নীলচে আগুনের দিকে আমি তাকিয়ে ছিলাম একমনে। হাজারটা চিন্তা জট-পাকানো মাথায়। কিছুই ভালো লাগছিল না। কী ভেবে হঠাৎ বাইরে আসতেই আমি তাকে দেখতে পাই।
হাসপাতালের করিডোরের এক প্রান্তে সিঁড়ি, সিঁড়ি দিয়ে উঠে ডানে ভি আই পি রুমগুলি । ওই প্রান্তে ঠিক সিঁড়ির মাথায় খুব মায়াময় মুখের একটা বাচ্চা ছেলে, বসে আছে একটা সাদা মোটাসোটা বিড়ালের সামনে, সতর্ক ভঙ্গিতে । মুখোমুখি বাচ্চা ও বিড়াল – সমান সতর্ক...
[justify]ভূতের গলি নিয়ে যা বলার শহীদুল জহির বলে ফেলেছেন। আমি নিজে ভূতের গলিতে থাকি। মহল্লার দোকানে ডালপুরি কি আলুপুরিতে কামড় দিতে গেলে আব্দুল আজিজ ব্যাপারি কি আব্দুল করিমের কথা মনে পড়ে। খাটে শুলে ভূতের গলির অদেখা বান্দরগুলো আমার জানালায় ফুচি মারে ভেবে নিই। আমি পড়ি। শহীদুল জহিররে বারবার পড়ি। পড়ে আমার নিজের কথা কি ভাষা প্যাঁচগোচ খেয়ে উনার পথ ধরে।
আমার সাথে লীনার কথা, লীনারে নিয়ে আমা...
যারা প্রথম পর্ব পড়েননি আর যারা পড়েছেন, সবার জন্যেই বাক্সে বন্দীঃ প্রথম পর্ব
----------------------------------------------------------------------------------
এতসব ভাবতে ভাবতে সে বাক্সটা তুলে নেয়। ব্যাকপ্যাকের চেইনটা খুলে ভেতরে রাখে। অদ্ভুত রকমের একটা মন খারাপ লাগা তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। অবশ্য জীবনে ক'টা দিন সে হাসি-আনন্দে কাটাতে পেরেছে, সে গুণে গুণে বলতে পারবে। দিন হিসেবে গুনলে এক হাতের পাঁচটা আঙুলও লাগ...
০
এইসব রাতে রমিজ মিয়া পাশ ফিরে শোয়।
রমিজ মিয়া, সরকারপুকুর পাড়ার রমিজ মিয়া- বাবার নাম মরহুম মফিজ সর্দার, পাশ ফিরে শুতে গেলে বছর সাতেক বিবাহবার্ষিকী পার করা বৃদ্ধা খাটটি শব্দ করে তন্দ্রা ভেঙে ফেলে মাঝরাতিতে। বেড়ার ফাঁক দিয়ে রবিশস্য ছোঁয়া বাতাসের পাশাপাশি কয়েক গাছি জোছনা এসে মাটির ভিটায় চারুপাঠে বসে যায়।
অ
'হুদাই, ফাল মারিস না। যা করতে বললাম তাই করগে।'
'ছ্যার, আঁর কোন সমস্যা হইলে ...
নিজের পেশার ওপর মাঝেই মাঝেই বিরক্তি ধরে যায় শৈলীর। এই যেমন এখন এই থানায় বসে থাকাটা। কিছু তথ্য দরকার। মিনিট দশেকের বেশী লাগার কথা নয়। কিন্তু তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সময় কাটানোর উপকরণ খুঁজতে খুঁজতে চোখ চলে যায় গরাদের পেছনে। এক কোনে সিটিয়ে বসে আছে একটি মেয়ে - দেয়ালের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে দেয়ার নিষ্ফল প্রচেষ্টায় ব্যর্থ। ভালো একটা স্টোরি হতে পারে - চক চক করে ওঠে শৈলীর সাংবাদিকের চোখ।
...
