**বিবর্জিতা**
“আই কান্ট টেক দিস স্ট্রেস এনিমোর।”
“জাস্ট চিল বেবী।” আনিকাকে স্বান্তনা দেয়ার চেষ্টা করে মার্ক। আনিকা তাতে আরো চিৎকার করে উঠে,
“কিভাবে? আজকে বিশ তারিখ। অথচ পাবলিক ল’র টার্ম পেপারের কিছুই হয়নি এখনও। আঠাশ তারিখ সাবমিশন।”
“এখনও আট দিন হাতে আছে।” এবার আশান্বীত করার চেষ্টা করে মার্ক।
“হোয়াটেভার! আই নিড অ্যা রেড বুল।” আনিকা হনহন করে হেটে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন শপের দিকে যেত...
"কিরে বইসা আছোছ ক্যান? আজকা কুনো কাম নাই?"
"না গো চাচা। দুইডা দিন ধইরা কুনো কাম পাই নাই। ট্যাহা যা আছিলো বেবাক শ্যাষ হইয়া গেছে। আজকা না খাইয়া থাকন লাগব"।
করিম সওদাগর ছেলেটির দিকে অনেক মায়া নিয়ে তাকিয়ে থাকল। তাকিয়ে থাকা পর্যন্তই সব। কখনই তিনি মায়ার বহিঃপ্রকাশ করেন না। তিনি চাইলে খুব সহজেই ছেলেটির জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। ছেলেটির ভরণ-পোষন, লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়া তার জন্য কোন ব্যাপ...
এই সাত সকালে ঈশ্বরের ডাক পেয়ে কিছুটা বিরক্তই হলেন জিবরায়েল। বিছানা ছেড়ে ওঠার চেষ্টা করতেই তাঁর বিবিসাহেবা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন পরম আদরে। শরীরের পেছনের অংশে স্ত্রীর বক্ষদেশের নরম আর পেলব উত্তাপে বেশ ওম ওম আরাম বোধ হলো জিবরায়েলের। বিছানা ছাড়ার কষ্ট আরো বেড়ে গেলো তাতে। কিন্তু উপায় কি? পেনশনের আগ অবধি এই সীমাহীন মহাপ্রতিপত্তিধর ঈশ্বরের ডাক অগ্রাহ্য করার মতো দু:সাহস কার আছে?
সক...
গান, নিজের মুখের মতো চিরচেনা নীল শিরা, সবুজ বিভ্রমের পাড়ে দাঁড়িয়ে, মানুষকে আর কতোই বা খেলতে হয়, খেলে, হেরে গিয়ে, কান্না লুকাতে লুকাতে, সন্ধ্যার ক্লান্ত সাগর পাড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আচমকা, তার নোনা জল মাখতে মাখতে, কখনো কখনো হরিৎ দিনগুলি, বরিষনজর্জর রাতগুলি, মাথার উপর একলা অই সী-গার্লের ডানায়, মৃত্যুর অধিক এক বেদনায়, প্রিয়তম মার্বেল হারানোর শোক, ফিরে ফিরে এলে এই শব্দ শব্দ খেলা, নিজের কাছে, প্র...
ঢং ঢং ঢং... পিতলের ঘন্টায় দারোয়ানের হাতুড়ির বাড়ি পড়ছে। সে কি মধুর শব্দ...আহ! শেষ পিরিয়ডে সবাই ব্যাগ গুছিয়ে বসে ছিল পিনপতন নীরবতায়, কান পেতে ছিল...কখন ঘন্টা বাজে! তারপর সে মধুর ঘন্টাটা বাজতেই হুড়োহুড়ি করে ছুটে বের হলো তারা। কানে তালা লেগে যাচ্ছে ঢং ঢং আওয়াজে... ভিড়ের মধ্যেই চারপাশের ধাক্কায় অন্ধের মতো এগুতে লাগলো শায়লা... ... তারপর আর কি! যা হবার তাই হলো, চৌকাঠে পা ঠেকে হুমড়ি খেয়ে পড়লো। আর তখ...
