[justify]রবিনের শুতে দেরি হয়েছিল। গরম ও পড়েছে খুব। উঠে দেখে গায়ের গেঞ্জি ভিজে গেছে। নিজের ঘামের গন্ধে কেমন গা গুলিয়ে ওঠে। আজ মিটিং। পাঁচটায়। যাবে ওরা ছয়জন। আর বড়ভাই। একটা নতুন টার্গেট ঠিক হয়েছে। শিগগির। আয়নায় গিয়ে নিজের দিকে তাকায় রবিন। মাঝে মাঝে এভাবে তাকালে নিজেকে চিনে নিতে কষ্ট হয়। এক সময় একটা খেলা খেলতো খুব। আয়নার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করতো – ‘কে? রবিন, তুমি কে?’ মনের গহনে চলে যাওয়ার ...
সকালে বিলম্বে ঘুম থেকে উঠে রুটিন কাজ গুলি সম্পাদন করে বেড় হতে দেরি হয়ে যায় সোহানের। রাস্তার যে মোড়ে অফিসের গাড়ি ঠিক আটটা ত্রিশ মিনেটে এসে দাঁড়ায় সেখানে পৌছে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৮:৩৫মিনিট। নিজের উপর নিজেই বিরক্ত হয়। ভাবে কেন যে প্রথম এলার্ম বাজার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠলাম না। অগত্যা কি আর করা সিএনজি স্কুটার বা ক্যাব ড্রাইভারের মন জয়ের জন্য সাত-সকালে আঁকুতি-মিনতি খেলা শুরু করে। ...
পায়রা - আইজ্যাক বাসেভিস সিঙ্গার
(সম্পূর্ণ)
[justify]বউ মারা যাবার পর প্রফেসর ভ্লাদিস্লাভ ইবেজচুটসের কাছে থাকে দুটো জিনিস। বই আর পাখি। ওরজেল পোলস্কির ভাই-ভাই সংঘের ছাত্রদের মাস্তানি সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে ভারসাভা ভার্সিটি থেকে ইতিহাসের অধ্যাপনা থেকে ইস্তফা নেন। ছেলেগুলো ভ্রাতৃসংঘের সোনালী এম্ব্রয়ডারির টুপি পরে ক্লাসে আসে। হাতে ছড়ি ঘোরায়। আর থাকে বাহাস...
পায়রা - আইজ্যাক বাসেভিস সিঙ্গার
[justify]বউ মারা যাবার পর প্রফেসর ভ্লাদিস্লাভ ইবেজচুটসের কাছে থাকলো দুটো জিনিস। বই আর পাখি। ওরজেল পোলস্কির ভাই-ভাই সংঘের ছাত্রদের মাস্তানি সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে ভারসাভা ভার্সিটি থেকে ইতিহাসের অধ্যাপনা থেকে ইস্তফা নিলেন। ছেলেগুলো ভ্রাতৃসংঘের সোনালী এম্ব্রয়ডারির টুপি পরে ক্লাসে আসতো। হাতে ছড়ি ঘোরাত। আর থাকতো বাহাস করার জন্য ম...
গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙে গেল। কোনো কারণ নাই, তবুও ঘুম ভেঙে গেল। শব্দ বলতে আছে শুধু বাতাসের সর সর শব্দ, আলো বলতে আছে শুধু ডুবে যাওয়া চঁদের রেখে যাওয়া প্রায়ান্ধকার আলো, তারপরও ঘুম ভেঙে গেল।
নাজনীন এমনভাবে চোখ মেলে যেন সে এতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলো না, কোনো কিছুর অপেক্ষায় চোখ বন্ধ করে ছিলো শুধু। ডান কাতে শুয়ে ছিলো সে। ডানদিকেই দরজা। খোলা। চাপা, ঝিম ধরানো আলো। বারান্দায় এসে পড়া গাছের বড় ডালট...
