তারপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল - ঠিক এখান থেকেই গল্পটা শুরু হয়। কারণ তাহাদের মধ্যে একটা ছোট্ট খটকা ছিল। তবে যেমনটা হয়ে থাকে একটা দুটো খটকাকে কেউ পাত্তা দেয়না। খোদ ডারউইন সাহেবই বলে গেছেন - টিকিয়া থাকিতে হইলে তাল মিলাইয়া চলিতে হইবে। অগত্যা, সবাই চেষ্টা করে তাল মিলিয়ে চলতে। কিন্তু ছন্দপতন ঠিকই কানে বাজে।
সুখ ও শান্তির সংজ্ঞা তাহাদের কাছে আলাদা ছিল। তাতো হবেই। কা...
[justify]
নজমুল আলবাব লুক্টাকে আমি ঠিক ভালু পাই না। সেই সামুযুগ থিকাই কেমুন কেমুন যেন লাগে তাকে। সাম্নাসাম্নি মুলাকাতের সুযোগ ঘটে নাই, নাহলে লুক্টা কত বড় পগেয়া পাজি, সেটা নিরূপণের আরো সরেস সুযোগ মিলতো। কিন্তু মোটা দাগের মাপে বলতে হয়, লুক্টা সুবিধার্না।
গুটক (অর্থাৎ গুগলটক, পৃথিবীর অন্যান্য মহৎ জিনিসের মতো গুগলের শুরুটাও গু দিয়ে)-এ এই দুরাচার আলবাবে...
কয়েকদিন ধরেই মেয়েটা বলছিল পাহাড়ের চূড়ায় বেড়াতে যাবে আমাকে ও নিয়ে যাবে কিন্তু আমি যে হাটঁতে পারিনা কিন্তু তাতে কি মেয়ের গাড়ি আছে। হেটেঁই উপরে উঠতে হবে এমনতো কোন কথা নেই আধুনিক যুগে এখন অনেক কিছুই সহজ, গাড়ি না থাকলে কেবল কার আছে । কিন্তু যাব শুধু আমি আর আমার মেয়ে, মেয়ের স্বামীর নাকি অফিসে কাজ আর আমার একমাত্র নাতির নাকি স্কুলে না গেলেই নয় তার উপর পাহাড়ের উপর নাকি এখন ঠান্ডা ও বেশ। কিন...
শেষ বিকালের নিস্তেজ হয়ে পরা রোদটা স্পন্দিতার খুব ভাল লাগে। রোদের মিষ্টি আলোর জন্য যতটা না ভাল লাগে তার চেয়ে বেশি ভাল লাগে সূর্যের অসহায়ত্ব দেখে। দুপুরে যে সূর্যের আলোর প্রখরতায় ওষ্ঠাগত প্রায় প্রাণ, বিকালে সেই সূর্যটাই ম্রিয়মাণ, প্রেমিকার মত শরীরে সোহাগের আদর বুলিয়ে দেয়। মানুষকে আবেগে জরিয়ে রাখে এক অবর্ণনীয় মুগ্ধতায়। ঘণ্টা দুয়েক আগেও সূর্যের অসহনীয় তাপের কারণে রিকশাওয়ালার...
ছোটমেয়ে মাহরুফা ক’দিন থেকেই একটি ময়না কেনার বায়না ধরেছে। কফিলুদ্দীনের তাতে তেমন আপত্তি নেই। মুশকিল হলো স্ত্রী শরীফাকে নিয়ে। তার আবার কিছুটা শুচিবাইয়ের ধাঁচ আছে। ছোট মেয়েটির জন্মের পর থেকেই শুরু। বলে বাড়ীঘর নোংরা হবে, পালক ছড়াবে ঘরময়- হাজারো টালবাহানা! এসব কথার কোন পাত্তা না দিয়ে কফিলুদ্দীন সকালে বেলা চাকর হারুনকে ময়না কেনার জন্যে তিনশো টাকা দিয়ে রওয়ানা হলেন আড়তে।
যাবার পথে...
