[justify]একটা টব। তাতে মাটি। সেখানে ছোট্ট একটা নয়ন তারা ফুলের গাছ। একটু রোদ লেগে ফুলে বেশ দম্ভ ভাব। আশেপাশে আরো কিছু ফুলগাছের টব। টানা বারান্দা। তাতে লোহার গ্রিল। তার বাইরে আকাশ। খানিক আগে বৃষ্টি হয়ে গেছে। রোদ উঠছে মেঘের শরীর সরিয়ে। নয়নতারা গাছে ছয়টা ফুলের কনিষ্ঠতম ঝরে গেল। অকারণে।
বারান্দার পাশে ঘর। বিছানা। তাতে শুয়ে আমি। সব দেখি। আমার কল্পনায়। ভেবে নেই। এটা। ওটা। নয়নতারার কনিষ...
কৈশোরে অনাথ সুমন সুমনা এর তার বাড়ি কাজ করে একসাথে বড়ো হয়ে সমাজের নিয়মে বিয়ে করতে গিয়ে দেখে টাকা ছাড়া কারো বিয়েই সম্ভব নয়...
এভাবে বহুদিন পর তারা আবিষ্কার করে তাদের এক পুরুষ আর এক নারী দরকার...
এবং তারপর তারা অন্য গ্রামে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ধরা পড়ে একসাথে আবার একা হয়ে যায়...
২০১০.০১.০৮ শুক্রবার
সবিতা, বাড়িতে একলা দরজাটা আছে।
অঋণী গৃহস্ত গেছে জলের ধারে, শাপলাফুল ভেজে আজ ভোজন হবে।
সবিতা, জানালাগুলো মায়ামায়া খোলা।
জানালারা কথা বলতে জানে, জানালারা কথা শুনে।
একটা কমলাগাছ দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়। কলম করা, বনসাঁই। কমলাগাছ বাতাস হাতড়ায়।
দরজা উঁকি দিতে গিয়ে খুলে যায়।
চুরচুর।
সবিতা, অইটা কী জানো? টিকিটিকি। গৃহস্ত বাড়ির নিরব দর্শক।
টিক-টিক-টিক।
বাহ্! এমন শো-পিস সবাই আজকাল খর...
কৃপাহত্যার বলিরেখা ফুটেছে বেওয়ারিশ ত্বকে,
লোমকূপে দ্বিতীয় প্রণয়ের সোঁদা গন্ধ;
মৃত্যু চাই।
বকুলফুলের বনে। বাষ্পীয় সময় উবে
যায়, জলদাগ তুলে রাখে দেয়াল। রঞ্জনের
সকল উপাদান তোমার হাতে তুলে দিলাম চকিত। কেবল
আমার
অঘোর
মৃত্যু
চাই।
০
মেহগনি বাকলে রোদ লেগে চিকচিক করছে। রাখাল মাঠের ওম খুঁড়ে খুঁড়ে তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরে- তাহার নাম খড়। তাহার থলের ভিতরে বাতাসের বাঁধুনি।
ওই, তোমার গাঁয়...
রাত ২টা কিন্তু ঘুম কেন পাচ্ছে না?এত অস্বস্তি কেন লাগছে? কেন এমন হচ্ছে? সন্ধ্যার সেই সুন্দর সময় টা কেন বার বার মনে পরছে?শীতের এই রাতে ঘুম টা তো বেশ আসার কথা।পানি খাওয়া দরকার, হ্যাঁ এখন বেশ ভালো লাগছে নিশ্বাস টা গাড় হয়ে আসছে।
ওই তো দূরে কি সুন্দর আলোর খেলা, আস্তে আস্তে নিভে আসছে আলো,আমি হারিয়ে যাচ্ছি কোনো দূর সময় এ। সামনে কিছু হইত আসবে, কিছু সুন্দর স্বপ্ন,আমাকে দেখতে হবে। অনুভূতি টা ...