সোহোরার্দী পার্কের ল্যাম্প পোস্টের আলোতে রুপালী ছেলেটাকে অন্ধকারের দিকে এগিয়ে আসতে দেখলো...
রুপালী তার সাথের সবাইকে বলে রেখেছে এই ছেলেটা এলে সে ছাড়া আর কেউ যাবেনা তার কাছে..
লুলা সামসুর বউ আসিয়া রুপালীকে মুখ ভেংচে বলে-এ্যা ঢং কত! ঐ ছ্যাড়া বিয়া করবো তরে?এত পিরিত কিসের?ল্যাহা পড়া করা পুলাপান মাতা গরম হইলে এইহানে আসে। তর মুক দেখছে ঐ ছ্যাড়া কহনো?জীবনেও দেখতনা,তুমি খালি তারে নিয়া খোয়া...
[ এই সিরিজের প্রতিটি ঘটনা আমার আশেপাশের মানুষের জীবনের গল্প। মানহানির মামলায় যাতে না পড়তে হয় সেজন্য স্থান আর পাত্র বদলে দেয়া হয়েছে মাত্র- কাল একই আছে! ]
।।এক
সজীবের আজ মনটা খুব ভাল, সপ্তাহে তিনটা দিন বিকেল থেকে তার মন খুব ফুরফুরে থাকে; বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে বের হয়ে পলাশী থেকে একটা রিক্সা নিয়ে ধানমন্ডির উদ্দেশ্য রওনা হল। রিক্সায় উঠেই তার সিগারেট ধরানোর অভ্যাস, গন্তব্যে পৌঁছ...
আমার ছেলেবেলাটা কেটেছিল গ্রামে, শীতের সকালে খেজুরের রস আমার অনেক পছন্দের একটি জিনিস ছিল। দাদু এ ব্যপারটি লক্ষ্য করে আমাদের গ্রামেরই এক বুড়ো গাছিকে রোজ সকালে রস দিয়ে যেতে বলেন। দিনকয়েক যেতে না যেতেই আমার সাথে বেশ ভাব হয়ে যায় গাছি হারুন দাদুর। কোন কোন দিন খুব ভোরে শিশিরভেজা ঘাস বা গ্রামের আলপথে আমাকে তিনি নিয়ে গেছেন কোন একাকী খেজুর গাছের পাশে। গরম কাপড়ে আগাগোড়া আবদ্ধ আমি শুধু অব...
[justify]
পাড়াতুতো চায়ের দোকানে অমন আড্ডা পেয়ে যাবো, ভাবিনি। গতকাল গলিতে ঢোকার মুখে ডালপুরির বাস্না এসে নাকে হাত বুলিয়ে গিয়েছিলো, তাই আজ গেলাম ডালপুরি চোখে দেখার পাশাপাশি চেখে দেখতে, ঘ্রাণেন অর্ধভোজনমের পাশাপাশি বাকি আধখানা একেবারে উপর্যুপরি চিবিয়ে গিলতে, সাথে দুধভাত হিসেবে এক কাপ খাটো চা, কে জানতো বোনাস হিসেবে ওরকম একখান আড্ডার সন্ধান পাবো?
ছোটটাকে কোলে গুঁজে, বড় মেয়েটাকে পথের ওপর দিয়ে অনেকটা হেঁচড়াচ্ছিল সেলিনা। এ পথ তার চেনা নয়। তার পথের রঙ নরম সবুজ। এ পথ শক্ত কালো রঙ এর।
এখানে মানুষের মুখ কুয়াশায় তৈরি। ঠান্ডা আর অস্বচ্ছ। কিন্তু সেলিনার খুব বিপদ! তাই বদ্ধ ঘরে আটকে পড়া পাখির মত দেয়ালে বার বার বাড়ি খাওয়া, অদম্য প্রাণশক্তির অসহায় ক্ষয়।
“আমার স্বামীরে দেখসেন? উনার নাম আব্দুর রাজ্জাক।”
শহরে কেউ কাউকে চেনে না।
“এই ...