লোকটির কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না
শামীম রুনা
.................................................................................................................
আনিস দুপুরে নিরুর সেলফোনে মেসেজ পাঠায়, “ashchi”। ম্যাসেজটি দেখে নিরু ওর দৈনিক দুপুরের রুটিন ওয়ার্কে তাড়া হুড়া আনে। কাজের মহিলাকে তাড়াতাড়ি টেবিল রেডী করার জন্য বলে। নিজে বাচ্চাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে দ্রুত দুপুরের খাবার পর্ব শেষ করতে চায়। কেননা আনিস সব সময় চায় নিরু ফিটফাট হয়ে ওর সাথে বসে খাবে। ফিটফ...
ইতোপূর্বে আদমচরিতের পর্বগুলি পাঠ করিয়া আমরা জানি, জ্ঞানবৃক্ষের ফল ভক্ষণ আদমের জন্য নিষিদ্ধ।
কিন্তু জ্ঞানবৃক্ষের ফলের অভাবে আদমের প্রস্তুতি ঘটিতেছে না। ফলে ঈভও আদমকে সম্যক পাত্তা দিতেছে না। ফলে আদম ব্যাপক পেরেশানিতে ভুগিতেছে।
তাই আদম ব্যাপক ফুঁসিতে ফুঁসিতে ঈশ্বরের দরবারে প্রবেশ করিয়া যারপরনাই হইচই করিতে লাগিল।
"ঈভ আমাকে প্রতি রাত্রিতে গঞ্জনা দেয়...
স্বপ্ন বলেই আছি। নইলে কোথায় মিলিয়ে যেতাম, কে জানে! একটু শিশির ঝরলেই বিন্দু বিন্দু জল পড়ে পাতার শরীরে। সে বিন্দু জমে জমে পাতার অনাঘ্র শরীরে ফোঁটা হয়ে থমকে দাঁড়ায় ক্ষণিকের জন্যে। সেদিকে তাকিয়ে বারবারই বুদ হয়ে নিজের ভেতরে প্রবেশ করি ক্ষণিকের জন্যে। সপ্নগুলো সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে জানলার পাশে। কখনো বন্ধ করে দিই জানলা। পর্দাগুলো টেনে টুনে অন্ধকারে আ...
মূল রচনা:
সিলভেস্টার গালামবোশ
ক আর খ-এর ভেতরে অদ্ভুত কিছু সাদৃশ্য আছে। দু'জনে সমবয়সী, দু'জনেই একই বিষয়ে উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত, দু'জনের চেহারার মিলও অবিশ্বাস্য। তবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। ক হতাশাবাদী, আর খ - আশাবাদী।
নিজের পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে মাথার টিকির অঞ্চলে টাক পড়তে দেখে হতাশায় ভেঙে পড়লো ক। আর খ সানন্দে লক্ষ্য করলো, তার অভিজাত খুদে টাকের চারপাশটি চুল ঘির...
তুমি ভাঙতে থাক, আমি চা খাওয়া শেষ হলেই যোগ দিব উৎসবে। চায়ের উপযোগিতা আমার নিউরনে দ্রুত ধরা দেয় না, হালকা কুসুমগরম হলে আমি অমোঘ আরাম পাই; শরীরের আরাম মানসিক নিবিষ্টতার প্রাথমিক সিঁড়ি। শরীর ভাঙতে থাকুক, তুমি অণু-পরমাণু ছুঁয়ে কোর্য়াক হয়ে যাবে; বিবিধ শক্তি থেকে একদা জন্ম দিবে তোমার শরীরভর। আমরা তখন চিরায়িত দর্শক, ব্যস্ততম পরিব্রাজক।
এই চায়ের তাপ হারানো কিংবা গুণগত মান নিয়ে পরীক্ষা হ...
জুলফিকার কবিরাজ
অত:পর টেনু মণ্ডলের তাহাজ্জত আমলের ফায়াজ হল। খুশিতে বাঙ্গী ফাটা হয়ে মণ্ডল পালের সেরা দুটি দামরা গরু মেরে আকিকা দিয়ে নাম রেখে পিদিম জ্বালল। নাম রাখা হল খালিদ বিন অলিদ। বাপ ব্যাটা সম্পর্কে আরবী ব্যাকরণে অনভিজ্ঞ ধর্মান্ধ মণ্ডল ছেলের সাথে বাপের নাম ঠিক থাকল কিনা সে দিকে তাল না দিয়ে গাল ভরা উচ্চারণের একটি সেরা আরবী নাম দিয়েছেন তাতেই বেজায় খুশি। ডাক নাম রাখল হামজা। ...
চা পানের দীর্ঘ বিরতির আগে...
[=12]আমরা জেনেছিলাম, ফারজানা নাজনীন লিপস্টিক না মাখা ঠোঁট চায়ের কাপে ডুবাতো। রাজন জিজ্ঞেস করতো ফারজানা লিপস্টিক দেয় না কেনো। ফারজানা এ প্রশ্নের উত্তরে কী বলতো তা আমাদের জানা নেই। তবে তারা চা খেতো। চিনি কম, দুধ বেশি, কিংবা রঙ চা'য়ে লেবু চিপে। তারা চা খেতো ক্যান্টিনে, রুস্তম চাচার দোকানে, মেরিনা কুলিং কর্ণারে। মাঝে মাঝে রাজন জিজ্ঞেস কর...
ঝড় থেমে গিয়েছিল পরদিন সকালেই। সূর্য ওঠার কিছুক্ষন পরেই ফেরীর মাঝি যখন ঘাটে আসলো, দেখল জ্ঞানহীন মিনোকিচিকে.. পড়ে আছে মৃত মোসাকুর পাশে। তাকে বিছানায় পড়ে থাকতে হয়েছিল আরো অনেকদিন। সে রাতের ঠান্ডায় বেশ কাবু হয়ে গিয়েছিল সে। মোসাকুর মৃত্যুতে অনেক ভয় পেয়েছিল। কিন্তু সে কাউকেই বলল না সে রাতের কথা, সেই তুষার সাদা মেয়েটির কথা। আস্তে আস্তে যখন সে আবার সুস...
-মা, মা, একটু আসো না মা
-আসছি মা ,একটু দাঁড়া, হাতের কাজটা সেরেই আসছি।
দিবাবসান। সন্ধ্যা হয়েছে মাত্র। গাছেদের পাতায় জমে উঠেছে অন্ধকার। আকাশে একটি দুটি করে তারা উঠেছে। এইমাত্র পশ্চিম আকাশে একটি ছোট্ট তারা ফুটে উঠলো। তারাটি এ বাড়ীর জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে ।এই বাড়ীর জানালা দিয়ে আকাশ দেখা যায়। একটি ছোট্ট মেয়ে জানালার পাশের তক্তপোষে পড়তে বসেছে। গোলাপী ফ্রক, মাথায় দুটো বিনুনী বেঁধ...
অস্পষ্ট কুয়াশাভরা রাত। যতোটা আলো না হলে হাঁটা যায় না, ঠিক ততোটুকুই আলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে সবখানে। রাস্তার পাশে এক বিরাট রেইনট্রি। জালের মতো অসংখ্য বাহু গাছটার। সাধ্যের সীমা পর্যন্ত আকাশ দখলে নিয়ে সদর্পে আরো উপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। সেই সঙ্গে এক নিবিষ্ট মনে চাঁদের সঙ্গে মেঘেদের আসা-যাওয়ার খেলা দেখছে। মাঝে মাঝে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস আসছে। কোত্থেকে আসছে ডাল-পাতাগুলো নাড়িয়ে, তা...