স্কুল থেকে ফিরেই রুবাবা ব্যগটা টেবিলের উপরে রেখে কোন রকমে জামাটা বদলে তার প্রিয় কাঁঠাল গাছে খেলার ঘরে তরতরিয়ে উঠে যায় কমলাবতীর সংসার নিয়ে। বাবা বাড়ি ফেরার আগে যতটা খেলে নিতে পারা যায় আরকি!!
দাদী এসে কাঁঠাল গাছের নিচে দাঁড়ায়, কোমড়ে হাত রেখে উপর দিকে তাকিয়া বলে "নিচে নাম জলদি, গোসল করতে, খেতে হবে না?" খুব মনযোগ দিয়ে তখন পুতুলকে নতুন বানানো ড্রেসটা পরাতে ব্যস্ত, দাদীর কথা কানেই যায়নি...
লিফটে দরজার সামনে ওদের দেখা। দুজনের চোখেই কিছুটা কৌ্তুহল।কোন রকম ইতস্তত না করেই তরুন দু পা এগিয়ে যুবতীকে পরিস্কার ইংরেজীতে জানতে চায়, তুমি কোন দেশী?
আমি বাংলাদেশী, তুমি? মৃদু হেসে যুবতীও ইংরেজীতেই উত্তর দেয়।
তরুন এবার বাংলায় বলে, আপনি বাংলাদেশী!সিঙ্গেল স্টুডেন্টসদের এই হাউজেই থাকেন! এখানে আর কোন বাংলাদেশী আছে বলে তো জানি না!
-আমিও তো জানতাম না। কাল চাবি নেয়ার সময় প্রভোষ্টকে ...
[justify]বাদশা মিয়া টুলে বসে ঝিমায়। এক গাড়ি এসে হর্ন মারলে তার বেবাক ঝিমানি উচট খেয়ে ডিগবাজি মারে। সটান হয়ে সে গেট খুলে দেয়। সালাম ঠুকে। গাড়ির ড্রাইভার পেছনে এক ময়ূরপঙ্খি রাজকন্যা নিয়ে মিষ্টি ওম ছেড়ে উড়ে চলে। ফের টুলে গিয়ে ঝিমানির প্রস্তুতি নেয় বাদশা মিয়া। খাউজায় মুখ নাক গলা। হা করে হাই তুলতে গিয়ে ওপরের আকাশে চোখ পড়ে। গাছের ডালে তার পাতায় কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ ছিদ্রে পূর্ণিমার আলো জোনাক ...
[justify]
ঘুম থেকে উঠে পিপলু চোখ পিটপিট করে কিছুক্ষণ ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর হাত বাড়িয়ে তার কোলবালিশটাকে খোঁজে। কিছুক্ষণ কোলবালিশটাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে সে সকালের শব্দগুলো শোনে। তরকারিঅলা, মুরগিঅলা, ফেরিঅলা এসে ডাকাডাকি করে, রিকশা চলে যায় পাশের গলি দিয়ে টুংটাং করে, বারান্দায় চড়াই আর নারকেল গাছের ওপরে বসে কাক ডাকে।
পিপলু ঘুমমাখা চোখে বিছানায় শুয়েই আস্তে করে ডাক দেয়, "মা!"
আস্তে ক...
-"হ্যাপী বার্থডে টু মজিদ ভাই !!!" দরজা খুলতেই আমাদের চারমূর্তি চিল চীৎকারে পাড়া মাথায় তুলি। "...এন্ড ম্যানী ম্যানী হ্যাপী রিটার্নস !!"
