বাড়ির সামনে হাঁটু জল, স্যান্ডেলখানা বাঁচাতে বগলে স্যান্ডেলখানা গুঁজে তিনি হাঁটছিলেন। পাড়ার ছেলেরা পেপার কেটে কাগজের নৌকা বানিয়ে সেই পানিতে ভাসাচ্ছিল। দূর্ভোগের এই জল থেকেও মানুষ আনন্দ খুঁজে নিচ্ছে! ভেবে তিনি খুব অবাক হলেন! মানুষের সুখবোধ কত বিচিত্র! ভোঁ ভোঁ… তিনি পিছ ফিরে তাকালেন, পিছ থেকে একটা রিক্সা আসছে, রিকশা একটা স্কুল পড়ুয়া মেয়ে। গোলাপী ফিতে দিয়ে বেণি করা চুল, দেখলে বড় ম...
সাধারণতঃ বাড়ী ফিরতে রাত দশটা বেজে যায় প্রতিদিন। আজকে তার চেয়ে একটু বেশী দেরী হোল।
তার পরের শিফটে কাজ করে ভারতীয় ছেলে মনোজ। আজকে সে আসতে প্রায় কুড়ি মিনিট দেরী করেছে। তাকে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে তারপর বেরোতে বেরোতে দেরী হয়ে গেল।
এত রাতে গোটা পাড়াটিই নিঝুম হয়ে যায়। ড্রাইভওয়েতে গাড়ীটা পার্ক করে পিছনের সীট থেকে ব্যাকপ্যাকটা বের করলো জালাল।
এই রকম দেরী হয়ে গেলে রুবী আগে মন খারাপ করতো...
তুমি ঘুড়ি উড়াতে পারো?
-হুম পারি, তবে নাটাই ধরতে পারি না।
- এটা কি কথা?
হুম এটা কথা।
- শুধু হুম হুম করো ক্যান?
তো করবো কি?
- ঘুড়ি উড়াবা!
আচ্ছা আগে বলো ঘুড়ি উড়ে, কিন্তু উড়ে কৈ? ঘুড়ি কি কখনও পৌঁছে আকাশের কাছাকাছি বা মেঘের আশেপাশে?
- না এতো উপরে যায় না, যাওয়ার দরকারই বা কি। তুমি এতো কথা বলো কেনো? তোমাকে বলছি ঘুড়ি উড়াতে।
আচ্ছা উড়াবো, তবে আরেকটি কথা। তুমি বলতে পারবে এই আকাশের শুরু কোথা থেকে?
- য...
এবার তাহলে মধুমতীর গল্প বলা যাক। মধুমতীকে নিয়ে গল্প বলতে আমরা এত দ্বিধান্বিত কেন? এমনটা নয় যে তাকে নিয়ে আমরা গল্প করতে চাই না। স্মিতা, মণিদীপা বা শ্রাবন্তীকে নিয়ে গল্প বলতে যখন আমাদের বাধে না, তখন মধুমতীকে নিয়ে গল্প বলতে দ্বিধা থাকবে কেন? এই দ্বিধার ব্যাপারে আমরা যখন নিজেদের প্রশ্ন করি এবং যা উত্তর পাই তার কোনটাই আমাদের সন্তুষ্ট করে না। বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে এই গল্প বলার জন্য অত...
১.
স্বর্গে জায়হুন নদীর তীরে বালুকাবেলায় আদম একটি তোয়ালা পাতিয়া বসিয়া অলস নেত্রে বিকিনি পরিহিতা স্বর্গবেবুশ্যেদের অবলোকন করিতেছিলো, আর মনে মনে ভাবিতেছিল, "বেওয়াচ" নামে একটি টেলিভিশন ধারাবাহিক নির্মাণ করিলে কীরূপ হয়, এমন সময় শয়তান আসিয়া গলা খাঁকারি দিয়া কহিল, "ওহে মৃত্তিকানির্মিত আদম, কুশল কী?"
আদম আড়চোখে শয়তানকে এক পলক দেখিয়া আবার একটি বিশালবক্ষা গুরুনিতম্বিনী বিকিনিবসনার ...
