Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

বিজনেসম্যান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৪/১০/২০০৯ - ৮:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল থেকেই বৃষ্টি পড়ছিল।গুলশানের এক নিস্তব্ধ কোনায় উঁচু দেয়ালে ঘেরা বাড়িটার ভেতর বৃষ্টির হাজারো মাতাল শব্দে ঘেরাও হয়ে ছিল ওরা।কুয়াশা ধরা শীতল কাঁচের জানালার দামী ইটালীয়ান কাপড়ের পর্দার ফাঁক দিয়ে ড্রয়িং রুমে আবছা ধূসর আলো এসে অদ্ভুত এক আলো আঁধারি তৈরি করছিল ওদের চারদিকে।

মার্বেল আর মেহগনির এই বিশাল সুরম্য প্রাসাদ টা সরফরাজ সাহেবের কাছে একটা জেলখানার মত লাগে, দম বন্ধ হয়ে আস...


টুকরো স্মৃতি-আলেখ্য : নির্ভানা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/১০/২০০৯ - ৯:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শেষমেষ যেতেই হলো দেশে । আজ যাব কাল যাব করে কখনযে অনেকগুলো বছর কেটে গেছে টের পাইনি । কারন যে কিছু নেই তা নয় : মনেহয় প্রতিষ্ঠা, পেশা মাথার ভেতরে খুব ভাল করে জেকে বসেছিল, তাই সময়ের চলে যাওটা ঠাহর করতে পারিনি । যাইহোক অনেক সময়, অর্থ ব্যায় করে অবশেষে দেশে যাওয়া হলো, কমকরে একটা মাস সেখানে কাটানো গেল, এটা অনেক পাওয়া- কোনকিছু দিয়ে তাকে পরিমাপ করা যবেনা । যথাসময়ে কানডায় ও ফিরে আসলাম সপরিবারে । ...


নির্বাসন

শুভপ্রসাদ এর ছবি
লিখেছেন শুভপ্রসাদ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/১০/২০০৯ - ৪:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডোবায় বাসন ধুতে গিয়ে হঠাৎই উদাস হয়ে যায় দীপালি। তাদের প্রায় ভেঙে পড়া বসত ঘরের পেছনের এই বদ্ধ ডোবা, এর ঘোলাটে জল, পারের বাঁশঝাড়ের ফাঁক দিয়ে জলের গায়ে পড়া সূর্যের কৃপণ আলো- সবকিছু থেকেই অনেক দূরে চলে গিয়েছিল সে। সে কখনোই ভাবে নি, আবার তাকে ফিরতে হবে এখানেই। ওখানে, ওই স্বপ্নের পৃথিবীতে, সে পেয়েছিল এক সব পাওয়ার জীবন। আনন্দ ছিল, ছিল জীবনের নানা বিচিত্র সুর, অনেক সুরভি, অনেক পাওয়া। ওখানে ন...


গল্প: পালাতে গিয়ে চির প্রস্থান।(তৃতীয়- পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১১/১০/২০০৯ - ১:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি নিয়ে শিপনের রুমে সবাই বসেছে আগামী কালের প্ল্যান নিয়ে। সবার চোখেই ঘুমের দৌড়াদৌড়ি। তারপরও বসেছে কোথায় যাবে সেটা ঠিক করার অভিপ্রায়ে বা বলতে পারি পরবর্তী দিনের লক্ষ্য স্থির করতে। তমাল প্লেয়িং কার্ড নিয়ে বসেছে। সে এই সফরের দলনেতা, শিপন অলিখিত কোচ। শিপনের পরামর্শ বা কথা ছাড়া তমাল কিছুই করে না। তার কথা কিছুক্ষণ কার্ড খেলে তারপর ঘুমাবে। ঘুম কাতুর জাকির কার্ড ...


অণুগল্প: স্বপ্নের পর আবার একা।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/১০/২০০৯ - ৯:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"এবার ক'দিন থাকবে?" পাশ ফিরে ডান হাতটা দিয়ে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে অরিত্রী জানতে চাইল । জামিলের কাছ থেকে কোনো প্রকার সাড়া না পেয়ে মাথার চুল গুলিকে এলমেলো করতে করতে আবার বলল, "জানো, তুমি বিয়ের প্রথম বর্ষপূর্তীতে যখন এলে না, মা তখন কী বলেছিল?" ঘুমঘুম চোখে ভারী কন্ঠে জামিল জানতে চাইল "কী?" আমার মধ্যে না কি কোনো আকর্ষণ নেই, তাই তুমি আমাকে রেখে নিশ্চিন্তে বিদেশ পড়ে থাকো।" মাথাটা জামিলের প্রসস্ত ...