এখানে ওখানে শকুন ওড়াউড়ি করে। গ্যালো বছর এখানে টেলিফোনের লাইন এসেছিলো, আর এসেছিলো ডিশের ক্যাবল। শকুনেরা উড়ে এসে বসে, টেলিফোনের তারে, ডিশের ক্যাবলে, আর বাড়ির ছাদে, ছাদের ওপর পানির টাংকীতে, মুদির দোকানের চালে।
আজ এখানে তো কেউ মরেনি, কী জানি বাপু, শকুনেরা কেন এলো! বুড়োরা বলেন, নিশ্চয়ই কোন লাশ পড়েছে, অলিতে গলিতে খুঁজলে হয়তো লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে, লাশ না দেখলে কী শকুনেরা এ মুখো হয়? ওদের বড...
কে কোথায় নিভে গেছে তার গুপ্ত কাহিনী জানি।
নিজের অন্তর দেখি, কবিতার কোন পঙতি আর
মনে নেই গোধূলিতে; ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই।
অথবা গৃহের থেকে ভুলে বহির্গত কোনো শিশু
হারিয়ে গেছে পথে, জানেনা সে নিজের ঠিকানা
[সন্তপ্ত কুসুম ফোটেঃ বিনয় মজুমদার]
(উৎসর্গঃ- প্রিয় শিমুল, আনোয়ার সাদাত শিমুল'কে- যে একদিন বড় হয়ে, আরো বড় গল্পকার হবে)
[justify]
১.
ঘুমের ভেতর অসুখের ঘ্রান পায় হাসান অথবা অসুখে...
১.
ষাটের দশকের মাঝামাঝি। পুরনো ঢাকার কোন ঐতিহ্যবাহী পরিবারে বিয়ের অনুষ্ঠাণ শেষে বরযাত্রী বাড়ি ফিরেছে। অনেক পরিবারের রীতি অনুসারে বৌয়ের সাথে তার ছোটবোনও এসেছে ছেলের বাড়িতে। নতুন বৌ এলে যা হয়। বাড়িময় বিশাল হুলুস্থুল। বৌয়ের পাধুইয়ে টাকা নেওয়া, গানবাজনা নাচানাচি সব কিছুর পরে একসময় সবাই ক্লান্ত হয়। যাদের বাড়ি কাছে তারা বাড়ি গেলো। বাকিদের সবাইকে ঐ বাড়িতেই চিৎকাৎ হতে হবে। বরকণে ...
১.
অনেক চেষ্টা ক’রেও জিনিয়া লোকটাকে খসাতে পারে না। কালো, মাঝারি লম্বা, মধ্যবয়স্ক, নীল-কালো ছাপা, চকচকে শার্ট গায়ে একটা লোক। লোকটা কখনো ওর পাশে পাশে - কখনো পেছনে পেছনে - কখনো সামনে সামনে হাঁটে - হাঁটতে হাঁটতে একটু পর পর জিনিয়ার মুখের দিকে তাকায়। জিনিয়া হাঁটার গতি কমালে সেও কমায়, গতি বাড়ালে সেও বাড়ায়। ’ভালো যন্ত্রণায় পড়া গেল ’ - জিনিয়া এইরকম ভাবে। এমনকি রাস্তা পার হয়ে এপাশে এলে একটু পর ...
[right]কবেকার মৃত কাক: পৃথিবীর পথে আজ নাই সে তো আর;
তবুও সে ম্লান জানালার পাশে উড়ে আসে নীরব সোহাগে
মলিন পাখনা তার খড়ের চালের হিম শিশিরে মাখায়;
তখন এ পৃথিবীতে কোনো পাখি জেগে এসে বসেনি শাখায়;
পৃথিবীও নাই আর; দাঁড়কাক একা — একা সারারাত জাগে;
কি বা হায়, আসে যায়, তারে যদি কোনোদিন না পাই আবার।
নিমপেঁচা তবু হাঁকে : ‘পাবে নাকো কোনোদিন, পাবে নাকো
কোনোদিন, পাবে নাকো কোনোদিন আর।’
--- "এই সব ভালো লাগে", জী...