সব রাস্তা সামনে হাঁটার জন্য না, কিছু রাস্তা পিছনে চলার জন্য। সেই রাস্তায় পা রাখতেই যে অতিথি পাখিরা লেকের পানিতে গা ভিজাচ্ছিলো তারা সব উড়ে যেতে থাকলো পিছ পথে। কিছুক্ষন আগের বৃষ্টির গোলক ফোটাগুলো উড়ে গেলো উচুঁতে, মিলেঝুলে বানালো মেঘ। মানুষের চোখে সেই তৃষ্ণার্ত অপেক্ষা, জিভ ভেজাবে বৃষ্টিতে। নিকোটিনগুলো ফুসফুস থেকে বেড়িয়ে পকেট চাপা থ্যাতলানো সিগারেট হল। বুঝতে পারলাম আমি সময়ের র...
জন্মের সময় ধুন্দুমার বাঁধিয়ে দিয়েছিলাম। মাকে নিয়ে জমে মানুষে টানাটানি। জম আর মায়ের মাঝখানে দাড়ালেন দুদু মই। নানা বাড়ির বুনিয়াদী ধাই। টেনে হিচড়ে বের করে নিয়ে আসা হল আমাকে। সাথে বেরিয়ে এল আরও কি সব যন্ত্রপাতি। মানুষ বানাবার কলঘরটা সেই থেকে নষ্ট। আমি বেড়ে উঠলাম অসুস্থ এক পরিবেশে। আম্মা কোন দিন আমারে শখ মিটায়া কোলে নিতে পারে নাই। বুঝতে শিখার পর থেকে আমি মা'র আশে পাশে ঘুরাফেরা করত...
পাখি ওড়ে, তার ডানা আছে, আমি পাখি নই, মানুষ, আমার ডানা নেই - আতিয়া ভাবে, ভাবতে ভাবতে ও এক সময় সিদ্ধান্তে আসে, মানুষের ডানা থাকলেও খুব বেশি কিছু হতো না; মানুষকে কেউ পাখি বলতো না।এই গভীর দর্শণের সঙ্গে আতিয়ার গত জীবনকে কেউ যদি মেলাতে যান তাহলে অনেক বড় ভুল হবে।
আতিয়া চোখেমুখে কথা বলা মেয়ে, ওকে ছোটবেলা থেকেই শুনতে হয়েছে যে, ও দেখতে খুব সুন্দরী। স্কুল পেরিয়ে কলেজে ওঠার পর পরই পাড়ায় ওকে নিয়ে ...
মুহির শান্তিময় ঘুমের মধ্যেই পৃথিবী থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের চুলচেরা বিশ্লেষন চলতে থাকে। দেখা গেল যে পৃথিবী থেকে উৎসারিত নানা রঙ ও ঢঙের অনুভূতি গুলোই ওজন স্তরকে ফুটো করে ঝাঝরা করে দিয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিকর হচ্ছে নীরব দীর্ঘশ্বাসগুলো, এমন ভাবে ঘাঁই মেরে যায় যে বিশ্ব চরাচর কেঁপে ওঠে। আর এর প্রবাহ দিনকে দিন বাড়ছে। তবে এগুলো ওজন স্তরকে ফুটো করেই বিল...
আরেকটা ছোটো গল্প লিখে ফেললাম, একেবারে নিরামিষ এটা, কোনো নষ্টামির কথা নেই। কাল একটা গল্প লিখে আজ আরেকটা নামিয়ে দিলাম, নিজের কেরামতিতে নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি।
যে ধরনের গল্প লিখে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি হয় এটা ঠিক সে ধরনের নয় (যে গল্পের কথা স্নিগ্ধা বলেছেন), তবে সে সব লিখতে আমার মতো লেখকের এক হপ্তা করে সময় লাগে, কাজেই আপাতত এটাই পড়তে থাকুন। কেমন লাগলো সে কথা জানাবেন অবশ্যই, প্রতীক্ষায় র...