[justify]মাধবী যখন প্রথম আমাদের বাসায় আসল, আমরা দুবোন ওকে দেখে বেশ একটু নাক কুঁচকেছিলাম। লাল লাল চুল, নোংরা জামা, নাক-কান ফুটা করে সুতার দুল পরা, আর গায়ে একটা বিচিত্র গন্ধ। কিছুদিনের মাঝেই মা ওকে মানুষ করে ফেলল। গা থেকে সরষে ফুল, লক্ষীর পাঁচালী, নবান্ন টপাটপ ঝেড়ে “ কিউ কি সাস ভি কাভি বহু থি” তে ট্রান্সফার হয়ে গেল। পরভাষা ওকে কাঁদায়, হাসায়। বাংলা লেখা শেখাতে গেলেই নতুন কিছু বর্ণের সৃষ্টি হ...
বেশ রাত হয়েছে। শীতের রাত। অবিনাশবাবু দ্রুত হাঁটতে লাগলেন। এমনিতে তেমন একটা বাজারে যান না তিনি। আর গেলেও এতো রাত করে কোনদিন ফিরেননি। আগে যখন বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতেন তখন বলতে গেলে ওখানেই পড়ে থাকতেন। সারাদিন আড্ডাবাজি, তাস পেটানো, রংবাজি সবই ওখানে। এখন সে বন্ধু বান্ধবের তেমন কেউই নেই, থাকলেও তারই মত ব্যস্ত। মাঝে মাঝে দু একজনের সাথে দেখা হয় তার। "কীরে.. শালা! .. কেমন আছিস .. কী ক...
[justify]
আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকার আধা খ্যাঁচরা মাঠে রাতে জ্যোৎস্না নামে। গুটিসুটি মেরে হামাগুড়ি দেয়। উবু চোখে তাকায় তিন নম্বর বি বাড়ির চার তলার বারান্দায় হুইল চেয়ারে বসে থাকা দাদীর চোখ বরাবর। দাদী অবলীলায় জ্যোৎস্না হজম করে ওচা ঢেঁকুর তোলে। সুহার্তো বারান্দার আরেক কোনায় সিগারেটে টান দিতে দিতে প্রায় অন্ধকার প্রাগৈতিহাসিক আকাশের দিকে তাকিয়ে ধোঁয়ার গোল্লা ওড়ায়। একবার দাদীর ম...
[justify]“গঙ্গারামকে পাত্র পেলে? জানতে চাও সে কেমন ছেলে?”-স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশনে লাল সাদা চেকের সেই ফ্রকটা পরে ঝুটি নেড়ে নেড়ে আবৃত্তি। ফ্রকটার কথা মনে আছে তোলা ছবি দেখে। এরপর বাসায় কেউ আসলেই বাবা বলতো- ঐ ছড়াটা বলে দাওতো, মা- “মন্দ নয় সে পাত্র ভাল, রঙ যদিও বেজায় কাল”- আদিবা বলতে চায় কী না চায় তা না শুনেই দাঁড় করিয়ে দিত টেবিলের ওপর। এখন যেমন যেতে চায় কী না চায় তা না শুনেই শুক্রবার বিকাল চার...
[justify]
১.
সগীরের ছোট মামার ইন্তেকালের বয়স এখনও হয়নি। কিন্তু তিনি শৈশব থেকেই একটু এঁচড়ে পাকা। ক্লাস এইটে থাকতেই তিনি একটি মাত্র টিকিট সম্বল করে অম্লানবদনে একাধিক সিনেমার আসর থেকে বেরিয়ে একটি স্টার ফিল্টার বিড়ি পান করতেন বলে আমাদের বহুবার জানিয়েছেন। কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে উঠে হুলুস্থুলু প্রেম শুরু করেছিলেন অনার্সের এক শেষবর্ষীয়ার সাথে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষে উঠে এক ইস্কুলগা...