বিতান স্টেশনে এসে বসে রোজ বিকেলবেলা। একটা লোহার বেঞ্চি আছে স্টেশনের মহুয়াগাছের নিচে, সে সেইখানে এসে বসে প্রত্যেক দিন। সারাবছরই ঐখানে। খুব বৃষ্টি হলে শুধু দৌড়ে আসে শেডের নিচে, বৃষ্টি থামলেই আবার বেঞ্চিটায় । মহুয়াগাছটাকে নিয়ে নাকি কে এক কবি কবিতা লিখেছেন, কে এক গায়ক গান গেয়েছেন। বিতান মাঝে মাঝে চেয়ে চেয়ে দেখে গাছটাকে, কি আছে গাছটার মধ্যে? আলাদা কিছু, অন্যরকম কিছু?
'এই তোর কাছে কালো ষ্ট্র্যাপ আছে?' একেবারে ঘাড়ের উপর দিয়ে কানের পাশে মুখ এনে সুনয়না আপু জিগেস করে।
পড়ার টেবিলে বসে অনেকক্ষণ হলো একটা অঙ্ক মেলানোর খুব চেষ্টা করছি। সামনের মাসে এইচএসসির প্রি টেষ্ট। কলমের পেছনটা কাম্ড়ে কাম্ড়ে খাতায় চোখ রেখে একটু অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলাম। সুনয়না আপু কখন ঘরে ঢুকেছে টেরও পাইনি।
'কিসের কালো ষ্ট্র্যাপ লাগবে তোমার?' চমকে উঠে জানতে চাই।
'আরে ঐ যে ইয়ের -...
'স্যার এট্টু বহেন, এট্টু...' কাচুমাচু হয়ে বাম হাতের কেনি আঙুলবাদে বাকীগুলো ভাঁজ করে নুয়ে ফেলানোর মাঝে একটা আকুতি, সেই আকুতির মানে সার্বজনীন যে বিষয়টার ইঙ্গিত দেয় সেই ইঙ্গিতের বা আবেদনকে না-মঞ্জুর করার মত পাষণ্ড আমি নই। লোকটা দাঁতকেলানো হাসিতে লুঙ্গি উঠিয়ে ফুটপাতধারে বসে পড়ার সাথে সাথে আমার বুক দিয়ে বয়ে গেলো হিমশীতল এক ভয়!। একের পর এক কু-চিন্তা মাথায় আসা শুরু হলো। চারপা...
অনেকদিনের ইচ্ছা একটা গল্প লেখব।সেটা ভাল খারাপ যাই হোক ইচ্ছা করত মানুষকে শোনাতে।সেই ইচ্ছার মূল্য দিতেই সচলায়তনে প্রবেশ এবং আজকের এই লেখা। বাংলা বানান এবং ব্যাকরণ বিষয়ে বরাবর ই খুব কাঁচা , তাই লেখার বানান এ ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী এবং সেই সাথে সঠিক বানানটি জানানোর জন্য অনুরোধ রইল।
হত্যা
অন্ধকার ঘর। কোন জানালা নেই। তারপরেও কোন এক অজানা উৎস থেকে একটু আলো এসে ঘরের ...
**
এখান থেকে আকাশের খুব ছোট্র একটা অংশ চোখে পড়ে। ফোকরটাকে সোজা সোজা তিনটা দাগ টানা একটা চৌদ্দ ইঞ্চি টিভির মতো মনে হয়। সেখানে দু তিনটা মেঘ দিব্যি এটে যায়। সোনালী আলো যখন দাগ টানা একটা চৌকো টানেল বানায় উল্টোদিকের দেয়ালে তখন সে টানেলের পাশে বসে সিগারেট খেতে বেশ লাগে, বিশেষ করে ধোঁয়াগুলো যখন কুন্ডলী পাকিয়ে ট্রেন ধরার ব্যাস্ততায় গল্গল করে টানেল এর এক মাথা দিয়ে বেরিয়ে যায়। এক সময় মনে হ...