্গে গেল তার?"
করিম সাহেবকে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিনের মত মহল্লার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। এশার ওয়াক্ত হয়ে গেলেও যখন ফিরলেন না, তখন বাড়ির লোক ভেবে নিলো এশার নামায পড়েই ফিরবেন। তারপরও যখন ফিরলেন না তখন মোবাইলে ফোন দেয়া হলে, সুললিত নারীকন্ঠ বলে ওঠে - আপনি যে নাম্বারে ডায়াল করেছেন তা এই মুহূর্তে বন্ধ আছে ...।
প্রথাগত প্রক্রিয়া অনুসার...
০১
চারপাশে ঘন অরণ্য। এখান থেকে আড়াই মাইলের মধ্যে কোন মানুষের বসবাস নেই। একেবারেই নির্জন জায়গাটা। শব্দ বলতে পাখির কিচিরমিচির। আশে পাশের গাছে মাঝে মাঝে কিছু বানরের দেখা মেলে। কাঠবিড়ালির ও দেখা মিলেছে। মাত্র দুদিন হল এইখানে এসেছে অরিত্র। একটা ছোট টিলার উপর তার তাঁবুটা। একমাসের খোরাক নিয়েই এসেছে সাথে করে। আসার সময় পথে যে আদিবাসী বসতি চোখে পড়েছে, সেখান থেকেই খাবার পানি নিয়ে এসে...
০১।
ড্যান ব্রাউনের অথবা শাহাদুজ্জামানের বইয়ের রিভিউ লেখা এরচেয়ে সহজ। এ বড় সত্য কথা। তাঁদের লেখা পড়বার দশ কী বিশ মিনিটের মাঝে সেটার মাঝে মন্তব্য করি না, অগল্প বা ব্যাডভেঞ্চার গল্প লেখার বিস্তারে সমস্যা বোধ করলে পদেপদে তাঁদের সাহায্য চেয়ে বসি না, তাঁদের কামরাঙ্গা ছড়াযুক্ত খোমাখাতা স্ট্যাটাসে লাইক্স দিস বোতামে চাপ দেই না- হিমু ভাইয়ের ক্ষেত্রে এর প্রতিটাই কর...