মজিদ ভাই স্বাভাবিক ভাবেই খুশি না হয়ে থাকতে পারেন না। তবুও, মুখে বিনয় এবং সেইসাথে 'কী দরকার ছিলো এসবের' জাতীয় একটা মিশ্র অভিব্যক্তি আনতে চেষ্টা করেন তিনি। এবং ব্যর্থ হন। বিনয় জিনিসটা মজিদ ভাইয়ের একদমই আসে না।
[justify]
ব্রাউজারে dragonair.com লিখে এন্টার টিপে দেয় ও। মূলপাতা আসতেই খুঁজে বের করে ফ্লাইট স্ট্যাটাস ট্যাবটা। দ্রুত হাতে লিখে চলে; KA 127. আরো দু’একটা জায়গায় ক্লিক করে সার্চ বোতামটা টিপে দেয়। হিসসস করে একটা শব্দ। প্রেসার কুকারের সিটির আওয়াজ। গরুর মাংস রাঁধছে রেহান। মনে মনে গুনে রাখে ক’বার ঐ শব্দটা হল। আজ রাত পুরোটাই ঘরের কাজ আর রান্না করে কেটে গেছে ওর। দেয়াল ঘড়িটা মধুর শব্দে জানান দেয় সাতটা বা...
মনুষ্য-সন্তান হয়েও সূর্য ছুঁয়ে দেবত্বপ্রাপ্তির আকাঙ্খায় উড়েছিল সে।
রেনেসাঁ শিল্পি পিটার ব্রুগেল একেছিলেন ইকারাসের পতন। পৃথিবীর নিস্পৃহ জীবন প্রবাহে এতটুকু ব্যাঘাত না ঘটিয়ে গলে যায় তার মোমের পাখা। প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ত মানুষের অগোচরে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয় স্বপ্ন ও আকাঙ্খা।
ক্ষমতাযন্ত্রের নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘনের ইচ্ছার উচিত শিক্ষাই পেয়েছি...
[justify]আঙুরলতাকে নিয়ে আমি অনেক ভাবি। অনেক অনেক গল্প আমার চিন্তা করা হয়েছে তাকে নিয়ে। কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনি। আগে একটা আবছা আবছা চেহারা আমার মাথায় ছিল। ইদানীং ঝামেলা হয়ে গেছে। নামটা মাথায় আসলে সাথে সাথে জয়া আহসানের চেহারা মনে পড়ে। নাটকটা কিভাবে যেন দেখা হয়ে গেছে। আমার আঙুরলতা কিংবা আঙুরলতাকে নিয়ে একটা পোস্টমর্ডান গল্পে জয়া আহসান হানা দিলে গিয়ানজাম লেগে যায়। গল্প তার পাখা নিয়ে তার ...
ঝনননননননন............................................ যাহ!আবার ও কিছু একটা ভাঙলো!প্রতিদিন কোন না কোন অঘটন আর মিরার চিলচিৎকার এভাবেই রোজ ভোর হয় আমার ৪ কামরার এই ফ্ল্যাট এ।ব্যাংকার আমার ব্যস্ত জীবনে চাকরি যেখানে প্রায় নটা-আটটা ভোরবেলার এই আলসেমির সময়টুকু একান্ত আমার মনে হয়।চায়ের উষ্ণ ধোঁয়ার ফাঁকে বহুতল ফ্ল্যাটে আমার এক চিলতে আকাশ দেখা,ভোরটা কখনো ঠিক তুলতুলে পাখির মত অথবা হয়ত কখনো চকলে...
[justify]
গুড্ডুর বন্ধু বাবু মস্ত একটা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসে।
গুড্ডুরা স্কুল ছুটির পর অনেকক্ষণ খেলে। স্কুলের মাঠে মর্নিং শিফটের ছেলেরা খুব একটা খেলাধূলার সুযোগ পায় না, হেডমাস্টার তাদের মেরেবকে খেদিয়ে দ্যান। বাসায় গিয়ে আবার খেয়েদেয়ে পড়তে বসতে বলেন। অ্যাসেম্বলি মাঠের সবুজ ঘাসগুলি গুড্ডুদের দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচায়।
অ্যাসেম্বলি মাঠে না হোক, জিমনেশিয়ামের সামনে ছোট্ট মাঠটুকুত...