গল্প: পালাতে গিয়ে চির প্রস্থান। (দ্বিতীয়- পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/১০/২০০৯ - ২:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রকৃতির এই আহবানকে উপেক্ষা করার কৌশল আজ পর্যন্ত কেউ শিখেনি। যত ক্ষমতাধর, শক্তিশালী বা বিত্তশালী হোক না কেন প্রকৃতির এই ডাককে অবজ্ঞা করার ক্ষমতা কারো নেই। গ্রামের মরুব্বীদের কাছে ছোট বেলায় একটা কথা শুনতাম "-----ইয়ে ধরলে নাকি বাঘের ভয়ও থাকে না।" আর এখনতো আলোকিত দিন, সাথে চার বন্ধু, সুতরাং সাজ্জাদেরতো ভয় পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। আর লজ্জা! সেটাতো সাজ্জাদের প্রথম দিকে ছিলো, আস্তে আস্তে ব...


স্বপ্ন ক্লিষ্ট

মৃত্তিকা এর ছবি
লিখেছেন মৃত্তিকা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/১০/২০০৯ - ৪:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জানালায় হেলান দিয়ে গুন গুন করে ওঠে অনন্ত,
-জীবন পাত্র উচ্ছরিয়া মাধুরী করেছো দান। তুমি জানো নাই, তুমি জানো নাই.......

-গান বা কবিতা............কোনটাই কিন্তু হচ্ছেনা!
আলতো হেসে মাথা নাড়তে থাকে অপলা, ঝুন ঝুন শব্দে নেচে ওঠে ঝুমকো জোড়া।

-সে জানি! মনের ভাবনাটুকু অক্ষর আর শব্দ দিয়ে সাজাচ্ছিলাম মাত্র।

-“তাই বুঝি?” অপলা হাত বাড়িয়ে এলোমেলো করে দেয় অনন্তের কোঁকড়ানো চুলগু্লো।

“তবে যে খুব চলে যাও রো...


শহরে যখন গল্প নেই

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/১০/২০০৯ - ১২:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"A wastepaper basket is the only true friend of a Writer"- Isaac Bashevis Singer


তাঁদের ছায়া

রেশনুভা এর ছবি
লিখেছেন রেশনুভা (তারিখ: বুধ, ০৭/১০/২০০৯ - ৫:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
সেই ছোট্টটি থেকেই ছেলেটা ছিল খুব দুরন্ত। কোথায় কোথায় চলে যেত; বেলা পার হলেই কেবল দেখা পাওয়া যেত ঘরের উঠানে। মায়ের বকুনি, বাবার শাসন কিছুই আটকাতে পারত না। ওদের ঘরটা যেখানে, সেখান থেকে অনেকটা হেঁটে বিশাল এক মাঠের ধারে ঐ নাম না জানা অচিনবৃক্ষটা। দলবল নিয়ে এসে ওরা কত যে হুটোপুটি করত গাছটার গোঁড়ায়। মাঝে মাঝে আবার গাছের ডালে দোলনা বেঁধে আকাশ ছোঁয়ার সাধ হত ওদের।

ছেলেটার কৈশোরও কেট...


গল্প: পালাতে গিয়ে চির প্রস্থান।(প্রথম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৭/১০/২০০৯ - ৫:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলায় ইংরেজীতে “Morning shows the day” -বলে একটা কথা শিখেছিলাম। আমি জানি না সবাই বিশ্বাস করে কিনা? আমি যে বিশ্বাস করি না, এটা আমি ভালো করেই জানি। কীভাবে বিশ্বাস করি বলুন? সকালে ঘুম থেকে উঠে যে আকাশে চক্চকে রোদের দৌড়াদৌড়ি দেখি, দুপুরে সেখানেই দেখি ঘনকালো মেঘের আনাগোনা। সন্ধ্যায় দেখি চারিদিক আধার করে ঝুম বৃষ্টি। যে শিল্পী-সাহিত্যিকরা বসে ছিল সন্ধ্যায় গোধূলীর আবীর দেখে প্রিয়ার ঠোঁট রাঙাবে, ...