ধড়মড় করে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম।কি যেন স্বপ্ন দেখছিলাম;আধো আলো আধো অন্ধকারে বদ্ধ ডোবা,ছোপ ছোপ রক্ত নাহ মনে পড়ছেনা।উঁকি দিয়ে আকাশ টা দেখেই মুঠোফোনে এ হাত বাড়াই।আটটা!ঘরের দিকে তাকাতেই মেজাজ বিগড়ে যায়।পুরো ঘর এলোমেলো হয়ে আছে।আজ এই ঘর টা ছেড়ে দেব।আমার র নিরার শৈশব,কৈশোর,এতোদিনের ছড়ানো জীবন বোচকা বেঁধে রওনা হব ;কোথায় ?এখনো ঠিক করিনি।খুব চা খেতে ইচ্ছে করছে।নিরা থাকলে বানিয়ে বলত আপুনি ,খ...
[justify]সকালে উইঠ্যায় মেজাজ বিগরায়ে গ্যাছে। বুয়া বেটি আইজো আসে নাই। এহন নিজেরই চা বানায় খাওন লাগবো। চট্টগ্রামের লালখানবাজারের এই চিপায় পইরা জীবন এক্কেরে শ্যাষ। ট্রিপল মার্ডারটা বসের কথায় করা লাগছিল। রুম্মান ও লগে ছিল। ওই হালায় তো ঢাকায় মাস্তি করতাছে। দোষ যে কেমনে আমার ঘাড়ে পড়লো হেডা মালুমের আগেই তো এই চিপার মধ্যে বস হান্দায় দিলো। হালকা দাঁড়ি গজাইলাম। ডেগার শরীফ সাজলাম হালায় এক ম...
যাক,বাড়িটা হচ্ছে শেষপর্যন্ত... রায়হানসাহেব খুব তৃপ্তমনে ভাবেন, একটা সন্তুষ্টির আভা তাঁর চোখেমুখে ছড়িয়ে পড়ে!সারাজীবনের কষ্টের ধন এই বাড়ি,নিজে সরকারী চাকরি করেছেন মাঝারি গোছের.. কখনো বাম হাতে রোজগারের কথা ভাবেননি, আয়েশা খাতুনও সেটা নিয়ে অনুযোগ করেননি...জীবনে তাঁর ইচ্ছে ছিলো একটাই,একদিন না একদিন নিজেদের মাথা গোঁজার একটুখানি ঠাঁই হবে.. তা প্র/ফান্ডের টাকা কড়িগুলোই তো...
১।
মালা ডাকলো, " কাজল, এই কাজল।" কোনো জবাব নেই।
আবার ডাকলো, এবার একটু চড়া গলায়," কাজ-অ-অ-ল, কিরে হতচ্ছাড়ী, শুনতে পাসনা? ভাত বেড়েছি, খাবি না?"
কোনো সাড়াশব্দ নেই। এবার মালা রেগে ওঠে। " কী হলো? বলি হলোটা কী? এতক্ষণ ধরে ডাকছি, নবাবনন্দিনীর কোনো জবাব নেই?" কিন্তু এবারেও কোনো আওয়াজ আসে না কাজলের দিক থেকে। মালা রেগে এবারে একেবারে তেতে ওঠে, দুম দুম পা ফেলে কাজলের ঘরে ঢোকে। চুলের মুঠি ধরে টেনে ...
সেই প্রথম কিছু রাত আর দিন; যুদ্ধ ফেরত রজব আলী নিজের মতো করে পেয়েছিলো আছিরন। তারপরই ধীরে ধীরে বদলাতে লাগলো মানুষটা! শেখ মুজিব, আওয়ামীলীগ এসবের নামে একদিন জান কোরবান করে দিতো যে রজব আলী, সে-ই আগের মতন কোনো উচ্ছ্বাস দেখায় না এসব নিয়ে। বরং এদের বিপক্ষেই বলে বেশি। তার চেয়ে বরং জাসদ, গণবাহিনী-এই জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করে ঘন ঘন আর বলবার ভঙ্গি আর বিষয় পাল্টিয়ে নিজের বদ...
[justify]মা কেন জানি বাসায় নতুন এক স্যার নিয়ে এসেছে। সব কিছুতে মার বেশি বেশি। মার একদম নতুন বাতিক। স্যারের সাথে বেশি হেসে কথা বলা যাবে না। এই ওই। এতো মেপে সব করা যায় নাকি?
সেতু গ্লাভসের মত লাল নকশার এক জোড়া আল্পনা পরেছে দুই হাতে, সঙ্গে এক থোকা মানানসই লাল চুড়ি। মেহেদীর রঙ-সর্বস্ব প্রলেপের নিচে তার চামড়া কতোখানি মসৃণ ভাবতে থাকেন রেদওয়ান সাহেব। সেতুর চুলগুলো বাতাসে এদিক সেদিক উড়ছে, টানটান বাতাসে নৌকার পালের মত। রিক্সায় বসেও রেদওয়ান সাহেব সেই ছৈয়ের দোল খেতে থাকেন। রেদওয়ান সাহেবের চোখ, সেতুর চুলের লতাগুলো বেয়ে নিচে নামতে থাকে। অনেকটা নেমে কানের লম...
(মহান পাঠক,পড়ুন আপনার ধৈর্যের নামে,আপনার অপরিসীম ক্ষমার গুনে)
মধ্য পৌষের ভরা মধ্যরাতের হিম হিম নির্জনতা ভেঙ্গে দিয়ে মেজর রফিক উল্লাহ খানের সামরিক কায়দায় উচ্চারিত প্রশ্নটা আছড়ে পড়ে এদিক ওদিক। তখন ধাইসার গ্রামের সারা গতর জুড়ে ঘন শীত নামে। অথবা শীত তখন হয়তো মাঠ অব্দিই নেমে গেছে। কিন্তু কোথাও দাঁত কাঁপানির শব্দ শুনতে পাওয়া যায় না ! যদিও অল্প শীতেই কাতর কিছু শেয়াল একটা শোরগোল তোলে...
দরজা
কিছু দরজা বন্ধ থাকাই ভালো। কিছু দরজা কখনোই খুলতে নেই। কিছু দরজা কখনোই থাকতে নেই। তবু, কাল হঠাৎ করেই ভুল দরজাটাই খুলে ফেলে রূপকথা। আশ্চর্য, এই ঘর তার পরিচিত। এখানে রূপকথা আগেও এসেছে। দেয়াল থেকে শুরু করে খাট, টেবিল, চেয়ার, আলমিরা সব তার পরিচিত। এই ঘরের জানালায় বসেই রূপকথা অপেক্ষার প্রহর গুণতো। ভাবতো ইফতির কথা। ইফতি তখন প্রায়ই দেরি করে বাড়ি ফিরতো। বাড়ি যতো কম আসা যায় ততোই ভালো...
মলিনা বেগম স্বপ্ন দ্যাখে, আধখানা চাঁদ ঝুলে আছে পশ্চিম আকাশে। ক্ষীণ আলোর ধারা ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। একটু ঘোলাটে ধরনের। এই ঘোলাটে ধরন একটা ভৌতিক আবহ এনে দিয়েছে। আর এমন সময় সে কী’না খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। পায়ের নিচে ধান কাটা ক্ষেত। মলিনা বেগমকে দেখে একটি ইঁদুর পালিয়ে যায়। দূরে কোথাও একটা পেঁচা ডেকে ওঠে। মলিনা বেগম আরো ভয় পান। বুকের ধুকপুকানি বাড়ে। খোলা মাঠটা তার চেনা নয়। আবা...