[justify]
ফুটোস্কোপিক গল্প হচ্ছে ফুটোস্কোপ দিয়ে দেখা কোনো গল্প। সামান্যই দেখা যায়।
...
পাবলো ঢোঁক গেলে।
অন্ধকার ঘর। কেবল পাবলোর মাথার ওপর জ্বলছে দুইশো ওয়াটের চারখানা বাল্ব। তার প্রচণ্ড উজ্জ্বলতায় পাবলোর মাথা টনটন করছে, আর গরমে গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে ঘাম। চোখ বন্ধ করলেই পেটে রুলার দিয়ে গুঁতো দিচ্ছে কে যেন। কে এই কাজ করছে দেখার উপায় নেই, মাথার ওপরে আলোর প্রাবল্যে সামনের সবকিছু অন্ধকা...
[justify]রানিমাতা গোত্র নিয়ে ভাবেন। অনেক ভাবেন। ভাবনাগুলো গোত্রের লোকের মঙ্গলের জন্য ইদানীং কাজে আসে না। গতকাল পাশের গোত্রের গোত্রপিতার সাথে সফল বৈঠক শেষ করে আসার সময় রাস্তায় বিশাল শো-ডাউন নিয়ে কিছু পেপার যাচ্ছেতাই লিখেছে। রানিমাতা এগুলো পড়ে হাসেন। কারণ পেপারগুলোর মালিকের সাথে কাল রাতেই ডিনার ছিল। শো-ডাউনের ব্যাপারটা সাধারণ জনতা বোঝে না। কারণ তাদের শো করার কিছু নাই। রানিমাতা্র ...
গ্লুব গ্লুব গ্লুব গ্লুব।
অদ্ভুত রকমের একটা ভোঁতা আওয়াজ আসছে যেন। সে কানের ইন্দ্রিয়টাকে আরো ধারালো করে বুঝবার চেষ্টা করে আওয়াজটা কোত্থেকে আসছে। আবছা মতন একটা বেসিন দেখা যাচ্ছে। হুমম, শব্দটা ওদিক থেকেই আসছে। হয়তো বেসিনের ওপর পানি জমে আছে, আর তার ওপর ট্যাপ থেকে থেমে থেমে পানির ফোঁটা পড়ছে, ভাবে সে। যাক, কান তো একটা সঙ্গী পেল। এবার চোখ তার সঙ্গী খোঁজে। সে যেখানে বসে আছে, তার ঠিক উল্ট...
(যারা ১ম পর্ব পরেননি, তাদের সুবিধার্থে দুটো পর্ব একসাথে দিয়ে দিলাম)
রন্জু ঘুমের মাঝেই এপাশ ওপাশ করলো। ঘুমের মাঝে এপাশ ওপাশ করার মানে হচ্ছে স্বপ্ন পরিবর্তন করা, স্বপ্নের ঘটনায় কোন নতুন মোড় বা নতুন কোন চরিত্র, পছন্দ অপছন্দ। রন্জু স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবু আজ যখন চারদিক গুমোট একটা ভ্যপসা গরম, বহুদিন না বৃষ্টিতে ভিজে উত্তপ্ত সূর্যের সাথে যুদ্ধ করতে করতে বাতাস যখন ক্লান্ত, ...
রন্জু ঘুমের মাঝেই এপাশ ওপাশ করলো। ঘুমের মাঝে এপাশ ওপাশ করার মানে হচ্ছে স্বপ্ন পরিবর্তন করা, স্বপ্নের ঘটনায় কোন নতুন মোড় বা নতুন কোন চরিত্র, পছন্দ অপছন্দ। রন্জু স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবু আজ যখন চারদিক গুমোট একটা ভ্যপসা গরম, বহুদিন না বৃষ্টিতে ভিজে উত্তপ্ত সূর্যের সাথে যুদ্ধ করতে করতে বাতাস যখন ক্লান্ত, সে সময়ের স্বপ্নগুলোও কেমন যেন হয়। রন্জু তাল মেলাতে পারেনা। মাঝে মাঝ...